Breaking Bharat: রুটি খেতে ভালবাসেন? বাসি রুটি কি ভালবাসেন আপনি? কোন মানুষের কোন খাবার প্রিয় তাই নিয়ে রীতিমত বড় বড় প্রতিবেদন লেখা যায়। এই নিয়ে নানা চমকপ্রদ গল্প আছে বাংলা সাহিত্যে।
তবে এটা মানতে হবে বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে রুটি ঝোলাগুড় যেন লা জবাব সবার কাছে, তাই না? কিন্তু আপনি কি রুটি বাসি করে মানে পরের দিন খেতে ভালোবাসেন? সেটা করা ঠিক না ভুল সেটা জানা আছে?
বাসি রুটি খাওয়া উচিত?
টাটকা খবর আর তাজা খাবার সব সময় সকলের জন্য ভাল। চিকিৎসকেরা ফ্রেশ খাবার খাওয়ার দিকে জোর দেন বেশি। কিন্তু আজকালকার ব্যস্ততায় মানুষ একদিন রান্না করে ফ্রিজে রেখে তিনদিন ধরে সেই রান্না খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে যেমন স্বাদ নষ্ট তেমনই খাবারের গুণ বলে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না।
তাই লক্ষ্য করে দেখবেন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত আলোচনা বা অনুষ্ঠানে সকল চিকিৎসকই বাসি খাবারকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন । কিন্তু আজকের আলোচ্য বাসি রুটি কি একেবারেই খাওয়া উচিত নয় নাকি বিকল্প কোনো উপায় আছে বা নিয়ম আছে যেটা মেনে চলতে পারলে রুটি যেদিন তৈরি হচ্ছে তার পরের দিন অনায়াসে খাওয়া যায়,সেই কথাই বলব আমরা।
দেখুন আমরা যেমন পাউরুটির কথা ভাবলেই সবার আগে মনে হয় সেটা টাটকা কিনা খোঁজ নিয়ে দেখি। কারণ আমরা সন্দেহ করি যে বাসি হলে সেই খাবারে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া জন্মে যেতে পারে। কিন্তু এই ভাবনা মাথায় রেখে হাতে তৈরি রুটি যদি বাসি হয় তাহলে সেটাও এতটাই খারাপ হয়ে যেতে পারে বলে ভেবে বসবেন না কারণ আধুনিক বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে চিন্তা ভাবনা, কারণ বিজ্ঞান আজ অনেকটা উন্নত। সেই বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে যে সঠিক তাপমাত্রায় হাতে তৈরি করা রুটি যদি সংরক্ষিত রাখা যায় তাহলে বাসি রুটি খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। এখানেই শেষ নয় হয়তো শুধু নিরাপদ বললে কম বলা হবে।
আরো পড়ুন – নেতারা কি শুধু রাজনীতি করার জন্যই ভাষণ দেন?
এটি স্বাস্থ্যকর বলেই মত গবেষকদের। তারা এই রুটির চিকিৎসা জনিত উপকার তুলে ধরেছেন। বর্তমানে গবেষণা বলছে এই ধরনের রুটি হার্ট ভাল রাখে। এই ধরনের রুটি খেলে বিভিন্ন ধরনের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়। হজমশক্তির উন্নতি সাধন থেকে শুরু করলে, এনার্জির ঘাটতি দূর করা বা, ওজন কমাতে সাহায্য করা বা ধরুন রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে এটা সাহায্য করে।
আরো পড়ুন – পৃথিবীতে মূল্যবান ধাতু হিসেবে সোনার নাম কেন আসে বলতে পারেন? কোন জায়গায় সোনা বাকিদের থেকে আলাদা?
বাসি রুটি স্বাদযুক্ত রাখতে অনেকেই তেলে বা ডালডা তে রুটি ভেজে নেন। এই ভাবনা থেকে এবার বেরিয়ে যেতে হবে আপনাকে। কারণ এতে গ্যাস অম্বলের সমস্যা বাড়ে। চেষ্টা করবেন রান্নাবান্নায় যতটা সম্ভব কম তেল দেওয়া যায় ততই মঙ্গল অন্তত আপনার আর আপনার পরিবার দুজনের ক্ষেত্রে । তাই আগের দিনের রুটি থেকে গেলে পরের দিন ভালভাবে খেতে পারেন আপনি।
আরো পড়ুন – ভাত রান্না পর ভাতের মাড় কি ফেলে দেন? জানেন অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যায় একে?
তবে বেশ কিছু নিয়ম মেনে খেতে পারেন। এই যেমন ধরুন খাবার খাওয়ার অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা আগে ফ্রিজ থেকে সেটা বাইরে বের করে রাখতে হবে। এরপর তাওয়ায় হালকা করে এ পিঠ ও পিঠ করে ভেজে নিলে ব্যাপারটা সহজ হয়। আসলে এক কথায় বলতে পারেন সবটাই জানার ব্যাপার। তবুও কিছু জানার প্রয়োজনে অবশ্যই ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞর পরামর্শই নিন।