Breaking Bharat: রোজ রোজ শ্যাম্পু (shampoo) করেন? অজান্তেই চুলের ক্ষতি করছেন না তো? বর্ষাকালে চুল পড়ার সমস্যা কমবেশি সকলের হয়। প্রতি মরশুমে বর্ষা এলেই মহিলাদের এই নিয়ে চিন্তা বাড়ে। মাথায় চিরুনি ঠেকানো দায়। হাত দিলেই যেন গোছা গোছা চুল উঠে হাতে চলে আসে।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই টাক পড়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা এবং আশংকা তৈরি হয়। বেশিরভাগ মহিলাদের ধারণা চুল নোংরা থাকলে তা উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই রোজ রোজ শ্যাম্পু করা। আর এখানেই লুকিয়ে আছে আসল বিপদ।
তাহলে কি মাথায় শ্যাম্পু করবেন না? (shampoo):
বিষয়টা তা নয় সমস্যা আসলে কোথায় সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে আজকের প্রতিবেদনে। আর আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কী কারনে এভাবে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে।
আজকালকার দিনে প্রায় বেশিরভাগ মেয়েদেরই নিত্যদিন বাইরে বেরোতে হয়। এখন আর বাড়িতে থেকে লম্বা চুলের যত্ন নেওয়া , ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করার সময় নেই। যা কিছু করতে হবে চট জলদি করতে হবে, কারণ টাইম নেই দাদা।
গোছা গোছা চুল উঠে মাথা ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে?
যাঁদের প্রায় প্রতিদিনই বাইরে বেরোতে হয়, তাঁদের তো নিয়মিত শ্যাম্পু করতেই হয় (Must shampoo regularly)। নাহলে উপায় নেই। কিন্তু এর জেরে চুলের বারোটা বাজবে, এ কথা অনেক মহিলারা ভাবতেই পারেন না। এখন সমস্যাটা কি? দু’বেলা গোছা গোছা চুল উঠে মাথা ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে? আসলে শ্যাম্পুতে সমস্যা নেই।
শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম মেনে চলছেন না আপনি। তাই অচিরেই বাড়ছে বিপদ। প্রতিদিন বাইরের ধুলো ময়লা যেমন স্কিনের ক্ষতি করে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্ক্যাল্প। একে পরিষ্কার রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। কিন্তু আপনি শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগানোর পরেও দেখছেন যে, গোছা গোছা চুল উঠে আসছে!
জেনে নিন শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম (shampoo):
কেন এমন হয়, তাই ভাবছেন তো! আসলে সব কিছুর একটা সঠিক পদ্ধতি আছে। নিয়ম মেনে চলতে পারলে কোন সমস্যা হবে না। জেনে নিন শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম (right way to shampoo), সেটাকেই কাজে লাগান। সপ্তাহে রোজ রোজ সম্ভব হয়তো হবে না কিন্তু একটা দিন পারলে পার্লারে গিয়ে শ্যাম্পু করুন।
নাহলে বাড়িতে পার্লারের মতো নিয়ম মেনে মাথা পরিষ্কার করা দরকার। এর জন্য গরম জলে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে নিন। সেই জল নিংড়ে নিন। এবার তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। প্রায় ২০ মিনিট এভাবে রাখুন। আসলে এভাবে স্টিম নিতে পারলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
চুলের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে শ্যাম্পুর উপরে?
আর এটা তো সবাই জানেন যে শরীরে রক্ত সঞ্চালন যতো ভালো হবে তত আপনার হৃদস্পন্দন ঠিক থাকবে। স্ক্যাল্পের জন্যেও স্টিম খুব ভালো। চুলের গোড়ার ময়লা পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এতে আপনার চুল ভালো থাকে। এবার বলি স্ক্যাল্প মাসাজ করার কথা। আসলে স্টিম নেওয়ার পর রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়।
এবার সেই রক্ত সঞ্চালন যাতে একদম ঠিকঠাক হয়, অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ে, সে জন্য আপনার প্রয়োজন স্ক্যাল্প মাসাজ। স্ক্যাল্পে আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে ভালো করে মাসাজ করে নিন। এর ফলে চুলের গোড়ার ময়লাও আরও আলগা হয়ে যায়। তখন শ্যাম্পু করতে ময়লা তাড়াতাড়ি উঠে আসতে পারে। মাথা ভালো পরিষ্কার হয়।
চুল পরিষ্কার করতে গেলে সঠিক শ্যাম্পু বেছে নেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য আপনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। আসলে চুলের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে শ্যাম্পুর উপরে (Hair health depends a lot on shampoo)। তাই চুল ভালো রাখতে শ্যাম্পুও ঠিক বেছে নিতে হবে। ডেলি শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় মাইল্ড ও সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন- online Shopping : কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইনেই শপিং? কিন্তু রিভিউ ছাড়া জিনিস কিনলে ঘোর বিপদ!
প্যারাবেনও খুব ক্ষতিকারক। এই দুটি রাসায়নিকই স্ক্যাল্পে প্রদাহ বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। আরেকটা বিষয় মনে রাখবেন শ্যাম্পু কখনোই সরাসরি চুলে দেবেন না বরং স্ক্যাল্পে দিন। শ্যাম্পুর প্রধান কাজ আপনার স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার রাখা। তাই সেই শ্যাম্পু স্ক্যাল্প ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
আরো পড়ুন- Hunger Pangs : খিদের জ্বালা বড় জ্বালা! কেউ বা পেল প্রচুর ,আবার কেউ খেলো না মোটেই!
এবার বাকি ফেনা চুলে লাগিয়ে নিন। ভিজে চুল এমনিই দুর্বল, চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগালে তা চুলের আরও ক্ষতি করতে পারে। আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা দরকার সেটা হলো শ্যাম্পু করার পর চুলে কখনোই অতিরিক্ত গরম জল লাগাবেন না। কথায় বলে মাথাকে সবসময় ঠান্ডা রাখতে হয়।
আরো পড়ুন- Ghost : তাহলে কি সত্যিই অশরীরীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদেরই চারপাশে?
তাই ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। উষ্ণ জল ব্যবহার করতে পারেন তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম দুটোই চুলের জন্য খারাপ। এইভাবে চেষ্টা করে দেখুন আশা রাখি আপনার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।
তবে একটা কথা আবারও বলি বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে আমরা আপনাদের সামনে নানা বিষয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করি। সব ক্ষেত্রে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় না। তাই যদি আপনি সমস্যায় পড়েন তাহলে সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।