Breaking Bharat: আবর্জনা! পৃথিবী বিপন্ন জানেন কেন? এবার আপনার কাঁধেই বড় দায়িত্ব ! পৃথিবীতে সুন্দর সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন না করতে পারলে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসবে। এই বিষয়ে ঠিক কতটা দায়িত্বে আপনার নিজের কর্মসূচি ঠিক করা দরকার সেই কথাটা অনেকেরই জানা থাকে না।
সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো এই পৃথিবীকে আবর্জনামুক্ত রাখা। তবেই আপনার চারপাশ ভালো থাকবে। শিল্প বিপ্লবের আগের ঘটনা যদি মনে করেন, তখন একদিকে যেমন জিনিস উৎপাদন হতো, পাশাপশি মানুষের ব্যবহার্য দ্রব্যের পরিমাণ বেশ মার্জিত মাত্রাতেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মানুষের জীবনে প্রয়োজনের থেকে অপ্রয়োজনে জিনিস বেশি বেড়ে গেছে।
আর এর থেকেই আবর্জনা বেশি ছড়াতে শুরু করেছে। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন কিন্তু এক চাঞ্চল লোকের তথ্য পৃথিবীর গবেষকদের চমকে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে পৃথিবীতে ‘আবর্জনার পরিমাণ‘ ছিল ২.২৪ বিলিয়ন টন।
ভাবতে পারছেন অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? এখন পৃথিবীতে যদি এই অনুপাতে আবর্জনা ক্রমশ বাড়তেই থাকে তাহলে আগামী ২০৫০ সালে ল্যান্ডফিলের অভাব দেখা দেবে বলে গবেষকদের অনুমান। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে এতে সমস্যা কোথায় বা কার সমস্যা?
তাহলে আপনাকে জানাই ল্যান্ডফিল অর্থাৎ প্রাত্যহিক জীবনে যাবতীয় আবর্জনা স্তুপাকারে সঞ্চিত করা হয় যেখানে সেটাই হল ল্যান্ডফিল (Solid Waste Management)।
এর কারণে পরিবেশ দূষিত জয়। যার জেরে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তনের মত গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। আসলে ল্যান্ডফিলে স্তুপাকারে সঞ্চিত আবর্জনা পচে গিয়ে মিথেন গ্যাস তৈরি করে। এবার এই মিথেন গ্যাস, CO2 থেকেও প্রায় চুরাশি গুণ বেশি সূর্যের তাপ শোষণ করতে সক্ষম।
ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি ল্যান্ডফিল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিজের জীবনযাত্রার মানের কিছু পরিবর্তন করলে সমাজ এবং পরিবেশের জন্য তা অনেকটাই সুবিধাজনক হবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি ‘জিরো ওয়েস্ট’ জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।
আরো পড়ুন – মনের কষ্ট ভোলাতে ‘মদ’ শরীরের শুধু নয় মনের জন্য কত ক্ষতিকারক জানেন?
এটার জন্য আপনাকে নতুন করে কিছু খরচ বা কেনাকাটা করতে হবে না। পুরনো জিনিস পুনরায় ব্যবহার করতে পারলে জীবন অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি পরিবেশ আবর্জনা মুক্ত থাকবে। প্লাস্টিকের বোতলের জল কিনবেন না। নিজের বাড়ির বোতলে করে জল নিয়ে যান। জলও খাবেন আর মনে করে আপনার বোতল আপনার সঙ্গেই বাড়ি ফিরবে।
আরো পড়ুন – যমজ সন্তান নিয়ে একাধিক ভুল ধারণা আছে, আসল সত্যিই জানেন কি?
আরেকটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হবে। রান্নার পর অনেক জিনিসই অযত্নে ফেলে দেওয়া হয় অথচ সেগুলো উচ্চমানের জৈব সার তৈরি করতে পারে সেটা কি আপনি জানেন? কিছুই না, বাড়ির পিছনে ছোট্ট একটা গর্ত করে সেই জিনিসফেলে দিন, কিছুদিনের মধ্যে তা পচে গিয়ে সারে পরিণত হবে। যা আপনারই বারান্দায় বা ডাইনিং টেবিলের সাজিয়ে রাখা গাছের জন্য উপকারী।
আরো পড়ুন – বলিউডি গ্রেট ভিলেন গব্বর নিজের স্ত্রীয়ের জন্য কী করেছিলেন ভাবতেও পারবেন না!
বাড়ি থেকে বাইরে যখন বেরোবেন বাজার করার জন্য তখন নিজের বাড়ির ব্যাগ নিয়ে যান আর সেটি ফিরে এসে ধুয়ে কেচে রেখে দিন পরের দিনের জন্য। রাস্তার প্লাস্টিকের চামচ বা প্লেটের জন্য অপেক্ষা করবেন না । নিজের চামচ যেটা বাড়ি থেকে আনতে পারবেন সেটা সবসময় আপনার সঙ্গে রাখুন।
স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিকল্প হিসাবে মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে আপনি কত টা স্বচ্ছন্দ সেটা অবশ্যই দেখে নেবেন। একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু এই পরিবর্তনগুলো আনা যায়। একবার চেষ্টা করবেন নাকি?