Breaking Bharat: জ্বালানির যন্ত্রণা ভুলতে ইলেকট্রিক গাড়িতেই ভরসা বিশেষজ্ঞদের? ইলেকট্রিকের যুগে এবার নতুন ভাবনা (Electric cars)। বাজারে ইলেকট্রিকের যানবাহন, সাশ্রয় হবে অনেকটাই। বিশ্বে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি ও বাইকের বিক্রি বেড়েছে উত্তরোত্তর (Sale of electric cars and bikes)
প্রতিবাদ খবরের কাগজ খুলে জ্বালানির দামটা দেখছেন? এ জ্বালা কি জ্বালা বোঝে কি আনজনে? না সত্যি আর পারা যাচ্ছে না, সবাই এই কথাটাই বলছে। সেঞ্চুরি করার পর যেন স্কোর থেকে সরতেই চাইছে না জ্বালানির দাম। তাহলে বিকল্প একটা ব্যবস্থা রাখতেই হয়।
বাজিমাত করতে চলেছে ইলেকট্রিক গাড়ি (Electric car):
বিশ্বাস করতে অবাক লাগে বিজ্ঞান আজ কোথায় পৌঁছে গেছে। কিছু মানুষ সমস্যা তৈরি করেন কিছু মানুষ সেই সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানকে কাজে লাগান। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ব বাজারে দামের নিরিখে অগ্নিমূল্য জ্বালানি। কিন্তু এবার ইলেকট্রিক দুনিয়া বাজিমাত করতে চলেছে।
একদিকে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ইলেকট্রিক যানবাহনে বাজার ছেয়ে যাচ্ছে। কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ হতে পারে। আপনার পোয়া বারো হয়ে যেতে পারে, যদি সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন। বর্তমানে ই-বাইক বা ইলেক্ট্রিক চালিত চারচাকার কদর প্রতিদিন বাড়ছে (E-bike or electric powered four-wheeler)।
পরিবেশ বান্ধব এই ধরনের যান বিগত দশক থেকেই চাহিদা থাকলেও লকডাউন পরবর্তী সময় থেকে সারা বিশ্বে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি ও বাইকের বিক্রি বেড়েছে উত্তরোত্তর (Sale of electric cars and bikes)। ২০২১ সালে বিশ্ব মার্কেটে যেখানে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা ৪,০৯৩ হাজার সেখানেই ২০৩০ এর মধ্যে এই সংখ্যাটা ৩৪,৭৫৬ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। খুব একটা পিছিয়ে নেই ভারতও।
ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের দিকে ঝোঁক:
ইতিমধ্যেই, ভারত সরকারের তরফ থেকে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি নির্মাণে আগ্রহ দেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ইলেক্ট্রিক গাড়ির বাজার (Electric vehicle market) হিসেবে উঠে আসতে পারে ভারত। ভারতের বড় ব্যবসায়ীদের অনেকেই ধীরে ধীরে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের অন্তত ৩০ শতাংশ গাড়িকে বিদ্যুৎ চালিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনাকে রূপ দিতে ভারত সরকারের তরফ থেকে ন্যাশনাল ই-মোবিলিটি প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে মাহিন্দ্রা ই-ভেরিটো এবং টাটা টিগর ইভি লঞ্চ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ভারত সরকারের তরফ থেকে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইকো-সিস্টেম তৈরি করার পূর্ণ প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে। ভারত সরকার আরো জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সারা ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির জন্য আলাদা করে চার্জিং স্টেশন এবং আলাদা রকমের নিয়ম নীতি তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ভূমিকা:
অর্থনৈতিক দিক থেকেও, ভারতের জনগণের জন্য ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি অনেকটা বেশি সাশ্রয়ী। তার পাশাপাশি ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করবে এই বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি। একটি রিপোর্টে সামনে এসেছে, যদি ভারতে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় তাহলে আগামী ২০৩০ এর মধ্যেই তেল আমদানি ক্ষেত্রে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে ভারত।
আরো পড়ুন- Avoid online traps : বাড়ছে প্রতারণা! অনলাইনের ফাঁদ থেকে বাঁচতে মনে রাখুন এই নিয়ম
তবে মাথায় রাখতে হবে সবকিছুর ভালো দিক থাকলেও খারাপ দিক আছে সেটা ভেবে এগোন দরকার। সারা ভারতে এখনো পর্যন্ত মাত্র ১০০০ টি চার্জিং স্টেশন কাজ করছে যেগুলি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি চার্জ করতে পারে। ভারতে এখনও এমন অনেক শহর আছে যেখানে একটিও বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির চার্জিং স্টেশন নেই।
আরো পড়ুন- Education : ডিজিটাল ভারতে সত্যি কি বদলে যাবে অতীতের পড়াশোনা? কতটা নিশ্চিত শিশুদের আগামী শিক্ষা?
এই পরিস্থিতিতে, এই ধরনের গাড়ি চার্জ করা এই গাড়ির মালিকদের জন্য দুঃসাধ্য একটি বিষয় হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতে। যদিও ভাবনা চিন্তা দরকার, সেই মতন এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া। শুধুমাত্র পরিবেশ সুরক্ষায় নয় এই গাড়ি মানে নানা দিক থেকে আপনি সিকিওর।
আরো পড়ুন- cake business : বাড়িতে কেক বানিয়ে দু মাসেই হয়ে যান লাখপতি! নেশাকে পেশা বানান সহজেই
অটোনমাস ড্রাইভিং থেকে শুরু করে, স্মার্ট অ্যাসিস্টেন্স সলিউশন, নেক্সট-জেন টেকনোলজি, এবং ডাইনামিক পাওয়ার কন্ট্রোল সবকিছুই থাকে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির মধ্যে। এছাড়াও, ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি আপনার পকেটের জন্যও বেশ সাশ্রয়ী। তাহলে একবার বিবেচনা করে দেখবেন নাকি?