Breaking Bharat: স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রীর পাসওয়ার্ড শেয়ার করা কতটা প্রয়োজনীয়? স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড শেয়ার করা খুব দরকারী কি? প্রশ্নটার মধ্যেই কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন আর ব্যক্তি চিন্তনের কথা বোঝা যায়।
দাম্পত্য মানে দুটো মানুষের একসঙ্গে অনেকটা পথ চলা। কিন্তু সেটা করতে গেলে অনেকটা ধৈর্য আর বিশ্বাস দরকার যেটা একে অন্যের প্রতি না থাকলে কিছুতেই একটা সম্পর্ক টিকে থাকতে পারে না বছরের পর বছর। আজকের প্রতিবেদনে সেই বিশ্বাসের ভীত কতটা মজবুত সেই নিয়েই আলোচনা করার চেষ্টায় এক উদাহরণ শিরোনামে উল্লেখ করা আছে।
স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড শেয়ার:
পাসওয়ার্ড শব্দটার মধ্যে গোপনীয়তা বজায় রাখার একটা বিশেষ দিক জড়িয়ে আছে। বর্তমান যুগে আমাদের ব্যক্তিগত বা কর্মজগতের তথ্য আমাদের একান্ত মুহূর্ত কোন কিছুই সুরক্ষিত নয়। সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে আমরা নিজেদের আড়াল করার জিনিসগুলোকে লুকিয়ে রাখতে চাই, সুরক্ষিত রাখতে চাই।
এবার এই পাসওয়ার্ড কাউকে দেওয়ার অর্থ তিনি আপনার ব্যক্তিগত জিনিসের অধিকার পাচ্ছেন অর্থাৎ সেগুলো দেখার বা নাড়াচাড়া করার অধিকার তাকে দেওয়া হল। এখানে প্রশ্নটা হচ্ছে এই অধিকার কাকে দেওয়া যায় বা কাউকে দেওয়া যায় কিনা?
স্বামীকে পাসওয়ার্ড দেয়া যায় কি?
খুব স্বাভাবিকভাবেই এখানে বিশ্বাস সভ্যতার একটা আলাদা গুরুত্ব উঠে আসবে। কথায় আছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল বিশ্বাস সেটা না থাকলে সম্পর্ক থাকে না। এখানেই আলোচ্য বিষয় আপনার স্বামীকে পাসওয়ার্ড দেয়া যায় কিনা। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কিসের পাসওয়ার্ড নিয়ে কথা হচ্ছে? এটা কি কোন মোবাইল অ্যাপের পাসওয়ার্ড ?
যেমন ধরুন হটস্টার বা নেটফ্লিক্স বা হইচই নাকি আপনার মোবাইলের চ্যাটিং অ্যাপের, ফেসবুক বা whatsapp নাকি আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড, যার মধ্যে আছে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার প্রতিটা মানুষের জীবনের কিছু নিজস্ব পদ্ধতি বা চিন্তা ভাবনা থাকে যেটাতে অন্য কারুর হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা যায় না।
আরো পড়ুন – স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার! অর্থাৎ স্বামীর উপর নির্ভর করে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক?
সেটা বোধহয় মোবাইলের ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে কার্যকরী। একটা কথা বলুন তো আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড স্বামীর সঙ্গে বা পার্টনারের সঙ্গে শেয়ার করার অর্থ কী এটাই যে আপনি তাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন? নাকি একে অন্যকে বিশ্বাস করেন কিনা তার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একে অন্যের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা দরকার?
এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার যে কোন সম্পর্ক বিশ্বাস ছাড়া তৈরি হতে পারে না তাই আপনার পার্টনার বা স্বামী আপনাকে বিশ্বাস করেন তাহলে সামান্য মোবাইলের মধ্যে কি আছে তাই নিয়ে একে অন্যের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল উঠবে না।
আরো পড়ুন – প্রথমবার যৌন সম্পর্কে নার্ভাস! শারীরিকভাবে একে অন্যের ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে জেনে নিন
আবার এমনটাও হতে পারে আপনি ভালোবেসে বিশ্বাস করে ইচ্ছে করেই পাসওয়ার্ড শেয়ার করে দেখেছেন কারণ আপনি জানেন এটা খুব একটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি এমনটা হয় মানে দ্বিতীয় টা তাহলে সেটা সম্পূর্ণরূপে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু হয়তো এমন কিছু আছে আপনার মোবাইলে বা ব্যক্তিগত জীবনে যেটাকে গোপন করে রাখাটা দরকার বলে আপনার মনে হয়েছে, তাহলে আপনাকে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার ক্ষেত্রে অন্তত দুবার ভাবতে হবে।
প্রতিটা মানুষের জীবনে প্রেমের আগে এবং পরে বা বিয়ের আগে এবং পরে দুটো করে আলাদা অধ্যায় থাকে। এবার দুটো চ্যাপ্টারকে একসঙ্গে মিশিয়ে ভবিষ্যৎ গড়বেন নাকি দুটোকে আলাদা রাখবেন সেটা দেখতে বিশেষ এ নির্ভর করে। এখানে অন্য কারোর হস্তক্ষেপ কখনোই কাঙ্খিত নয়।
আরো পড়ুন – নৈহাটির বড়মাকে দর্শন করতে গেছেন কখনো? ইতিহাস জানলে শিহরিত হবেন আপনি!
আরেকটা জিনিস মনে রাখা দরকার যদি এমন হয় যে আপনার বিশ্বাসের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মোবাইলের পাসওয়ার্ড শেয়ার করে তাহলে একবার ভেবে দেখুন সেই সম্পর্কটা কতটা ভেতর থেকে তৈরি হয়েছে।
কারণ আজকে পাসওয়ার্ড শেয়ার না করার মানে যদি দাঁড়ায় আপনি সম্পূর্ণভাবে আপনার পার্টনার কে বিশ্বাস করেন না বা কোনও কথা লুকিয়ে রাখতে চান, তাহলে ভবিষ্যতের ছোট ছোট বিষয় আরো কত বড় কান্ড ঘটতে পারে যার সম্পর্কে হয়তো এখনই ধারণা করতে পারছেন না।
আরো পড়ুন – iPhone: আইফোনের স্বপ্ন সবার কি পূরণ হয়? কেন মধ্যবিত্তের কপালে জোটে না আইফোন?
ভার্চুয়াল জগতে আবদ্ধ থাকতে থাকতে আমাদের চিন্তা ভাবনা গুলো কেমন ছোট হয়ে গেছে। একটু গভীর সদর্থক মাইন্ডসেট নিয়ে সম্পর্ককে সম্মান করুন। তখন দেখবেন এই ছোটখাটো বিষয়গুলো সত্যিই গুরুত্বহীন হয়ে দাঁড়াবে।