Breaking Bharat: চিংড়ি মাছ কি আপনার প্রিয়? কিন্তু এই মাছেই যে লুকিয়ে যে মারাত্মক বিপদ! জানেন কি? খাবার খেতে যারা ভালোবাসেন তারা নিশ্চয়ই চিংড়ি মাছ পছন্দ করেন? না অনেকে অবশ্য অ্যালার্জির কারণে এড়িয়ে যান এই খাবার।
কিন্তু ভালবাসার বসে যারা একের জায়গায় ৪ পিস মাছ খান তারা একটু সাবধান হয়ে যান কারণ এই চিংড়ি মাছ থেকেই বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে আপনার জীবনে। আর এই বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে আপনি কিছু জানতেই পারবেন না।
চিংড়ি মাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখা বাঙালিকে চিনতে কষ্ট হয়। কারণ সেইরকম কাউকে তো খুঁজেই পাওয়া যায় না। বাজারে গেলে একবার দর করতেই হয়, কিগো চিংড়ি কত? এই মাছ জলের পোকা কিনা তাই নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবে বাজারে গেলেই হয় বাগদা নয় গলদা, কিছু না হোক অন্তত কুচো চিংড়ি তো থাকবেই বাঙালির বাজারের থলিতে।
মেনু লিস্ট বেশ লম্বা, ধরুন শুরুটা যদি লাউ চিংড়ি দিয়ে হয় তাহলে একে একে আসতে থাকবে চিংড়ি মাছের কোর্মা, চিংড়ির বিরিয়ানি, কচুর লতি চিংড়ি, পুঁই চিংড়ির পকোড়া, দই চিংড়ি, ডাব চিংড়ি, চিংড়ি , চিংড়ির চপ, এবং অবশ্যই বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের চিংড়ি মাছের মালাইকারি। বিজ্ঞান বলছে চিংড়িতে প্রোটিন প্রায় ৫৮ থেকে ৬২ শতাংশ মতো।
ফ্যাটের পরিমাণ অন্যান্য মাছ বা মাংসের তুলনায় অনেকটাই কম মাত্র ৪-৬। শতাংশের কাছাকাছি। তবে এই মাছ খেতে হলে একটু ডাক্তারি পরামর্শ নিয়েই এগোনো উচিত। বিশেষ করে রক্তে যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই চিংড়ি খান। তা যদি না করেন তবে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে কিন্তু, মনে রাখবেন।
আপনার ভালোর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানিয়ে রাখি, চিংড়ি মাছ সবসময় আনস্যাচুরেটেড তেলে যেমন সয়াবিন বা সানফ্লাওয়ার তেলে রান্না করতে পারলে ভাল হয়। আসলে এটাই স্বাস্থ্য সম্মত ব্যাপার। চিংড়ি থেকে যে যে সমস্যা হতে পারে তার একটা ধারণা দেওয়া হল।
এই মাছে আছে বেশ কিছু অ্যালার্জিক যৌগ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ট্রোপোমায়সিন, আর্জিনিন কাইনেজ ইত্যাদি। এই সব যৌগ আমাদের শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে যেমন, ত্বকের প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, চোখের সমস্যা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন – ‘টি সিরিজ’ কোম্পানির গান-বাজনা শোনেন, কিন্তু ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় আছে কি?
আর হ্যাঁ চিংড়ি খেতে হলে পরিষ্কার করে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। না হলে বর্জ্য পদার্থ থেকে রোগ ছড়াতে পারে। আপনার বা আপনার পরিবারের কারোর যদি ডায়াবেটিস, কিডনি, ডিসলিপিডমিয়া জাতীয় কোনও সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে চিংড়ি খান।
আরো পড়ুন – মধ্যবিত্তদের উচ্চশিক্ষা কি শুধুই স্বপ্ন নাকি আদৌ বাস্তবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
তবে এমন ভাবার প্রয়োজন নেই যে এই মাছে সব খারাপ। না না মন ভাঙার মতো কথা বলছি না আমরা। ক্যান্সার রোধে কার্যকর চিংড়ি। আসলে চিংড়ির মধ্যে থাকে সেলেনিয়াম, দেহে যা ক্যান্সার কোষ গঠন করতে দেয় না। চিংড়ি শরীরের প্রায় ১৭ শতাংশ আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে, জানেন কি?
আরো পড়ুন – ‘কন্যাদান’ কত বড় অন্যায় সে কথা জানেন? সমাজের কিছু নিয়মের পরিবর্তন আনতে এত সমস্যা কোথায়?
যারা মোটা মানুষ তারা চুটিয়ে চিংড়ি খেয়ে সুস্থ থাকতে পারেন। আসলে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে চিংড়ি শরীরে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। অবশ্য এই বিষয়ে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
সবশেষে বলি সব ভালোর মাঝেও বিপদ লুকিয়ে থাকে। যদি ভুল করে হলেও শিরা-যুক্ত চিংড়ি মাছ খেয়ে থাকেন তবে শরীরে প্রদাহ তৈরি হতে পারে।এখানেই শেষ নয় শ্বাসনালির পেশির সংকোচন বেড়ে যায় এবং রক্তনালিও ফুলে ওঠে। এই অবস্থা হল ভ্যাসোডাইলেশন। এর ফলে যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত আর হৃদযন্ত্রে পৌঁছয় না। তাই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তাই ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে নিজের খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন।