Breaking Bharat: সারাদিন গা ম্যাজম্যাজ, শরীরে ক্লান্তি? সকালবেলা কটার সময় ঘুম থেকে উঠছেন (Sleeping late) ? ওখানেই লুকিয়ে আছে আসল রহস্য! কিরকম একটা খিটখিটে ভাব লেগে থাকে। খালি মনে হয় শুয়ে পড়ি। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন এই সব থেকে বেরিয়ে আসার উপায় টা কি?
আজকালকার দিনে জীবন ধারণের স্টাইলটা বদলে গেছে। কাজের সঙ্গে মানান সই করে তৈরি করে নিতে হচ্ছে রুটিন। কখনো সকালে কাজ, কখনো বা দুপুরে, কখনো আবার সন্ধ্যে থেকে টানা রাত, কখনো আবার সারা রাত। এই সবকিছু করতে গিয়ে যেটা ক্ষতিগ্রস্ত শান্তির ঘুম।
সকালে ঘুম থেকে না উঠলে মাথা যন্ত্রণা করে?
এখান থেকেই তৈরি হচ্ছে সমস্যা। দেরি করে ঘুমোনোর ফলে সকালে উঠতে কষ্ট হচ্ছে সবার। তারপর সারাদিন মাথা ভার হয়ে থাকা, গা ম্যাজম্যাজ এইসব লেগেই আছে। সকালে ঘুম থেকে না উঠলে মাথা যন্ত্রণা করে।
সুস্থ থাকতে হলে একজন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। কিন্তু কোনভাবেই সেটা যদি না হয় তাহলে শারীরিক মানসিক দুদিকেই সমস্যা বাড়তে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু শরীর চর্চা করা বা এদিক ওদিক হেঁটে বেড়ানো দরকার। কথায় আছে morning shows the day অর্থাৎ সকালটা যদি ভালোভাবে শুরু করা যায় নিজে থেকেই সারাদিনের গতিপথটা অনেক মসৃণ হয়।
দেরি করে ঘুমোনোতে বাধ্য করে মোবাইল ফোন:
তবে তাড়াতাড়ি উঠতে গেলে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে হবে আপনাকে। দিনের পর দিন রাতে দেরি করে ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা সম্ভব নয়। সাধারণ হিসেবের কাজ করতে করতে খুব একটা রাত হয় না। কিন্তু দেরি করে ঘুমোনোতে বাধ্য করে মোবাইল ফোন (Mobile phones make you sleep late)।
ধুর মোবাইলে কিছু একটা দেখছেন বা করছেন কখন যে ঘড়ির কাঁটা গভীর রাতে পৌঁছে যাবে আপনি বুঝতেও পারবেন না। এই একটু চেষ্টা করুন মোবাইল ফোনকে দূরে রাখতে। সকালে মোটামুটি ভাবে অন্তত যদি সাতটার মধ্যেও ঘুম থেকে উঠে পড়েন তাহলেও দেখবেন সারাদিনের কাজে গতি আসবে।
অনেকের অভ্যাস আছে রাতে ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে যাওয়ার:
তার জন্য আপনাকে রাখতে খুব বেশি হলে বারোটার মধ্যে শুয়ে পড়তেই হবে। এর মানে এমন নয় যে বিছানায় এলিয়ে দিয়ে মোবাইলে চ্যাট করবেন বা সিনেমা দেখবেন বা টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। ঘুমোনো মানে চোখ বন্ধ করে চিন্তা মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ ঘুমানো। অনেকের প্রবণতা আছে রাতে ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে যাওয়ার (Take medicine at night and go to sleep)।
দীর্ঘদিন ধরে এটা চলতে থাকলে শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। চেষ্টা করুন স্বাভাবিক উপায় যাতে আপনার ঘুম চোখে আসে সে দিকটা নজর দিতে। শুয়ে পড়ুন ঘুম না এলে হাতে পায়ে ঠান্ডা জল দিয়ে আসুন, মুখেও জলের ঝাপটা দিতে পারেন।
আরো পড়ুন- Detective Storys : গোয়েন্দাদের দেখতে সিনেমা হলে যান ? কদর কমল নাকি সত্যান্বেষী রহস্য সন্ধানীদের?
রাতে দেরি করে শুলে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে গেলে সবার আগে মাথার যন্ত্রণা বা ব্যথা মাথা ভার হয়ে থাকা, কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। তখন সকাল থেকেই তারা কাজের তাগিদেই ওই অসুস্থ অবস্থায় ঘুম থেকে উঠেই ওষুধ খেয়ে নিজের জীবনটা শুরু করেন। এতে শরীরে আরো খারাপ প্রতিক্রিয়া হয়।
সবকিছুর একটা সাধারণ নিয়ম আছে। সেটাকে যদি আপনি নষ্ট করে দেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব জীবনে এবং চারপাশে পড়বেই। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করে বা চা খেয়ে, তারপর সময়মতো কাজে যাওয়া।
আরো পড়ুন- Kashmiri girls : ভূস্বর্গ ভয়ংকর! সেখানেই কি নরক দর্শন নারীর? কাশ্মীরি নারীদের অবস্থা কি জানেন?
দুপুরে সময়মতো খাওয়া দাওয়া করা ,এই রুটিনটা আপনার জীবনকে একটা ছন্দে বাঁধবে। জীবনের গানটাকে সুরেলা করে তোলার দায়িত্ব কিন্তু আপনার কাঁধেই আছে। মানুষ অভ্যাসের দাস ,চেষ্টা করুন প্রথম প্রথম কষ্ট হবে তারপর সয়ে যাবে।
আরো পড়ুন- iPhone : আইফোন কী ভাবে এত স্পেশাল হল? জনপ্রিয়তার শীর্ষে আইফোন! রহস্যটা কী?
আজ থেকে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমান প্রয়োজনে একটা বই বা নিউজ পেপার সাথে রাখতে পারেন যাতে সেদিকে পড়তে পড়তে তন্দ্রা চলে আসে আর আপনি ঘুমিয়ে পড়েন । তাড়াতাড়ি ঘুমান আর তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ুন সকালে।