Breaking Bharat: মোমবাতির আলোয় প্রেমের মোমেন্টস উপভোগ করেছেন? তাহলে বোধহয় জীবনের অনেক কিছুই মিস করে গেছেন তাই না?
প্রতিবেদনের শিরোনামে যে রোমান্সের কথা বলা হয়েছে ঠিক সেই ধরনের ভালোবাসার মুহূর্ত উদযাপনে বিশ্বাসী কি আপনি? যদি তেমনটা হয় তাহলে তো প্রথমেই বলতে হয় যে আপনি ভীষণভাবে সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন (Romantic Candlelight With LOVE)।
আসলে এই ধরনের ভাবনা চিন্তার উত্থানের পিছনে সিনেমার যে একটা অনেক বড় হাত আছে সেটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যাই হোক মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। বিষয় ছিল ‘ক্যান্ডেল লাইট ডিনার‘ ,তাইতো? ঠিকই এমন স্পেশাল ব্যাপার ঘটে বলুনতো তাতে?
জীবনে অন্ধকার কাটিয়ে আলোর প্রবেশ ঘটানো খুব দরকার। তাতে কী হয় , যে একটা আশা সঞ্চারিত হয়ে সবকিছু ভালোভাবে ঘটার ইঙ্গিত দিতে থাকে। এইবার আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে নিয়ে কতটা ভালোভাবে আগামী দিন কাটানোর চিন্তাভাবনা করছেন তার একটা হালকা আভাস উল্টো দিকের মানুষটারও পাওয়া প্রয়োজন।
তবে গিয়ে কোথাও একটা নিজেদের মধ্যে শক্ত বন্ধন তৈরি হয়। আজকাল ভালোবাসার উদযাপনে মাঝেমধ্যেই পাশ্চাত্যের বিভিন্ন স্টাইল নকল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা খারাপ নাকি ভালো সেই প্রসঙ্গে যাচ্ছি না কিন্তু যেটা এই মুহূর্তের মানসিকতা সেটাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
এই যে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার বা মোমবাতি জ্বালিয়ে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা, এই কনসেপ্ট কি আজ থেকে বছর ৩০-৪০ আগে বাংলা বা ভারতবর্ষের বুকে লক্ষ্য করেছিলেন আপনি? মানে যদি সিনেমা থেকেই অনুপ্রাণিত হতে হয় তাহলে ভেবে দেখুন তো তিরিশ চল্লিশ বছরের আগের সিনেমায় এরকম কোন দৃশ্য দেখানো হয়েছে বলে আপনার মনে পড়ছে কিনা?
যতদূর সম্ভব উত্তরটা নেগেটিভ হবে। আসলেই কোন একটা প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে তার প্রচার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এই যে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার কনসেপ্ট এটা কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে যত দ্রুত এই প্রজন্মের মানুষের কাছে পৌঁছেছে, আগের প্রজন্মের কাছে সেভাবে এটি বিশেষ জায়গা দখল করতে পারিনি।
ক্যান্ডেল লাইট ডিনার বা মোমবাতির আলোয় খাওয়া-দাওয়ার এই কনসেপ্ট ভীষণভাবে রোমান্সের কথা মনে করায় তাইতো? আসলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা ক্লাবেও আজকাল এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এবার যদি বাস্তবের ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে যান তাহলে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় মোমবাতি জ্বালিয়ে বাড়ির সবাই এর একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া বা পড়াশোনা করার দৃশ্যগুলো মনে আসে?
আরো পড়ুন – আপনি কি ফর্সা হতে চান? রাসায়নিক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে আগ্রহী?
এক কথায় বলতে গেলে আজকের যুগে যেটা কেতার ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, লোডশেডিং হলে মোমবাতি জ্বালিয়ে খাওয়া দাওয়াটাকেও পাতি বাংলায় ওই একই বিষয়ের নামান্তর বলে । আসলে আজকাল আমরা বড্ড বেশি কৃত্রিমতায় বিশ্বাস করতে শুরু করেছি। সেই সময় আলো না থাকার কারণে কত অস্বস্তির মধ্যে মোমবাতির আলোয় খাওয়া-দাওয়া করতে হয়েছিল।
আরো পড়ুন – ট্রেনের শেষ বগির পেছনে x চিহ্নটি দেখেছেন? জানেন কেন রাখা হয় এটি?
যদি আজকাল সরকারের তদারকিতে এবং তৎপরতায় দেশের প্রায় সব প্রান্তেই বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। তবুও লোডশেডিং এর সমস্যা একেবারেই চলে গেছে এটা না বলা গেলেও আগের থেকে কমেছে সেটা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। আর এখন ইচ্ছে করে ঘরের আলো নিভিয়ে ‘মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার‘ করা হচ্ছে। একদিকে ভালো বলতেই পারেন বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে ।
যেভাবে ইলেকট্রিক বিল এর দাম বাড়ছে, তাতে অন্তত রোমান্সের নামে কিছুটা হলেও সেভিংস তো হবে। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন এই ধরনের কথাবার্তা বললে আর কী করে ভালবাসার কথা বলা যাবে। আসলে কি বলুন তো? একসঙ্গে থাকার জন্য ভালোবাসার জন্য কোন কৃত্রিমতার প্রয়োজন হয় না।
আরো পড়ুন – বিমান সেবিকাদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার! এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন জেনে নিন!
নিজে থেকেই সেটা করে ওঠে আর ওটাই অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনার আয়োজনকে আমরা এতোটুকু অসম্মান করছি না কিন্তু নিজস্বতার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। তাই ক্রিয়েটিভিটি সব সময় মাথা উঁচু করে বাঁচুক এটা অবশ্যই চাইবো। নিজের কিছু শিল্পসত্তার ভাবনা কে সামনে এনে প্রিয়জন বা পরিবারকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করুন না, মন্দ লাগবে না !