Breaking Bharat: ফের সৌরঝড়ের আশঙ্কা (Solar Storm)। আর তা আছড়ে পড়বে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওপর। নাসা জানিয়েছে, এর ফলে পৃথিবীতে প্রভাব পড়তে পারে। কী, কো প্রভাব পড়বে পৃথিবীতে? কী জানাল নাসা (NASA)?
গত বছরেও সৌর ঝড়ের আশঙ্কা (Danger of solar storm) তৈরি হয়েছিল। এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় নানা সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। স্পেস ওয়েদার ডট কমের মতে একবছর আগে জানানো হয়েছিল, সৌরঝড়ের কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে (Earth’s atmosphere may become warmer)।
যার ফলে উপগ্রহগুলির উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে। জিপিএস ন্যাভিগেশন (GPS navigation), মোবাইল ফোনের সিগন্যাল (Mobile phone signal), রেডিও সিগন্যাল (Radio signal) বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। স্যাটেলাইট টিভির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি।
এদিকে সোমবারের সৌরঝড় নিয়ে নাসা জানিয়েছে, এই সৌরঝড়ের ফলে (solar storm) গ্রীষ্মের আকাশে আরও বেশি করে আলোকজ্জ্বল দেখা যেতে পারে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সোলার স্টর্ম যখন পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে প্রবেশ করে, তখন একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। তড়িৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়। উচ্চ তরঙ্গের রেডিও সিগন্যালের (High wave radio signal) আদানপ্রদানও হতে পারে। আর এর ফলেই তৈরি হয় নানা সমস্যা।
সৌরঝড় কোথায় কোথায় আছড়ে পড়বে (Where will the solar storm hit)? সূত্রের খবর, সন্ধে নাগাদ এই ঝড় আছড়ে পড়বে, ফলে নিউজিল্যান্ড, তাসমানিয়া ও দক্ষিণ মেরুর কিছু অংশে এর জেরে উজ্জ্বল আলোকছটা দেখা যেতে পারে।
তবে আশঙ্কা যেন কাটছেই না। সাধারণত সৌরঝড় পৃথিবীতে এসে পড়লে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে বসবাসকারী লোকেরা এই ঝড় কিছুটা হলেও উপভোগ করতে পারবেন। ঝড়ের কারণে রাতে অরোরা দেখতে পাবেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। তবে সৌরঝড়ের ক্ষেত্রে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীকে সুরক্ষা দেবে, এমনটাই বলা হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে একটি সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। যার জেরে কানাডাতে প্রায় ৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না।