Breaking Bharat: জীবনের উদ্দেশ্য মহৎ হওয়া কিন্তু এই কথাটা কাব্যে যতটা ভালো লাগে বাস্তব ছবিটা ততটাই আলাদা। প্রতিমুহূর্তে চারপাশে এত এত মানুষের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার পর মনে হয়, এর থেকে ভালো হতো নাকি যদি একটু স্বার্থপর হতে পারতাম ? তাহলে কি প্রয়োজনে স্বার্থপর হওয়া ভালো নাকি স্বার্থপরতা বিষয়টা প্রতিটি মানুষের চিরজীবনের মতো বর্জন করা উচিত?
বেঁচে থাকতে চাইলে আপনাকেও হতে হবে স্বার্থপর:
আজ যে বিষয় নিয়ে কথা বলছি সেটা শুনলে আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে নৈতিকতা নিয়ে। জানেন কি সঠিক কাজের জন্য কখনও সত্যি গোপন করে চারপাশকে ভালো রাখতে মিথ্যে বলতে হয়। তাতে স্বধর্ম থেকে বিচ্যুত হবার কিছু নেই। কিছু উদাহরণ দিলে হয়তো বিষয়টা পরিষ্কার হবে।
জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া উচিত?
যখন আপনি কোনও বড় পদে বড় দায়িত্ব পাবেন, তখন বৃহত্তর ক্ষেত্রে আপনাকে একটু স্বার্থপর হতে হবে। কারণ সবার কথা ভাবতে গেলে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাই আপনি যেই তখন নিজের কথা শুনবেন বাকিদের কাছে আপনি স্বার্থপর হয়ে যাবেন (Should be selfish)।
এরকম উদাহরণ কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে বা খেলার মাঠেও পাবেন। আসলে সবসময কিন্তু সবাইকে তুষ্ট করে জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায় না। কিছু ক্ষেত্রে একটু নিজেকে প্রাধান্য দিতে হবে আপনাকে,হয়তো কোনো বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে সাময়িক স্বার্থপরতা আখেরে একটা শুভ আগামীর ইঙ্গিত দেবে।
আরো পড়ুন- সারাক্ষণ মন খারাপ থাকা কি মানসিক অবসাদের লক্ষণ? এ থেকে মুক্তির উপায় কি?
আরো পড়ুন- নিজের আসল শত্রু বা মুখোশের আড়ালে থাকা মানুষটাকে চিনতে শিখুন! কিভাবে?
আরো পড়ুন- আপনার কি খুব রাগ হয় ? অল্পেতে ভীষণ রেগে যান? কিভাবে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
আরো কিছু ক্ষেত্র আছে যেমন পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে হলে আপনাকে স্বার্থপর হতে হবে, বা ধরুন কন্সপিরেসি থিওরি রুখে দেয়ার জন্য হলেও আপনাকে স্বার্থপর হতে হবে।
আসলে কি বলুন তো জীবনে ভালো হওয়াটা সবথেকে বেশি দরকার। তাই সেক্ষেত্রে কখনো যদি প্রয়োজন হয় একটু-আধটু নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হয়। তবে সেটা কারোর ক্ষতি করে নয়। মনে রাখবেন আমরা কারোর ভালো যদি নাই বা করতে পারি, ক্ষতি যেন অজান্তেও না করি। মানুষ কথাটার অর্থই হলো মান আর হুঁশ। তাই চলুন সবাইকে ভালো রাখি।