Breaking Bharat: নীল ছবির কারণে বিয়ে ভাঙছে (Broken Marriage) ? সুখী দাম্পত্যে তৃতীয়জন হয়ে থাবা বসাচ্ছে পর্ন!
অনেকের প্রিয় নীল রং, নীল আকাশে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে অনেকের। কিন্তু নীল রং মনে রাখুন , মানসিকতার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলবেন না। আপনার দাম্পত্যে এই রং প্রবেশ করলে ঘোর বিপদ। ভালোবেসে বিয়ে করেও সে বিয়ে ভাঙছে, নেপথ্যের কারণ জানেন কি? দিনে রাতে নীল ছবি দেখা অবিলম্বে বন্ধ করুন নাহলে জীবনে ঘনিয়ে আসবে মারাত্মক পরিণতি।
নীল ছবির কারণে বিয়ে ভাঙছে ? (Broken Marriage)
কোনও কিছুতেই আসক্ত হওয়া শরীর এবং সম্পর্কের জন্য ভালো নয়। আজকালকার ব্যস্ত যুগে ডিজিটাল হওয়ার সুবাদে অনেক বেশি করে নিষিদ্ধ দৃশ্য বা বস্তু হাতের মুঠোয় মোবাইল বন্দি। কিন্তু এতে যে ক্ষতি হচ্ছে সে খেয়াল থাকছে না কারোর। আপনি কি নীল ছবিতে আসক্ত?
জানেন ক্রমাগত পর্ন দেখার অভ্যাস দাম্পত্য জীবনে (In married life) একে অপরের প্রতি প্রয়োজনীয় বিশ্বাসকে নষ্ট করতে পারে? যাদের চিন্তাভাবনা শরীর সর্বস্ব তারা কোনভাবেই এগিয়ে যেতে পারেন না একটা সুখী জীবনের লক্ষ্য নিয়ে, একথা সত্য। আসলে দাম্পত্য মানে শরীরকে সুখ দেওয়া নয় বরং মনকে শান্তিপূর্ণ এক বন্ধুত্বের আশ্বাদ দেওয়া।
আর এই বেদবাক্য ভুলে যান সেই সব মানুষ যারা ক্রমাগত মুভিতে আসক্ত হয়ে পড়েন। অবশ্যই হোক বা কাজী ফাঁকি দিয়ে সারাক্ষণ নীল ছবি দেখতে দেখতে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন শুরু হয়। যার বিরূপ প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে এবং পরবর্তীতে আচার-আচরণ বদলে যায় (Save a Broken Marriage)।
সঙ্গীর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা প্রচুর পর্ন দেখেন তারা নিজেদের জীবনসঙ্গীদের থেকে মানসিকভাবে দূরে সরতে পারেন। নিজেদের চরম ব্যক্তিগত মুহূর্তেও একজন নীল ছবি আসক্ত ব্যক্তি নিজেদের সঙ্গীর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন। আসলে একটা সম্পর্কে শ্রদ্ধা আর বন্ধুত্ব দুটোই চরম দরকারি।
দীর্ঘকাল গোপন রাখার পরে কেউ একজন যদি নিজের জীবনসঙ্গীর নীল ছবি দেখার অভ্যাস সম্পর্কে হঠাৎ জানতে পারেন তাহলে নিজেকে অনেকটা দূরের বা বিচ্ছিন্ন মনে হতে পারে। কেউ একে ঘৃণ্য বলেও মনে করতে পারেন। অনেকেই নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গীর যৌন সম্পর্কের বিষয়টিও ধারণা করে নিতে পারেন।
নীল ছবি বা পর্ন দেখায় আসক্তদের সচেতন হওয়া উচিত:
তবে, ব্যক্তিগত এবং গোপনীয়র মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ভালো লাগা বা পছন্দ রয়েছে, তবে বৈবাহিক সম্পর্কে গোপনীয়তা বাড়তে থাকলে তা অবিশ্বাসের জন্ম দেয়, সম্পর্ক ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়ায়।
আরো পড়ুন- Vrindavan Dham : জয় গোবিন্দ জয় রাধে! যাবেন নাকি পূণ্য তীর্থ বৃন্দাবন ধামে?
দুজন মানুষ একটা বন্ধনে আবদ্ধ হন সুখী ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু সেখানে যদি সমস্যা হয় তাহলে খোলাখুলি আলোচনা না করে কোনও কিছু বা কারোর প্রতি আসক্ত হয়ে যাওয়া সম্পর্ক ভাঙ্গনের প্রথম এবং প্রধান কারণ। বিয়ে বা প্রেমে নেমে আসা ভাঙন ঠেকাতে সতর্ক হন এখনই নীল ছবি বা পর্ন দেখায় আসক্তদের সচেতন হওয়া উচিত।
আরো পড়ুন- Rats : দুই নারীর মিলনেই ভূমিষ্ঠ হল সন্তান? কী ভাবছেন পুরুষ? তাহলে কি চিন্তায় পড়লেন?
দুজন বাঁচে কাছাকাছি, দুজন বাঁচে দূরে আর এটা একটা ঘরে থেকেও সম্ভব বটে। দূরত্ব ঘোচাতে পারেন একমাত্র আপনি নিজে। নিজের সুন্দর সংসার, প্রিয় মানুষ, কাজকর্ম , পরিবার, বন্ধু বান্ধব – সবমিলিয়ে অন্য কিছুতে আসক্ত হওয়ার সময় কোথায়?
আরো পড়ুন- Taj Mahal in Agra : আগ্রার তাজমহলের গোপন রহস্য! কলঙ্ক নাকি আলোর উত্থান ?
সমাজকে সুস্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটা সুস্থ মানসিকতার দরকার হয় আর সেটা আসক্তির মধ্যে দিয়ে তৈরি করা সম্ভব নয়। খারাপ বা ভালোর বিচার আমরা করছি না । শুধু যেটা পরিসংখ্যানে আর গবেষণায় উঠে আসছে সেটা আপনার সামনে তুলে ধরছি। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার ব্যাপার।