Breaking Bharat: ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নাক ডাকেন? আচ্ছা চোখ খুলে ‘নাক কেন ডাকেন’ না? ঘুম বড় প্রিয় বস্তু। ঠিকঠাক ঘুম না হলে জীবনটা কেমন যেন ম্যাড়মেড়ে মনে হয়। সকাল থেকে কোনও কাজে মন লাগে না। এবার প্রশ্ন ঠিকঠাক ঘুম এর সংজ্ঞা কী?
মানে কীভাবে ঘুমাতে পারলে ঘুম থেকে উঠে আপনি ভাববেন আহা কি দারুন ঘুম ঘুমোলাম! অনেকেই বলেন ভালো স্বপ্ন দেখলে, কিন্তু রাতের স্বপ্ন সকালে মনে থাকে? যদি চোখ বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ‘নাক ডাকেন’ অনেকেই ভাবেন, এইটা গভীর ঘুমের লক্ষণ। আসলে কি তাই? (Snoring-Symptoms and causes)
আর চোখ খুলে ফেললে ‘নাক ডাকা’ কেন বন্ধ হয়ে যায়?
প্রথমে একটু বিজ্ঞানের ভাষা ব্যবহার করি। আপনি কি জানেন টিস্যুর কম্পনের ফলে এই শব্দের সৃষ্টি হয় যাকে নাসিকা গর্জন বলা হয়। ফারিঞ্জিয়াল টিস্যুর কম্পনের ফলে এই শব্দ সৃষ্টি হয়।
একটু নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করে নেওয়া যাক। আমরা প্রশ্বাস গ্রহণের সাথে সাথে বায়ু নাসিকা রন্ধ্রের মাধ্যমে দেহের ভিতরে প্রবেশ করে। বাতাস কি মূলত পৌঁছে যেতে হবে ফুসফুসে।
এই সময় অর্থাৎ শ্বাস নেওয়ার সময় অক্সিজেন যুক্ত বায়ু যে পথের মাধম্যে দেহের অভ্যন্তরে ফুসফুসে পৌঁছায়, তাকে বলা হয় এয়ারওয়ে। এই এয়ারওয়ে যে পেশীর সমন্বয় দ্বারা গঠিত হয় তা কোনো কারণে শিথিল হলে এবং ফুলে ফেঁপে উঠলে, বায়ু যখন যাতায়াত করে তখন আঘাত লাগে পেশীতে।
ফলত পেশী কাঁপতে থাকে আর কম্পনের শব্দই নাকডাকা হিসাবে আমাদের কানে পৌঁছায়। আর এই ব্যাপারটা ঘুমের সময় ঘটে তার কারণ যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি তখন দেহের পেশী শিথিল থাকে। এয়ারওয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ঘুমানোর সময় পেশী শিথিলতার কারণে এয়ারওয়ের ডায়ামিটার বা পরিধি সামান্য হলেও কমে যায় (stop snoring immediately)।
কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ডায়ামিটার এতটাই কমে যায় যে তা বায়ু প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি করে। বায়ু খুব স্বাভাবিকভাবেই যখন এয়ারওয়ের মধ্যে দিয়ে যায় তখন তার গতিবেগ অত্যন্ত দ্রুত হয়। তাই সে বাধাপ্রাপ্ত হলে কম্পনটাও অর্থাৎ ধাক্কা লাগাটাও জোরে হয়। এই শব্দ জোরে হয় (is snoring dangerous)।
‘নাক ডাকার তীব্রতা মানে নাসিকা গর্জন’ বেড়ে যায় ? এটা কেন?
এবার ভাবুন চোখ যদি খোলা থাকে মানে আপনি সজাগ আছেন মস্তিষ্ক সচল আছে। এই অবস্থায় আপনি স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন সে ক্ষেত্রে পেশীর স্থিতিশীলতার খুব একটা হের ফের হবে কি? এই যখন আপনার চোখ খোলা থাকছে তখন কিন্তু বায়ু প্রবাহের ক্ষেত্রে পেশীতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। তাই নাক ডাকার প্রশ্নই উঠছে না। (to stop snoring naturally)
আরো পড়ুন- Loves to crack fingers: আঙুল ফাটাতে ভালবাসেন? আঙ্গুল ফোটালে হাড়ে শব্দ হয় কেন ?
আরো পড়ুন- Samosa: গরম সিঙ্গারা খেতে দারুণ মজা! কিন্তু সিঙ্গারার আকৃতি ত্রিভুজের মত কেন?
আরো পড়ুন- Ants never sleep: আপনার ঘুম পেয়েছে ?কিন্তু জানেন কি পিঁপড়ের চোখে ঘুম নেই?
আরো পড়ুন- Pain after period : পিরিয়ডের এর পরে সমস্যা বাড়ছে ,যন্ত্রণা কমছে না? কী করবেন?
তবে একটা জিনিস খেয়াল করেছেন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নাক ডাকার তীব্রতা মানে নাসিকা গর্জন বেড়ে যায় ? এটা কেন?বয়সের সাথে সাথে পেশীর স্থিতিস্থাপকতা বা ইংরেজিতে যাকে বলেt ইলাস্টিসিটি তা কমতে শুরু করে, ফলে তা নরম হয়ে যায়।
অনেকের আবার ওবেসিটির কারণে এয়ারওয়ের টিস্যুতে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যায়। (snoring immediately after falling asleep)
পেশীর পক্ষে এই টিস্যুকে শক্ত করে ধরে রাখা সম্ভব হয় না। ফলে নাক ডাকার শব্দ আরও বেড়ে যায়। সবথেকে অবাক করার মতো ব্যাপার হলো যিনি নাক ডাকছেন, তাঁর এই কান্ড কারখানার জেরে যে পাশের প্রচুর মানুষ বিরক্ত বোধ করছেন তা তিনি টেরও পান না। তখন তিনি আরাম করে ঘুমের দেশে নাসিকা গর্জনে ব্যস্ত, তাই না?