Rohingya live in Bangladesh: বাংলাদেশে বসবাস রোহিঙ্গাদের! রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আর দিন দিন বাড়ছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যা! বাংলাদেশের সমস্যা যেন কিছুতেই মিটতে চাইছে না। একে অর্থনৈতিক দুরবস্থা তার সঙ্গে দেশের একাধিক রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে হাসিনা সরকার পুরোপুরি পর্যদ্বস্ত হয়ে পড়ছেন। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যা আরো বাড়ছে।
বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ । এখান থেকেই কি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাকে হাতছানি দিচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র? প্রাথমিকভাবে বিষয়টাকে মানবিক দিক থেকে বিচার করে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এই মানসিকতার কারণেই সমস্যায় পড়ছে বাংলাদেশ (Rohingya issue affecting Bangladesh)।
যত দিন যাচ্ছে ততই এই সমস্যার জোরে বিশ্বের বুকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়াচ্ছে হাসিনা সরকারের কাছে। ঠিক কোন কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে আর আদৌ সেখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে কিনা সেই দিকটা আমরা খতিয়ে দেখব।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যা প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশে:
প্রথমেই বলা দরকার বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আনুমানিক ৯৭ জন এইচআইভি পজেটিভ৷ যায় ফলে ওই অঞ্চলে এইডস-এর ঝুঁকি বাড়ছে ৷ এখন রোহিঙ্গাদের তো এত তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরানো সম্ভব নয় সেই কারণে এইচআইভি ছড়ানো ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার৷
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা৷ নতুন আর পুরোনো মিলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে এখন প্রায় কমবেশি ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস ৷ বুঝতেই পারছেন কি হারে রোদ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
যারা আগে পালিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় 100 জন লোককে আগেই hiv রোগে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছিল। নতুন করে চিহ্নিত হচ্ছেন আরো অনেকে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করতে টেকনাফ ও উখিয়ায় দু’টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে৷
স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়ছে বিশেষ করে এত মানুষ যারা আশ্রয় নিয়েছেন সেই শরণার্থী শিবিরের হাইজিন মেন্টেন করা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন – কেন আজ নরেন্দ্র মোদি সাগরের ওপারে? তাহলে কি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে জবাব দিতেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত?
এটা তো গেল একটা দিক, আরেক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অর্থনৈতিক সমস্যা। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনুসারে মাথাপিছু সেখানকার মানুষের আয় ছিল প্রায় ১,৬০২ মার্কিন ডলার। তাহলে সেই পরিসংখ্যানের হিসাবে এই ৭ লাখ রোহিঙ্গার মাথাপিছু আয় হওয়ার কথা ১১২ কোটি ডলার ।
কিন্তু রোহিঙ্গাদের আয় কোথায় বরং তাদের রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যয় বাড়ছে। সরকার বুঝতে পারছে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা৷
আরো পড়ুন – বাড়ির বউ করার জন্য মেয়ে খুঁজছেন? অথচ বিজ্ঞাপন দিয়েও পাত্রী পাচ্ছেন না?
এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক ইস্যু। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে এখন স্থানীয় নাগরিকরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছেন৷ দিন দিন পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে৷ বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে এক পর্যায়ে দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে৷ এবার সংকট দীর্ঘমেয়াদি হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একসময় এ সব ভুলে যাবে৷
আরো পড়ুন – Amazon Jungle: অ্যামাজন জঙ্গলে ১৩০০ প্রজাতির পাখি, ৩০০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে জানেন?
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রীতিমতো দুষ্প্রাপ্য হচ্ছে যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাখাতে যথেষ্ট প্রভাব পড়ছে। এই মুহূর্তে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করে রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা একটা জায়গা বরাদ্দ করা ছাড়া বাংলাদেশের কাছে আর কোন উপায় নেই।
আরো পড়ুন – নারী মানেই কি তিনি যৌন দাসী? নারীর জীবনের পটভূমির পরিবর্তনের নেপথ্যে কী থাকে?
সেক্ষেত্রে এই দায়িত্ব অন্য কোন দেশ নিতে চাইবে না অন্যদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমার আর না এগিয়ে এলে বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকেই পদক্ষেপ করে এই রোহিঙ্গাদের জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এতকিছু এই দেশের পক্ষে সামলানো সম্ভব কি? চিন্তায় বিশ্লেষকরা।