Breaking Bharat: আদিত্য এল ওয়ান সূর্য সম্পর্কে ঠিক কোন কোন তথ্য দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে? ভারতের প্রথম সৌর মিশন শুরু হল। একদিকে চাঁদের বুকে রোভারের আয়ু কমছে কারণ চাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে। অন্যদিকে আলোক উজ্জ্বল সূর্যের উদ্দেশ্যে এবার এক নতুন মিশন নিয়ে কাজকর্ম শুরু ইসরোর বিজ্ঞানীদের। আদিত্য এল ওয়ান ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এক যুগান্তকারী বড় পদক্ষেপ।
চন্দ্রয ান তিন সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর থেকে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে মানুষের আগ্রহ বিশেষ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মাদনা বেশ বেড়েছে । তাই রবিবারে সূর্য মিশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া রকেট নিয়েও আলোচনা চারিদিকে। কিন্তু এই মিশন কতদিন ধরে কার্যকরী থাকবে কিংবা ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে মিশনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হবে সেগুলো সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার তথ্য কিন্তু আমজনতার হাতে পৌঁছয়নি।
সূর্য আর কত দিন বাঁচবে?
আপনি কি জানেন সূর্য আর কত দিন বাঁচবে সেটাই জানাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই আদিত্য এল ওয়ান? মহাকাশ ব্যাপারটা নিয়ে আগে থেকে কোন কিছু বলা মুশকিল কারণ পুরোটাই আমাদের কাছে অজানা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইতিমধ্যেই সূর্যকে টার্গেট করে তাদের একাধিক পরিকল্পনা করেছে।
কিন্তু ভারতের আগে কোনদিন সূর্যের কাছাকাছি কোন রকেট পাঠাতে পারেনি। সূর্যের অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক তথ্য বিজ্ঞানীদের কাছে চলে আসবে যদি এই মহাকাশ অভিযান সফল হয়।
চাঁদে যখন চন্দ্রযান তিন পাড়ি দিয়েছিল অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন কিন্তু শেষমেষ ভারতের নাম উজ্জ্বল হয়েছে। তাই এখন থেকে প্রায় মাস চারেক পরে আরেকটা ইতিহাস তৈরি করবে ভারত এমন আশা দিচ্ছে আদিত্য এল ওয়ান।
সূর্য সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
এর মাধ্যমে সূর্য সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খোঁজা হবে। এখানে একটু বলে দেওয়া দরকার যে আগামী দশক ও শতাব্দীকে পৃথিবীতে সম্ভাব্য জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
এখনো পর্যন্ত যা খবর তাতে ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য-এল১-কে পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে প্রথম ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে। মহাকাশের এই অংশ থেকে এর আগে কাজ হয়নি, তাই সেক্ষেত্রে বলাই যেতে পারে যে এই প্রান্ত থেকে প্রথমবার সূর্য সম্পর্কিত একাধিক তথ্য প্রেরণ করবে এই মহাকাশযান।
আরো পড়ুন – চন্দ্রযান-৩ মিশনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? ইসরো প্রধান এস সোমনাথের কত স্যালারি পান?
যদি ওই সংক্রান্ত পরিকল্পনা আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগেই করা হয়েছিল।আসলে পৃথিবীতে প্রাণের মূল অস্তিত্ব সূর্যের উপরই নির্ভরশীল। আমরা সকলেই জানি সব শক্তির উৎস সূর্য। আমাদের তাই বুঝতে হবে সূর্য থেকে একই শক্তি বিকিরণ নির্গত হচ্ছে কি না নাকি তার পরিবর্তন হয়েছে। যদি এমনটাই হয় তাহলে এটা বলাই যায় যে আগামীতে যদি সূর্য একই পরিমাণ শক্তি বিকিরণ না করে, তবে তা জলবায়ুর উপর খুব বড় প্রভাব ফেলবে।
আরো পড়ুন – Virat Kohli: বিরাট কোহলির ক্রিকেট ক্যারিয়ার বাঁচিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি?
শুধু ভবিষ্যৎ নয় এ ক্ষেত্রে অতীতটাও জানা দরকার আর তাই ল্যাগারেঞ্জ বিন্দু থেকে দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করা হলে সূর্যের ইতিহাস সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। সাধারণত প্রতি ১১ বছর অন্তর সূর্যের চৌম্বকীয় কার্যকলাপের পরিবর্তন ঘটে যা সৌর চক্র নামে পরিচিত। এর ফলেই ঘটে বিশাল বিস্ফোরন। এই ঘটনাকে বলা সৌরঝড়। বিজ্ঞান বলছে কোন নক্ষত্রের আয়ু কতদিন তা অনেকটাই নির্ভর করে তার ভরের উপর।
আরো পড়ুন – রিলায়েন্স থেকে এক টাকাও স্যালারি নেন না মুকেশ আম্বানি? কিন্তু কেন জানেন?
বিজ্ঞানীদের অনুমান যে, ৮০০ কোটি বছরে গিয়ে সর্বোচ্চ উষ্ণতায় পৌঁছবে সূর্য। তারপর ক্রমশ শীতল হতে থাকবে।।এবার উষ্ণতা যত কমবে ততই সূর্যের আয়তন বাড়বে। অনুমান প্রায় ১১০০ কোটি বছর বয়সে পুরোপুরি মৃত্যু হতে পারে সূর্যের। এই তথ্য কতটা নিশ্চিত করবে আদিত্য এলওয়ান এখন সেটাই দেখার।