Breaking Bharat: কথায় কথায় সুইস ব্যাংকের টাকা রাখার কথা শোনেন তো? সুইস ব্যাংক সম্পর্কে কতটা জানেন? আপনাকে খুঁজতে হবে বিদেশী ব্যাংক। আর এই প্রসঙ্গে সুইস ব্যাংকের নাম সবার মাথায় এলে ঠিক কোন প্রশ্নটা তার সঙ্গে জুড়ে যায় বলুন তো?
বড় বড় লোকেদের টাকা পয়সা কোথায় থাকে এই নিয়ে আগে মানুষের একটা প্রশ্ন ছিল। তারপর মানুষ সুইস ব্যাংক শব্দটার সঙ্গে পরিচিত হয়। ব্যাস সব ধারনা সেখানেই শেষ। কারণ এই ব্যাংক ঠিক কী? কীভাবে কাজ করে? কাদের অ্যাকাউন্ট আছে এই সম্পর্কিত কোনো তথ্যই সাধারণ মানুষের কাছে নেই। আজ কিছু বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা।
সুইস ব্যাংক সম্পর্কে কতটা জানেন?
মানুষ সারা মাস অফিসে বা ব্যবসায় পরিশ্রম করে মাসের শেষে কিছু টাকা উপার্জন করে। তারপর সেই টাকার কিছুটা খরচ করে বাকিটা চেষ্টা করে ব্যাংকে জমিয়ে রাখার যাতে প্রয়োজনের সময় সেই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে কাজে লাগানো যায়।
এর জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংক এই সব কিছুর দিকেই মানুষের আগ্রহ থাকে। কিন্তু যদি ধরুন বেশি পরিমাণ টাকা হয় তাহলে দেশীয় ব্যাংকে সে টাকা রাখার জায়গা হবে না। আপনাকে খুঁজতে হবে বিদেশী ব্যাংক। আর এই প্রসঙ্গে সুইস ব্যাংকের নাম সবার মাথায় এলে ঠিক কোন প্রশ্নটা তার সঙ্গে জুড়ে যায় বলুন তো?
সুইস ব্যাংক মানে কি?
খুব স্বাভাবিক দাবি মনে প্রশ্ন জাগে টাকাটা সাদা না কালো মানে ঠিক কোন পথে উপার্জন হয়েছে? যুগ যুগ ধরে ঠিক এভাবেই সাধারণ মানুষের চোখে সুইস ব্যাংক রয়ে গেছে। তবে যা রটে তার সমস্ত তা সত্যি নয় বটে। চলুন সুইস ব্যাংকের আদ্যোপান্ত জানানো যাক আপনাকে।
সুইস নামটা শুনলেই বোঝা যায় যে এটা এসেছে ‘সুইজারল্যান্ড’ থেকে। অর্থাৎ সুইস ব্যাংক বলতে সুইজারল্যান্ডের যেকোনো ব্যাংককে বোঝায়। একটু অবাক হচ্ছেন বটে কিন্তু এটাই সত্যি কথা যে সুইস ব্যাংক কোনও একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক নয়। আসলে এই সুইস ব্যাংক-এর মাধ্যমে একটি ব্যাংকিং নেটওয়ার্ককে নির্দেশ করা হয়।
সুইস ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম:
কিন্তু মনে রাখতে হবে সুইস ব্যাংক দারুণভাবে গ্রাহকদের গোপনীয়তাকে রক্ষা করে। যদিও বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে মনে হয় যাদের কালো টাকা আছে তারাই সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। নিজের দেশের ব্যাংকের অবস্থা স্থিতিশীল না হলে আপনি সুইস ব্যাংকের শর্ত পূরণ করতে পারলে সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের টাকাঘর্ষিত রাখতে পারবেন।
যেমনটা আগে বলেছি যে সুইচ ব্যাংকে গোপনীয় তাকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। আপনি পেশাল যাই হোন না কেন ওই ব্যাংকে কার একাউন্ট আছে সেই বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো রকমের ইনফরমেশন শেয়ার করেন না। কারণ সে দেশের আইন হতো যদি কোন ব্যাংকার এই শর্ত না মানেন তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করা যেতে পারে।
সে ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণটা মারাত্মক। অভিযোগ সত্যি বলে প্রমাণিত হলি, সেই ব্যাংক কর্মীর ছয় মাসের জেল এবং ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা হতে পারে। সুইস ব্যাংকের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো বেশ স্থিতিশীল। এই অবস্থা সেই দেশেরও বটে। এটা সত্যি কথা যে সাধারণ মানুষের পক্ষেই ব্যাংকের হদিস বা নাগাল পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
আপনি হয়তো জানেন না কিন্তু সুইস ফ্রাঙ্ককে পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল মুদ্রা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর এই ব্যাংকের ব্যাংকাররা খুব ভালো করে আপনার টাকা কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবে, ঝুঁকি কম থাকবে সেই বিষয়ে সদর্থক পরামর্শ দেন। তবে আপনি যদি এমন কিছু করে থাকেন যা সুইস আইনে অবৈধ, তাহলে আপনার সম্পদের সুরক্ষা ঠিক কাজে আসবে না।
আরো পড়ুন – Titanic: টাইটানিক কি শুধুই জাহাজ নাকি না ভুলতে পারা এক স্মৃতির ক্ষতচিহ্ন?
সাধারণ ব্যাংকের মতো যখন তখন এই ব্যাংকের পরিষেবা গ্রহণ করা যায় না। বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিকই নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সুইস ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করেন না। চাইলে আপনি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড আপনি নিতেই পারেন, কিন্তু এটা করার অর্থ হলো গোপনীয়তা ভঙ্গ করা। তাই সে ব্যাপারে যারা এই ব্যাংকে টাকা রাখেন তারা মোটেই আগ্রহী হন না।
আরো পড়ুন – পৌষ মাসে শুভ কাজ হয় না, তবু কেন পোয়া বারো বোঝাতে এই মাসের কথাই বলা হয়?
সুইস ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
সুইস ব্যাংক মানে কি
সুইস ব্যাংক কোন দেশে অবস্থিত
সুইস ব্যাংক কোন দেশের টাকা বেশি
সুইস ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা
সুইস ব্যাংক বাংলাদেশ
তবে আপনার ওই ব্যাংক একাউন্ট আছে কিনা সেটা যেমন বাইরের কেউ জানতে পারবে না ঠিক তেমনি একাউন্ট ওপেন করতে গেলে আপনাকে আপনার পরিচয় বৈধতা তার পাশাপাশি ইনকামের উৎস, এইসব সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে। তবে এত কিছুর পরেও এই ব্যাংকে কাদের একাউন্ট আছে সেই নিয়ে কিছু জল্পনা রয়েই গেছে তা বলা বাহুল্য।