Breaking Bharat: দুটি সন্তানের বেশি কখনই পরিবারে আনা উচিত নয়, কেন বলেন চিকিৎসকেরা?সন্তান বাবা-মায়ের কাছে সম্পদ। একটা আলাদা রকমের উন্মাদনা কাজ করে এই সন্তানকে ঘিরে। বিয়ের পর সন্তান উৎপাদন খুব স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় এক প্রক্রিয়া। কিন্তু এখনকার দিনে খুব বেশি করে সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করার মত অবস্থা তৈরি হয়েছে।
একটি বা দুটি সন্তানের বেশি কখনই কাঙ্খিত নামে একটা পরিবারের কেন এমন কথা বলছেন চিকিৎসকেরা নিশ্চয়ই আপনি জানেন? দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা মানুষের সমস্যার একটা বড় কারণ। এখনই সমাধান না করতে পারলে ভবিষ্যতে অনাহারে মরতে হবে সকলকে।
ভারতে দুইয়ের বেশি সন্তান নেওয়া কি নিষিদ্ধ?
ভারতবর্ষের জনসংখ্যা প্রায় দেড়শ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে চলেছে। গোটা বিশ্ব প্রায় ৮০০ কোটি ছাড়ালো। কিন্তু এত মানুষের তুলনায় এত স্থান বা জায়গা রয়েছে কি? ভেবে দেখুন প্রত্যেকদিন বা প্রত্যেক ঘন্টায় বিশেষ কোনো না কোনো প্রান্তে একজন মানুষের জন্ম হতে পারে।
কি তুই এত সময় সেই একজন মানুষের জন্য নতুন একটা করে জায়গা কি আর আবিষ্কার করা সম্ভব? সভাপতি উত্তরটা হবে, না। এবার ভেবে দেখুন পৃথিবীতে মানুষ বাড়ছে জায়গা কমছে অর্থাৎ থাকার জন্য লড়াই তৈরি হবে সেখানে গিয়ে কি আবারো একটা হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগাম সংকেত মিলছে না?
এর জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে আর সেই কারণে গাছ কেটে ঘর বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু। আবার এখানে কত বড় বিপদ লুকিয়ে আছে সেটা দেখুন। যত বেশি সবুজকে ধ্বংস করবেন তত বেশি করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবেলা করতে হবে আমাদের। কারণ দুর্যোগকে আটকে রাখা যাবে না।
তাহলে লড়াই টা কিসের সাথে করবেন এক থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে অন্যদিকে সেই দুর্যোগে মানুষ প্রাণ হারাবেন তার সঙ্গে আবার বেঁচে থাকার লড়াই। তাহলে জন্ম যদি আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় গোটা বিষয়টাই সুখকর হয় না কি?
আরো পড়ুন – কোন খাবার সত্যিই ভালো আর কোনটা খারাপ! জেনে নিন
এর সঙ্গে রয়েছে আবার বেড়ে উঠা বা বড় হবার পারিবারিক দায়িত্ব পালন করা। চারিদিকে অর্থনৈতিক মন্দা একের পর এক দেশ করোনা পরবর্তী সময়ে নিজেদের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করছে। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে বাজারে চাকরির আকাল। অনেকটা মিউজিক্যাল চেয়ার এর মতো মানুষ বেশি চেয়ারের সংখ্যা কম, প্রতিযোগিতা বেশি চাকরি কম তাহলে?
আরো পড়ুন – সন্দেহবাতিক হওয়া কি দোষের? এটা কি একটা রোগ কী করে পরিত্রাণ পাওয়া যায় জানা আছে?
যদি দিনের পর দিন এরকম ভাবে চলতে থাকে তাহলে রুজি রুটি রোজগারের জন্য মানুষকে অন্য মানুষের উপর নির্ভরশীল হতে হবে অথবা হিংসাত্মক পথ বেছে নিতে হবে নিজের বেঁচে থাকার জন্য। আরে এত কাণ্ড আটকানো সম্ভব শুধুমাত্র একটা সিদ্ধান্তের দ্বারা। মনে রাখতে হবে যে আমরা আমাদের পরিবারকে সীমিত রাখবো ।
আরো পড়ুন – রাইনোপ্লাস্টি কী? কীভাবে ভোঁতা নাক ঠিক করবেন জানা আছে?
ছোট পরিবার সুখী পরিবার এই ভাবনাকে মাথার মধ্যে প্রতিস্থাপিত করার সময় বোধহয় এসেছে। একটু চেষ্টা করে দেখলেই কিন্তু সকলেই এই কাজটি করতে পারেন তার জন্য কোনও ধর্মকে শিখন্ডী করার প্রয়োজন পড়ে না। আবারো বলছি আমরা কোন বিশ্বাস বা কোন সংস্কারকে আঘাত করতে চাই না। শুধু বাস্তবে যেটা প্রয়োজনীয়, যেটা বিজ্ঞান বলছে, যেটা সমাজতাত্ত্বিক এবং চিকিৎসকদের মত সেটাই বলছি আমরা।
আরো পড়ুন – আপনার স্ত্রী কি আপনার থেকে বয়সে বড়? একাধিক সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে বুঝি?
তাই যুক্তি দিয়ে নিজে বিচার করুন, একের পর এক সন্তানের জন্ম দিয়ে বিপদ বাড়াবেন নাকি সুস্থ এক সমাজ এক বা দুই সন্তানকে দেবেন সেই দায়িত্বভার কিন্তু আপনার হাতেই।