Breaking Bharat: মাথার উপর প্রচুর ঋণের বোঝা থাকলে দুশ্চিন্তা কি কমানো যায়? এতগুলো টাকা কী করে শোধ করবেন আপনি? ঋণের ফাঁদ থেকে মুক্তির উপায়?
দুশ্চিন্তা শব্দটা অনেক কিছুকে সঙ্গে নিয়ে আসে। এবং যে কারণগুলো এই শব্দটা জন্ম দেয় সেগুলো সহজে নিষ্কৃতি দেওয়ার মতো হয় না। সকলকে ভাল রাখার ইচ্ছে আর খারাপ আছে কিনা এই টেনশনের মাঝে এই শব্দটার জন্ম হয়ে যায় (Smart Ways to Get Out of a Debt Trap)।
মাথার উপরে প্রচুর চাপ সেটা হতে পারে কাজের বা পারিবারিক ঝামেলার। কিন্তু যদি হয় সেটা ধার বা লোনের তাহলে বোধহয় তার থেকে মারাত্মক কিছু হয় না। লক্ষাধিক টাকার লোন মাথার ওপরে নিয়ে শান্তিতে জীবন যাপনকে আদৌ সম্ভব নাকি রূপকথার গল্পে সেটা বাস্তব? চলুন উত্তর খোঁজা যাক।
ঋণের ফাঁদ থেকে মুক্তির উপায়?
একেক জন মানুষের জীবন ধারণের একেক রকমের স্টাইল থাকে। তার মতো করে জীবন বাঁচার ইনস্পিরেশন খুঁজতে থাকা অন্য মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব বললেই চলে। তাই সমস্যা হলে সমাধান কে কিভাবে করবেন সেটা বাইরে থেকে তৃতীয় পক্ষের বলাটা সমীচীন নয়।
কিন্তু আজকে যে বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলছি সেটা নিয়ে ঝামেলার মধ্যে থাকতে হয় প্রায় এই প্রজন্মের প্রত্যেককেই। কলিকালের এক নতুন লীলা, যা হল ধার করে চলা – বলেই মনে করেন অনেকে। আসলে ধার করাটা কিরকম যেন একটা নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। খারাপ না ভালো সেই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছি না । আসল কথাটা হল প্রয়োজনীয়তার মধ্যে ‘লোন‘ শব্দটা ঢুকে গেছে।
ধরুন হঠাৎ করে বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে আর তার জন্য ইমার্জেন্সিতে বেশ কিছু টাকা ধার নিতে হয়েছে। তখনকার মত তো পরিস্থিতি সামাল দেয়া গেল কিন্তু তারপর? অনেক সময় গয়না বা বাড়ি বন্ধক রেখেও লক্ষ লক্ষ টাকা লোন নিতে হয় কিন্তু শোধ করার সময় কতটা পোয়াতে হয় সেটা মাথায় থাকে?
এতগুলো টাকা কী করে শোধ করবেন আপনি?
প্রত্যেক মাসের এক থেকে পাঁচ তারিখের মধ্যে যখন ‘ইএমআই‘ কাটা যায় তখন টেনশনটা আগের মাসের কুড়ি তারিখের পর থেকেই শুরু হয়ে যায়। বিষয়টা হচ্ছে এতগুলো টাকা কী করে শোধ করবেন আপনি? এই মুহূর্তে যা যুগ পড়েছে তাতে হয়তো কুড়ি হাজার টাকা রোজগার করেও আয়েশ করে একটি জীবন কাটাতে পারবেন না।
কিন্তু ভালো থাকার জন্য নূন্যতম প্রয়োজনটুকু মিটে গেলেই চলে যায় জানেন। যদি কোন বিপদ ঘটে সেটা অন্য কথা, তা না হলে ধার করার প্রয়োজন হবে কেন এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। একটা বাড়ি থাকতে আরেকটা বাড়ি বা একটা গাড়ি থাকতে আর একটা গাড়ি কেনার লোভ থেকে ‘লোন‘ শব্দটা জীবনের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। চেষ্টা করুন এই বিষয়ে নিজের হাত একটু গুটিয়ে রাখতে।
আরো পড়ুন – মেয়ে নাকি ছেলে, কে বেশি পরিণত জানা আছে? ‘মেয়েদের ম্যাচুরিটি’ নাকি ছেলেদের আগে হয়?
যতটুকু না হলে নয় তার বাইরে গিয়ে কিছু করার জন্য লোন করার মতো বোকামি দয়া করে করবেন না । আপনার প্রতিদিনের খরচ যদি হয় একজন মানুষের অন্তত ৩০০ টাকা, সেটা আপনি বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে কত কম করতে পারবেন যে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণশোধ করবেন বলে মনে করছেন? এটা অসম্ভব।
আরো পড়ুন – আপনি কি অলস? জীবনে পরিশ্রম করার জন্য কি সত্যিই কোনও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়?
মানুষ অভ্যাসের দাস সেটা মনে রাখতে হবে। যাক ঠান্ডা হাওয়া খাওয়া অভ্যাস সেই নিজের মনকে শক্ত করে হয়তো এসি বন্ধ করতে পারবে কিন্তু ফ্যানের হাওয়া ছাড়া গরমকালে থাকতে পারবে না। আপনি যদি ভাবেন কোন এক জাদু বলে হাতপাখা দিয়ে হাওয়া খেয়ে কারেন্ট বাঁচাবেন, তাহলে সেটা মূর্খের স্বর্গে বাস করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরো পড়ুন – সুদখোর! জীবনে কখনো সুদখোর মানুষের পাল্লায় পড়েছেন?
নিজের চাহিদাকে প্রসারিত করতে শিখুন তবেই গিয়ে লোনের ঝক্কি এড়াতে পারবেন। যত টাকা রোজগার করেন সেই টাকাটা কি দুটো ভাগে ভাগ করুন একটা ভাগ পুরোপুরি রেখে দিন লোন শোধ করার জন্য। অন্য ভাগ থেকে যেভাবে হোক সংসার চালিয়ে বাঁচতে হবে আপনাকে।
ধরে নিন এটাই আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য। জীবনে ভাত আর বিরিয়ানির পার্থক্যটা বুঝতে শিখুন কোনটা প্রয়োজন আর কোনটা বিলাসিতা এটা না বুঝতে পারলে কিন্তু কোনদিনই লোনের বিপদ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন না আপনি।