Fish in aquarium: অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রাখেন! বাড়িতে রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি জানেন তো? আপনি কি মাছ ভালোবাসেন? খাওয়ার কথা নয় মাছ পোষার কথা বলছি। যত্ন না নিলে কিন্তু অ্যাকোয়ারিয়াম সাজানো-গোছানো থাকবে না! (take care of fish in an aquarium)
বাড়িতে রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি:
না না মানুষের নানা রকমের শখ হয়ে থাকে। অনেকেই নানা পোষ্য রাখেন বাড়িতে। কিন্তু ঠিকমতো যত্ন না নিলে বেচারাদের সমস্যায় পড়তে হয়। তা আপনি বিড়াল রাখুন বা কুকুর সঠিক যত্ন না নিলে কিন্তু আপনার প্রিয় পোষ্য অসুস্থ হতে পারে। অনেকে ‘অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ’ রাখেন।
সেক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যা না করলে কিন্তু মাছ অকালে প্রাণ হারাতে পারে আর সেটা দেখতে আপনার কোন মতেই ভালো লাগবে না। এই বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার আগে কিছু পড়াশোনা করে নিলে বোধহয় আপনারই সুবিধা হবে (fish is best for aquarium)।
আরো পড়ুন – Katrina Kaif: ক্যাটরিনা কাইফের জীবনের নানাদিক! ক্যাটরিনার লাইফ স্ট্রাগলের কথা জানেন?
আরো পড়ুন – বলিউড অভিনেতারা সিনেমা করার জন্য কত টাকা পান? এক নম্বর পারিশ্রমিক অভিনেতা কে?
রঙিন মাছ চাষের প্রশিক্ষণ:
- বাজার থেকে ভালো দেখে অ্যাকোয়ারিয়াম কেনা দরকার । সস্তায় কিনতে গিয়ে আপোষ করবেন না যেন। মনে রাখবেন ভীষণভাবে নোংরা এবং অপরিষ্কার হয় বিশেষ করে তলদেশ। সেটা নিয়মিত পরিষ্কার আছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- সাইক্লোন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার। হঠাৎ করে একটা কাঁচের বাক্সের মধ্যে জল ঢেলে মাছ ছেড়ে দিলেন সেটা কিন্তু ঠিক কাজ নয়। মাছ ছাড়ার অন্তত দিন সাতেক আগে জলে অণুজীবের সংখ্যা বাড়ানো দরকার । এরাই কিন্তু আবর্জনা দূরে সরিয়ে জলকে মাছের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলে। বাজার থেকে এই অনুজীব কিনতে পারবেন।
- তবে মনে রাখবেন যে অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ থাকলে সাইক্লিং কখনোই করা উচিত নয়। এতে মাছ মরে যেতে পারে। আজকাল অনেক সময় বাটির মতো দেখতে কাঁচের জিনিসের মধ্যেও মাছ রাখা হয়। মাছ রাখতে গেলে কিন্তু সঠিক জায়গা নির্বাচন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- যেকোনো সাইজের অ্যাকোয়ারিয়াম কিনলেই হবে না। কিছু পরিমাপ মাথায় রাখুন। অন্তত ২ ফুট বাই ১ ফুট সাইজের অ্যাকোয়ারিয়াম দিয়ে আপনার নেশাকে বা ভালোবাসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আর অবশ্যই চোখের সামনে একটা মাছ পছন্দ হলো আর সেটা কিনে নিলাম সেটা করলে চলবে না।
- রঙিন মাছ কিনতে গেলে কতটা জল এবং জলের কিরকম তাপমাত্রায় সেই মাছ থাকতে পারে এই বিষয়ে ভালো করে জেনে নিয়ে তারপর সেই মাছ কিনে এনে অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে রাখবেন। জলের মান কেমন রয়েছে অর্থাৎ এর গুণগত দিক বিচার করা দরকার।
- অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে প্রাকৃতিক ভাবেই অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট কিংবা নাইট্রাইট জাতীয় যৌগ থাকে তবে যাতে এর পরিমাণ কম বা বেশি না হয় সেটা মাথায় রাখতে হবে।
- আপনাদের জানিয়ে রাখি জলের মান ঠিক রাখতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে অ্যাকোয়ারিয়ামের এক তৃতীয়াংশ জল বার করে দিয়ে তারপর সেখানে পরিষ্কার জল ঢালতে হবে।
- আর মাছের জন্য যে খাবার কিনবেন সেটাও অল্প পরিমাণেই দেওয়া দরকার তা না হলে অকারণে আবর্জনা বাড়বে অ্যাকোয়ারিয়ামের জলের মধ্যে। মাছ কি একটা স্বাভাবিক পরিবেশ দেওয়ার জন্য নীল সবুজ মেরুন বাদামি এরকম নানা রঙের জিনিসপত্র বিশেষ করে পাথর অ্যাকোয়ারিমে রাখবেন না এটা কিন্তু প্রকৃতিতে সচরাচর মেলেনা।
- প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখুন জলজ উদ্ভিদ অবশ্যই রাখুন। আমাজন সোর্ড, রেড আমাজন, ভ্যালিসনেরিয়া, হাইগ্রোফিলা ডিফর্মিস, কাবোম্বা ইত্যাদি কিনে আনতে পারেন। অন্তত ৩-৪ ফুটের অ্যাকোয়ারিয়াম না হলে গোল্ডফিশ, শার্ক, অস্কার, ডিসকাস একদম কিনবেন না। ফাইটারের জন্য দু থেকে আড়াই ফুট জায়গা রাখুন।
অ্যাকোয়ারিয়াম পরিস্কার করতে গেলে সব মাছকে হঠাৎ করে জল থেকে বের করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই আস্তে আস্তে স্পঞ্জ দিয়ে শ্যাওলা মুছে মুছে পরিষ্কার করুন। মাথায় রাখবেন একটু যত্ন নিয়ে কাজটা করতে পারলে সহজেই কিন্তু মাছ এবং অ্যাকোয়ারিয়াম দুটোই ভালো থাকবে।