Study stopped after marriage: বিয়ের পর কি পড়াশোনা বন্ধ? প্রতিশ্রুতি রাখলো না শ্বশুর বাড়ি? তাহলে তো পৃথিবীটা এক মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় তাই না? কী করবেন তখন যদি স্বামী প্রতিশ্রুতি না রাখে?
লেখাপড়া করে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করার স্বপ্ন প্রতিটি সন্তানের থাকে। সেইমত নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যান সকলে। কিন্তু অনেক সময় এই অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিয়ে। বিয়ের জন্য অনেক শিক্ষা অসমাপ্ত থেকে যায়। অনেক ডিগ্রির কাছে পৌঁছেও সেটা হাসিল করা হয় না। তাই বলে কি সব শেষ?
বিয়ের পর কি পড়াশোনাটা করা যায়?
আসল ব্যাপারটা হলো যে মানুষের হাত ধরে নতুন একটা জীবনের পথে পা বাড়ানো সেই মানুষটার প্রতিশ্রুতি। তিনি যদি চান তার সহধর্মিনী কে পড়াশুনার পথে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, তবে সকলের সঙ্গে লড়াই করে একাই পাশে থাকতে পারেন।
আপনার দেখা স্বপ্ন যদি আপনার পার্টনার দেখতে শুরু করে তাহলে কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করার রাস্তাটা সহজ হয় আর আনন্দটাও অমিল। কিন্তু যদি সেটা না হয় যদি মাঝপথেই আপনাকে আবারো থমকে যেতে হয় আর এইবার সেই মানুষটার জন্য, যাকে বিশ্বাস করে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। তাহলে তো পৃথিবীটা এক মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় তাই না?
কী করবেন তখন যদি স্বামী প্রতিশ্রুতি না রাখে?
বিয়ে মানে সাত জন্মের বন্ধন। অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি অনেকগুলো স্বপ্নকে একসঙ্গে করে নতুন জীবনের পথে পা বাড়ানো। জীবনটা নিজের মতো করেই এগোতে থাকে আর তার ছন্দে আমরা নিজেদের চালিয়ে নিয়ে যাই। ঠিক সেই ভাবেই ছোট থেকে বড় হওয়া বড় থেকে বুড়ো হওয়া এক একটা পর্যায়ে একেক রকমের কাজ স্বপ্ন আনন্দ দুঃখ মিলেমিশে যায়।
ছোটবেলায় পড়াশোনা করার মধ্যে একটা আনন্দ আছে তখন চোখের স্বপ্ন বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানো। কিন্তু এখনো অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই স্বপ্নটা বাস্তবে সত্যি হয় না কারণ মেয়েদের বড় হওয়া মানেই বিয়ে করার তাড়া। এই ব্যস্ততা যেমনটা পরিবারের তার থেকে বেশি সমাজের, এভাবেই চলে এসেছে যুগের পর যুগ।
আরো পড়ুন – পড়াশোনায় ভালো নম্বর পেলেই কি শিক্ষিত বলা যায়? অশিক্ষিত মানুষ চেনা কতটা কঠিন?
তুমি ইদানিং কালে এখন নারী এবং পুরুষ অনেক বেশি করে পরিণত তাই একে অন্যের অপ্রাপ্তি গুলো পূরণ করার চেষ্টা করেন সর্বদা। যে মেয়েটা চাই পড়াশোনা করতে তাকে বিয়ের আগে হবু স্বামী পড়াশোনা করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই থাকেন। কিন্তু বিয়ের পর যদি সবটা বদলে যায় অচেনা হয়ে যায় স্বামী তবে কী করবেন?
সবার আগেই মনে রাখবেন নারী মানেই অবলা নয় তাই এই বিষয় নিয়ে আপনার প্রিয় জনদের সঙ্গে কথা বলে স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তাকে বলুন যে আপনি সত্যিই পড়াশোনাটা করতে চান। তিনি যদি শিক্ষিত হন তাহলে লেখাপড়া এবং ডিগ্রির গুরুত্বটা তার বোঝা উচিত।
আরো পড়ুন – মাথার তালুতে ব্যথা? মাথা ব্যথার ধরন! মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়? মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
যদি সেটা না হয় তাহলে আপনাদের দুজনের যে সব বন্ধুরা আছেন বা শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন তাদের মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করুন । তবে দেখবেন যেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে না চলে যায়। এত কিছু করেও যদি কিছু না হয় তাহলে নিজের জেদ আর মনোবল হারাবেন না হয় মুখের উপর দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে বলুন আপনি পড়াশোনা করতে চান।
প্রয়োজনে মোবাইলে অনলাইনে বা গোপনেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন, মানে যদি সামনে এসে দাঁড়িয়ে আপনার কিছু বলার ক্ষমতা না থাকে। তবে সেক্ষেত্র একবার না একবার সত্যের মুখোমুখি তো হতেই হবে আর সেটা সকলের সামনে জানাতেই হবে।
আরো পড়ুন – সমাজের খারাপ দিকগুলো কতটা প্রভাবিত করে আপনার জীবনকে?
সংসারের সব কাজ সামলেও পড়াশোনা করা যায় যদি ইচ্ছে শক্তি প্রবল থাকে। আস্তে আস্তে আপনার স্বামীকে গোটা ব্যাপারটা রোমান্টিক মুহূর্তে বা মজার ছলে বুঝিয়ে দেখুন। ভাল কাজ করতে গেলে প্রাথমিকভাবে বাধা এলেও শেষটা ভালোই হবে আশা রাখি।