Breaking Bharat: Singabad : রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া জীবন অচল? পৃথিবীর শেষ রেল স্টেশন কোথায় আছে জানেন ? এই স্টেশনের গল্পটা বেশ অন্যরকম।
এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যেতে ট্রেনের কোনো জুড়ি নেই। কিন্তু এই ট্রেনের যাত্রাপথের শুরু থেকে শেষ কতটা জানেন আপনি? এই যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করি যে ভারতের শেষ রেল স্টেশন (India’s last railway station) কোনটি, বলতে পারবেন?
সিঙ্গাবাদ হল ভারতের শেষ রেলস্টেশন:
উত্তরটা আমরাই দিচ্ছি। সিঙ্গাবাদ হল ভারতের শেষ রেলস্টেশন (Singabad is the last railway station in India)। এই স্টেশনের গল্পটা বেশ অন্যরকম। ব্রিটিশ আমল থেকে এই স্টেশন একদম একই রকম হয়ে গেছে। পরিবর্তন সংসারের নিয়ম বলে যদি আপনি মেনে থাকেন তাহলে সেই বিষয়টা এখানে খাটে না।
আরো পড়ুন – Twins are born : প্রতি ঘরেই জন্ম নেয় যমজ শিশু। এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট হবে যমজ সন্তান জন্মের রহস্য!
জানলে অবাক হবেন যে এই পথ দিয়ে যাত্রা করে গেছেন মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে সুভাষ চন্দ্র বসু। এবার এই স্টেশনের কিছু ঘটনা বলি আপনাকে।
ভারতের শেষ স্টেশনে ফিরে আসবে পুরনো স্মৃতি:
রেল বোর্ডের নিয়ম মেনে বদলে গেছে টিকিট ব্যবস্থা। আজকাল প্রতি মুহূর্তে আপডেট হচ্ছে রেলের টিকিটিং সিস্টেম। ডিজিটাল যুগে এখনও আছে কার্ডবোর্ডের টিকিট। আর সেটা আছে ভারতের শেষ স্টেশনে। ভাবুন তো সেই পুরনো স্মৃতি ফিরে আসবে আবার (Old memories will return to India’s last station)।
আরো পড়ুন – ৬০ ডিগ্রী ঝুঁকে আছে পাথরের তৈরি আগ্রার কেল্লা, কিন্তু কেন জানা আছে কি?
মনে হবে নস্টালজিয়ায় বাস করছেন যদি হঠাত এই স্টেশনে চলে যান। আপনি জানেন এখানে মানে স্টেশন মাষ্টারের ঘরে রাখা টেলিফোনটিও সেই মান্ধাতার আমলের। কর্মচারীর সংখ্যা হাতে গোনা। অটোমেটিক সিগনাল ভুলে যান এখানে এখনও হ্যান্ড গিয়ার ব্যবহার করা হয় যাতে সিগনাল সিস্টেম ঠিক মতো কাজ করে।
কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ট্রেন সংযোগের জন্য ব্যবহার :
যদি বলেন এর অবস্থান কোথায়? তাহলে বলি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের শেষ রেলওয়ে স্টেশন এটি, যা পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয় । তবে স্টেশনটি জনশূন্য। বাংলাদেশ যেতে হলে এই স্টেশন থেকে পায়ে হাঁটা শুরু করলেই হল।
আরো পড়ুন – বিদেশে গিয়ে অর্থ লাভ? স্বপ্ন সত্যি করতে এই দেশগুলির উপর নজর রাখুন
একটা সময় ছিল যখন এই স্টেশনটি কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ট্রেন সংযোগের জন্য ব্যবহার করা হত। এখানে আবার টিকিট কাউন্টার বন্ধ । আসলে যেহেতু যাত্রী ওঠানামা নেই তাই টিকিটের সিস্টেম নেই। তবে ব্যতিক্রম দুটি ট্রেন। মৈত্রী এক্সপ্রেস ও মৈত্রী এক্সপ্রেস-১। তবে গাড়ি টানা চলে যায়। থামে না বটে।
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা দরকার যে নেপালগামী ট্রেনও এখান থেকে যেতে শুরু করেছে। আসলে বাংলাদেশ থেকে নেপালে যে খাদ্য রফতানি হয় সেই সব পণ্যবাহী ট্রেনের চালান রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে আসে।
এই ট্রেন এবং স্টেশন বিস্ময়ের সৃষ্টি করে বৈকি। তাহলে কি একবার যাবেন? জানাতে ভুলবেন না যেন!