Breaking Bharat : কিন্তু কতটা শক্তিশালী এই মিসাইল (S-400 Missile) ? কেন এই মিসাইল জনপ্রিয়? জানলে অবাক হবেন অনেকেইইউক্রেন ইস্যু থাকলেও সামরিক শক্তি নিয়ে কি আদৌ দুশ্চিন্তায় নেই রাশিয়া? অন্তত রুশ রাষ্ট্রদূতের বয়ানে এমনই সুর শোনা গেল। যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির নড়চড় হবে না বলেই জানানো হয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র (S-400 Missile) নিয়ে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা নিয়ম অনুযায়ীই রক্ষিত হবে। অর্থাৎ যথা সময়েই বাকি মিসাইল ভারতে পাঠাবে রাশিয়া। রুশ রাষ্ট্রদূতের এই আশ্বাসে রাশিয়ার সামরিক শক্তি (Russia’s military power) সম্পর্কেও ধারণা পেল আন্তর্জাতিক মহল।
কিন্তু কী এই এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র (S-400 Missile)? কেন এই মিসাইল জনপ্রিয়? সূত্রের খবর, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র-এর সাহায্যে শত্রুপক্ষের বিমান এমনকী ড্রোনও চোখের পলকে ধ্বংস করা যাবে। আসলে এতে রয়েছে তিনটি ভিন্ন ধরনের মিসাইল প্যাক। যা ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় ও ৪০০ কিলোমিটার দূরের যে কোনও লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম (Air defense missile system) তৈরি করেছে রাশিয়ার আলমাজ সেন্ট্রাল ডিজাইন ব্যুরো।
ইউক্রেনে তৈরি হওয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভারতে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব করবে না রাশিয়া, এমনই জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপোভ। তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে মস্কো-নয়াদিল্লির চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে ক্ষেপণাস্ত্র। এই চুক্তি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে দু’টি এস-৪০০ ভারতে এসে পৌঁছেছে। এপ্রিলে আরও তিনটি পৌঁছনোর কথা।
আরো পড়ুন- Chess : কে এই গ্র্যান্ড মাস্টার? বিশ্বের একনম্বর দাবাড়ুকে হারিয়ে রেকর্ড গড়লেন !
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রথম রুশ বাহিনীতে এস-৪০০ অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৪-য় এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারত। এরপর আমেরিকার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত (India decides to buy S-400 from Russia)। ২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় এই বিষয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। আর চুক্তি অনুযায়ী আগামী এপ্রিলে আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা।
আরো পড়ুন- Iceland : পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তির দেশ, নেই কোন অশান্তি ! কিন্তু এমন জায়গা আদৌ আছে কি?
২০১৯ সালের গোড়ায় আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ভারতের এই চুক্তিতে পরোক্ষভাবে বাধা দিতে চেয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প সেই সময় জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনার চুক্তি বাতিল করলে ভারত টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স এবং পেট্রিয়ট-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাবে। যদিও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় চিড়ে ভেজেনি। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের তুলনামূলক বিচার করে শেষমেশ এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্তেই অটল থাকে নয়াদিল্লি।
এই এস-৪০০ ডিফেন্স সিস্টেম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে চিন এবং তুরস্ককেও এই ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। সব ঠিক থাকলে কথা মতো ভারত বাকি ক্ষেপনাস্ত্রগুলিও পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।