Breaking Bharat: পৃথিবীর বাইরে এত এত দামি ধাতু? এইসব হাতে পেলে বদলে যাবে পৃথিবীর চেহারা? গ্রিক দেবী ‘সাইকি’র নামে গ্রহাণুটির নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মহাবিশ্বে এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় গ্রহাণুগুলির মধ্যে ‘১৬ সাইকি‘ নিঃসন্দেহে অন্যতম।
গ্রহাণুটির গড় ব্যাস এই ধরুন প্রায় ২২০ কিলোমিটার। আর এখানে ঠিক কোন কোন ধাতু রয়েছে বা খনিজ পদার্থ রয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো এই প্রতিবেদনে।
পৃথিবীর বাইরে এত এত দামি ধাতু?
মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে রয়েছে এক ঝাঁক রহস্য। জলের স্থলের অন্তরীক্ষে মানুষ নানাভাবে তাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। কখনো চাঁদের বুকে কখনো সূর্যের কাছে আবার কখনো শুক্র কিংবা মঙ্গলের দিকে বাড়ি জমাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। একাধিক তথ্য সামনে উঠে।
আর এবার যা জানা গেল তাতে চোখ কপালে উঠবে আপনার। মঙ্গল-বৃহস্পতির পড়শি, আর এখানে থিকথিক করছে দামি ধাতু! থাকতে পারছেন যে এই গ্রহাণু হাতে এলে নিমেষে কেনা যাবে গোটা পৃথিবী। কিন্তু আমরা সকলে এর সম্পর্কে খুব একটা বেশি জানি না।
যার মূল্য পৃথিবীর মোট অর্থনীতির থেকেও বেশি?
আমরা সকলেই জানি যে ব্রহ্মাণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বহু গ্রহাণু। দেখবেন এগুলির গঠন এবং আকৃতিও বেশ আলাদা আলাদা। মানে কোনও কোনও গ্রহাণু খনিজ এবং ধাতব যৌগে পরিপূর্ণ তো আবার দেখা যায় কোনওটি শুধুই পাথরে ঠাসা। সেই কারণেই এগুলো নিয়ে পড়াশোনা চলছে।
গবেষণা হচ্ছে। কিন্তু আপনার জানা আছে কি, মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের মাঝখানে এমন এক গ্রহাণু ভেসে বেড়াচ্ছে, যার মূল্য নাকি সারা পৃথিবীর মোট অর্থনীতির থেকেও বেশি? হয়তো এ বিষয়ে খুব একটা বেশি আলোচনা হয় না কিন্তু তাই বলে অস্তিত্বকে একেবারেই অস্বীকার করা যায় না যে! ইটালীয় জ্যোতির্বিদ অ্যানিবেলে ডি গ্যাসপারিস ১৮৫২ সালের ১৭ মার্চ এই ১৬ সাইকি গ্রহাণু আবিষ্কার করেন।
আরো পড়ুন – আপনি কি জানেন আমেরিকা ছাড়ার জন্য হিড়িক পড়ে গেছে? হঠাৎ করে কেন এমন কান্ড?
এই গ্রহাণুর প্রায় গোটা অংশ লোহা আর নিখিল দিয়ে তৈরি আর বেশ কিছু অংশে শুধুই সোনা রয়েছে। আমরা বলছি না কিন্তু বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমেরিকার বর্তমান বাজার অনুযায়ী, ১৬ সাইকির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোয়াড্রিলিয়ন ডলার। মানে বুঝতে পারছেন যেখানে বিশ্বের অর্থনীতি হচ্ছে ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলারের।
আরো পড়ুন – শাহরুখ না গৌরী, কার আয় বেশি? কর্তাকে রোজগারে টেক্কা দেন বাদশা পত্নী?
একটু সহজ করে অংকের পরিভাষায় এটা বোঝাতে গেলে দাঁড়ায় বিশ্বের অর্থনীতি ৭৪০০০০০০০০০০০০ ডলার। আর অন্য দিকে রয়েছে এই গ্রহাণুটি যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ ডলার। চোখ কপালে উঠে গেল তো, ১-এর পিঠে ৩১টি শূন্য দেখে?
এবার তাহলে হিসেবটা করতে থাকুন আর ভাবুন কোনও দেশ যদি এই বহুমূল্য পাথর দখল করতে সক্ষম হয়, তা হলে বিশ্বের সমগ্র অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে ফেলার ক্ষমতা থাকবে ওই দেশের। এমনি এমনি কি আর আমেরিকা মহাকাশের প্রতি এত বেশি নজর রাখছে?
আরো পড়ুন – গাড়ির নাম ‘দ্য বিস্ট’ – এটাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরাপদ গাড়ি
২০১৬ সালের অক্টোবরে সেই গ্রহাণুতে হাইড্রক্সিল আয়ন থাকার প্রমাণও পেয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এখানে যে লোহা এবং নিকেল রয়েছে তার ঘনত্ব পৃথিবীতে পাওয়া এই পদার্থের থেকে অনেক বেশি।
সিলিকেট খনিজ পদার্থের উপস্থিতির কথাও জানিয়েছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই গ্রহাণুটির কাছে মহাকাশযান পাঠানোর জন্য আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘স্পেসএক্স’-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে NASA।