Solution for excessive hair fall: অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান! ছেলেদের টাক মাথায় চুল গজানোর উপায়। টাকে চুল গজাতে চান? আপনার জন্য রইল ঘরোয়া টোটকা!
এই সবথেকে যদি বাঁচতে চান তাহলে, ‘টাক যাতে না পড়ে’ সেই দিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে। আজকে আমরা ঘরোয়া এমন কিছু টোটকা বলবো যাতে সহজেই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আজকাল চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা কমবেশি প্রত্যেকেরই থাকে। কিন্তু যত দ্রুত চুল পড়ে যাবে ততই লোক সমাজে সমস্যায় পড়বেন আপনি। মানে এতে মূল অসুবিধা হল প্রথমত স্টাইল স্টেটমেন্ট নিয়ে অসুবিধা হবে আর দ্বিতীয়ত সমাজে নানাস্থানের মানুষ নানা রকমের কটুক্তি করতে পারে।
আজকাল মানুষ যে কোন ধরনের সমস্যা হলে বাজার থেকে কিছু প্রসাধনী নিয়ে এসে সেই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় খোঁজেন। এতে অনেক ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। কোন কিছু করার আগে আপনাকে সমস্যার একেবারে মূল প্রান্তে পৌঁছাতে হবে। দেখুন চুল পড়ে যাচ্ছে এটা হচ্ছে ঘটনা, কিন্তু এটা কেন হচ্ছে সেই কারণটা খুঁজতে পাওয়াটাই আসল দরকারি।
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ:
সাধারণভাবে প্রতিদিন যদি ১০০ টা চুল ঝরে যায় তাহলে সেটাকে স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু মাথায় চিরুনি দিতেই গোছা গোছা চুল উঠে যাচ্ছে এটা কোন মতেই স্বাভাবিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয় না। একটু দেখা যাক কোন কোন কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
সাধারণত চিকিৎসকরা বলে থাকেন বংশগত কারণে চুল পড়ার সমস্যা তৈরি হয়। কখনো কখনো অতিরিক্ত স্ট্রেস মানে চিন্তার জন্য চুলে অকালপক্কতা আসে এবং চুল পড়ে যায়। দিনের পর দিন আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার খান যদি আপনার পেটের গন্ডগোল হচ্ছে সেক্ষেত্রে চুলের সমস্যা তৈরি হবে।
এছাড়াও হেয়ার স্টাইল নিয়ে বেশি এক্সপেরিমেন্ট করলে বা ভিজে চুল আঁচড়াতে গেলে বা ধরুন বেশি শক্ত করেছে বলে বাধলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চুল পড়ার সমস্যা হবে। এবার তাহলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানা যাক।
ছেলেদের টাক মাথায় চুল গজানোর উপায়:
- প্রথমেই বলে রাখি যে টাক হওয়া রোধে নারকেল তেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল দারুন কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। একটি ছোট পাত্রে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল নিয়ে তার সঙ্গে ক্যাপসুল মিশিয়ে দিন। এরপর এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রাখুন । পরের দিন চুলের শ্যাম্পু করে নেবেন।
- আসলে ভিটামিন ই তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অনেকেই বলেন যে এই পদ্ধতির নিয়মিত ব্যবহারের চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য হয়।
আরো পড়ুন – মানুষের মাথার কথা বুঝবে মেশিন? কী ভাবে মস্তিষ্কের ভাবনা লেখায় প্রকাশ হয়? কি বলছে AI?
- আপনি চাইলে নারকেল তেলের সঙ্গে রোজমেরি অয়েল মেশাতে পারেন। একটা মিশ্রণ তৈরি করে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো রেখে দিতে হবে আর তার শ্যাম্পু করতে হবে। এই অয়েল মাথার কোষের বিভাজন করে এবং রক্তনালী প্রসারিত করে যার ফলে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি চুলের গঠনকে মজবুত করে।
- ডিমের কুসুমের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। কিংবা বাড়িতে থাকা নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকি তেল ব্যবহার করেও তা চুলে লাগাতে পারে। সব ক্ষেত্রেই প্যাক শুকিয়ে যাবার পর ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু করবেন। কোনভাবেই মাথায় গরম জল লাগাবেন না।
আরো পড়ুন – Women’s Beauty: মহিলারা কেন নিজের মুখে সৌন্দর্যের রহস্য স্বীকার করতে চান না জানেন?
- অথবা ধরুন এক কাপ মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পেস্ট করে মাথায় মেখে নিন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করবেন।
- এই সবগুলোই সপ্তাহে একবার বা দুবার কিংবা যদি সম্ভব হয় তিনবার ব্যবহার করবেন। উপকার হাতেনাতে মিলবে।
আরো পড়ুন – দিল্লির হেড কনস্টেবল কী ভাবে সাফল্য পেলেন? কী তার নাম, কীভাবে বদলালো জীবন?
পোস্ট ট্যাগ: – অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান,কি খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়,চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম,কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়, চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়,ছেলেদের চুল পড়ার ঔষধ,মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার,অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ