Breaking Bharat: যখন তখন হাঁচি কাশি (Sneeze and Cough)? করোনা আসার আগে থেকেই মুখে মাস্ক পরতে হচ্ছে? ডাস্ট এলার্জির সমস্যা নেইতো? ধুলো কাদায় এখন আর শরীর দিচ্ছে না তাই না? কী করবেন?
শরীরে সমস্যা হবে না এমন শরীর করে বোধহয় আমরা জন্মায়নি। তবে যদি সমস্যা হয় তার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। করোনা কাল থেকেই মাস্ক ব্যবহার করা যেন প্রত্যেকের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা প্রয়োজনীয় তা না হলে সমস্যা বাড়বে আপনার এবং চারপাশের।
তবে অনেকে এমন আছেন যারা করোনা আসার আগে থেকেই মুখে মাস্ক পরেন। তাদের সমস্যাটা অন্য ,তারা ডাস্ট এলার্জি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। এ যেন এক জটিল সমস্যা।
শীতে হাঁচি-কাশি ও অ্যালার্জি হলে (Sneeze Cough):
করোনা কালে বাড়িতে বসে কাজ করতে হয়েছে অনেককে। কিন্তু এখন যখন চারপাশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে তখন সকলকেই প্রায় অফিসে যেতে হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে গাড়ির সংখ্যা যানজট সবটাই বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। কলকারখানার ধোয়া তো আছেই, তার সঙ্গে গাড়ির ধোঁয়া যেন মিলেমিশে পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে।
এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই মুখ এবং নাক রুমাল বা হাত দিয়ে চেপে ধরে রাখেন। আসলে ধুলোবালি নোংরা নাকি বা মুখে লাগলে তা থেকে অনেক রকমের সমস্যা তৈরি হয়। সব থেকে আগে যেটা হয় সেটা হলো হাঁচি এবং কাশি (sneezing and coughing)। কিন্তু ধরুন এমন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন যেখানে চোখের সামনে ধুলোবালি দেখতে পারছেন না কিন্তু হাঁচি কাশি হঠাৎ করে শুরু হয়ে গেল।
তখন কি সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লেগেছে বলে, ভুল করবেন? এক্ষেত্রে আপনার জানা দরকার যে কোনটা ডাস্ট এলার্জি আর কোনটা অন্য কিছু? তাই এক্ষেত্রে ডাস্ট এলার্জির কিছু লক্ষণ জেনে নেওয়া দরকার।
ডাস্ট এলার্জির কিছু লক্ষণ (Dust allergy):
শুধুমাত্র বাড়ির বাইরে বেরোলেই যে আপনার ধুলো বালি লেগে সমস্যা তৈরি হবে এমনটা নয়। অনেক সময় ঘরের মধ্যে ধুলো থাকলে বা ধূপ ধুনো এসব থেকেও এলার্জি তৈরি হয়। তাই প্রাথমিকভাবে ঘর পরিষ্কার করার সময় মুখে নাকে কিছু একটা চাপা দিয়ে রাখুন।
চেষ্টা করুন খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ঘর পরিষ্কার করতে। এতে ধুলো কম জমবে আর আপনার খাটুনিও একটু কমবে। যে বিছানায় ঘুমোতে যাচ্ছেন বা ঘুম থেকে উঠছেন সেই বিছানা ঝেড়ে পরিষ্কার রাখুন। কার্পেটে ধুলো জমতে দেবেন না। নিজের জীবনযাত্রার স্টাইল পরিবর্তন করুন তাহলে সমস্যা কমবে।
ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তির উপায়:
আর খাবারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। যাদের ডাস্ট এলার্জির সমস্যা (Dust allergy problem) আছে তারা মধু খান। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ অ্যালার্জির লক্ষণগুলির উপশম হিসেবে কাজ করে। জাস্ট এলার্জির কারণে বেশ অস্বস্তি হয়, সেক্ষেত্রে দু একটা আদার কুচি মুখে রাখতে পারেন। গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুন- Mughlai Paratha : সন্ধ্যেবেলা মুচমুচে মোগলাই পরোটা হলে ব্যাপারটা জমে ক্ষীর! তাই না?
শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই চা। দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বা কাঁচা হলুদ খেতে থাকুন। আপনার অজান্তেই উপকার পেতে শুরু করবেন। বেশি করে টমেটো খেতে পারেনটমেটোতে লাইকোপিন থাকে যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে কোষকে রক্ষা করে।
আরো পড়ুন- Quit smoking : ধূমপান ছাড়া জীবন ব্যর্থ মনে হয়? কোনও ফাঁদে পা নয় ! অনায়াসেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন
রান্নায় যে রসুন লাগে তাও কিন্তু খুব উপকারী। আরেকটা কথা, ব্যায়াম করুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।