Breaking Bharat: বাবা মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে কেন মেনে নিতে পারেন না বেশিরভাগ সন্তান? ছোটবেলা থেকে মা-বাবার মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাক বা ঝগড়াঝাঁটি, মা কিংবা বাবা আলাদা হয়ে অন্য কাউকে নিয়ে ঘর বাঁধছেন এটা কোন সন্তানই মেনে নিতে পারেন না।
এই পৃথিবীতে ভালো থাকার অধিকার সবার আছে। আসি অধিকারকে যদি কখনো সামনে এনে সবাইকে জানিয়ে দিতে হয় তখন এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যেটা কেউই হয়তো আশা করেন না। এত কথা বা ভূমিকা করার কারণ আজকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরছি আমরা।
অনেকেই নিজের ‘মা-বাবার দ্বিতীয় বিয়ে‘ মেনে নিতে পারেন না। এটা তাদের অধিকার কিনা সেটা বলা যাবে না কিন্তু সন্তানের কাছে কিছুটা অস্বস্তির কারণ প্রাথমিকভাবে হয় এটা ঠিক।
জীবন একটাই বারবার সেটা ফিরে আসে না। এই জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে উপভোগ করার নামই আসল বেঁচে থাকা। তবে আপনার আনন্দ যেন কোনো কারণেই অন্যের নিরানন্দের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেই দিকটা আপনার বিশেষভাবে নজর দেওয়া দরকার। দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কী ভাবে নিজের জীবন কাটাবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
কিন্তু সমস্যা কোথায় হয় বলুন তো যখন এই দুজন মানুষের সঙ্গে সন্তান শব্দটা জড়িয়ে যায়। ঠিকই ধরেছেন আমরা মা-বাবা আর সন্তান এইরকমই একটা পরিবারের কথা বলছি। ছোটবেলা থেকে মা-বাবার মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাক বা ঝগড়াঝাঁটি, মা কিংবা বাবা আলাদা হয়ে অন্য কাউকে নিয়ে ঘর বাঁধছেন এটা কোন সন্তানই মেনে নিতে পারেন না।
এইটা একটা আলাদা রকমের টান বা অধিকারবোধ থেকে করা হয় বলেই মনস্তাত্ত্বিকরা মনে করেন। সন্তান তার বাবা কে অন্য কোন মহিলার সঙ্গে কখনোই মেনে নিতে পারেন না। এমনকি ছেলে বা মেয়ে সন্তান যেই হোক না কেন, সে নিজের জীবনে যদি কোন রকমের অসামাজিকতা বা অভাবিত ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে তবুও সে সেটা কখনোই তার বাবা বা মায়ের সঙ্গে যুক্ত করে ভাবতে পারেনা।
বাবা-মা সন্তানের কাছে রোল মডেলের মতো হয়, যে কখনো ভুল হতে পারে না। সনাতনী সংস্কৃতি মা-বাবা অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে থাকবেন সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর এটাই আমাদের ধ্যান ধারণা হয়ে চলে আসছে। তাই এই প্রজন্ম নিজেদের লিভিং তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করলেও মা বাবার প্রসঙ্গ যদি আসে তখন সে ভীষণভাবে প্রাচীন পন্থী হয়ে যায়।
আরো পড়ুন – আপনি কি মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পান? বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে আলাপ জমাতে লজ্জা লাগে?
এক্ষেত্রে তাদের মাথায় আসে সামাজিক চিন্তাভাবনার কথা যে লোকে কী বলবে যদি তার বাবা বা মা অন্য কোন সম্পর্কে যেমন পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এখানে কিন্তু সে তার ব্যক্তিগত সম্মান কেও প্রাধান্য দেয়। (How a Second Marriage Can Impact Children)
ভারতীয় সংস্কৃতিতে মা-বাবাকে ভগবানের মতো ধরা হয়, যারা কখনো ভুল করতে পারেন না। কিন্তু নিজের মতো করে সুখী থাকার অধিকার যে ভুল বা ঠিক শব্দের সঙ্গে জড়িত নয়, এটা বোঝার মত সময় বোধহয় এসেছে। একজন মানুষ যদি তার দাম্পত্যে সুখী না থাকে তাহলে সে অবশ্যই অন্যত্র নিজের ভালো থাকার রসদ খুঁজতেই পারেন।
আরো পড়ুন – আপনার বাড়ির গাছের ফুল চুরি হয়ে যাচ্ছে? কোনও ভাবেই চোর ধরতে পারছেন না?
এর মধ্যে যদি অন্যায়ের কিছু না থাকে তাহলে সেটা সমর্থন না করার পিছনে কোন সঠিক যুক্তি মেলে না। আপনি যদি নিজের সুখ ভালোমতো খুজে নিতে চান তার জন্য যদি সব রকমের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার মা-বাবার সেই অধিকার আছে।
আরো পড়ুন – ট্রেনের শেষ বগির পেছনে x চিহ্নটি দেখেছেন? জানেন কেন রাখা হয় এটি?
তারা যদি একসঙ্গে ভালো থাকতে চান সেটা তাদের ব্যাপার যদি আলাদা হয়ে অন্য কোথাও সুখের সন্ধান করেন, সেটাও তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার সেখানে সন্তানের হস্তক্ষেপ মানায় না। সব সময় সঠিক কাজকে সমর্থন করুন আর মা-বাবার পাশে থাকুন তবে তার আগে নিশ্চিত হয় নিন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। শুধু শুধু সমাজের কথা ভেবে মা-বাবাকে ছোট করার মানে হয় না।