Breaking Bharat: সাইকেল (Bicycle) চালাতে পারলেই কেল্লাফতে! মিলবে রোগ থেকে মুক্তি? সকালে উঠে মনে মনে কী বলেন, সারা দিন ভালো হয়ে চলার কথা তো? চলা মানে গমন সেটা জানেন? কিন্তু না হেঁটে কী করে করবেন?
সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি হয়?
শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। কিন্তু তার জন্য কিছু নিয়ম মানতে হবে। শারীরিক কসরত করা দরকার। করবেন? আচ্ছা সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি হয়? এটা দারুণ প্র্যাকটিস। এক্সারসাইজের অন্যতম পার্ট এটি। তবে অনেকেই পারেন না। সেক্ষেত্রে বিকল্প কী? বিশেষজ্ঞের মতামত জানাব এখনই।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস অনেকের থাকে না কারণ রাতের কাজের চাপে দেরিতে শুতে যাওয়া। কিন্তু মর্নিং ওয়াক খুব প্রয়োজনীয় বলছেন ডাক্তাররা। যারা হাঁটতে পারেন না, তারা বরং চড়ে পড়ুন সাইকেলে। উপকার পাবেন, ভরসা রাখুন।
অবসাদ কাটাতেও সাইকেল চালাতে পারেন (Bicycle ):
সাইকেল চালালে যেমন ওবেসিটি, ডায়াবিটিস ইত্যাদি রোগের থাবা থেকে দূরে থাকা যায়, তেমনি হার্টও ভালো থাকে। ইদানীং বহু মানুষই অবসাদের শিকার। তাই অবসাদ কাটাতেও সাইকেল চালাতে পারেন (ride a bicycle)। তবে কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন না।
বাড়ি ফিরে অন্তত আধ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে বেরোতে পারেন। আসলে সাইকেল অতি সুন্দর এক বাহন বটে। মানুষের প্রিয় বন্ধু, সঙ্গী। পরিবেশের জন্য দারুন লাভজনক আর আপনার জন্য আরামদায়ক। সাইকেল যারা চালাতে জানেন, তাদের জন্য তো খুবই ভাল। গতে বাঁধা এক্সারসাইজের মধ্যে না পড়লেও সাইক্লিং করলে অনেক লাভ।
ভরপেট খেয়ে সাইকেল চালাবেন না:
যারা সাইকেল চালাতে জানেন না তারা অভ্যাস শুরু করুন। যদিও সাইকেল চালানোর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় ব্যালেন্সের। নিজের ও সাইকেলের ব্যালেন্স ঠিক ঠাক রাখতে পারলেই সাইকেল চালানো আরও সহজ হয়ে যাবে।
বিজ্ঞান যত উন্নত হবে মানুষের মানসিক সমস্যা কাটানোর উপায় তৈরি হবে (Ways to overcome mental problems)। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত সাইকেল চালান তাদের ফিজিকাল অ্যাংজাইটি অনেকাংশেই কম হয়ে গিয়েছে। ফলে ভালো ঘুম হয়। ভরপেট খেয়ে সাইকেল চালাবেন না।
পায়ের পেশির গঠনেও সাহায্য করে সাইক্লিং:
সকালে উঠে সাইকেল চালাতে চাইলে হালকা কিছু খেয়েই সাইকেলে চড়ুন। হিসেব বলছে এক ঘণ্টা সাইকেল চালালে প্রায় ৫০০ ক্যালরি কমে। তবে সাইকেল চালানোর সময়ে হেডফোন কানে গুঁজবেন না। সকালের ফুরফুরে মেজাজে চারপাশ দেখতে দেখতে সাইকেল চালান । এতে শুধু ওজনই কমে না।
একই সঙ্গে পায়ের পেশির গঠনেও সাহায্য করে সাইক্লিং। শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে খুব কার্যকরী এই অভ্যাস। বহু মানুষই অবসাদের শিকার হচ্ছেন এখন। তাই অবসাদ কাটাতেও সাইকেল চালাতে পারেন (You can ride a bicycle to relieve fatigue)। এন্ডোরফিনস ও অ্য়াড্রিনালিন হরমোন নিঃসৃত হলে আপনার আত্মবিশ্বাস আরও বেশি বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন- Khudiram Bose : মৃত্যুর আগে জল্লাদকে ঠিক কোন প্রশ্ন করেছিলেন ক্ষুদিরাম?
সাইকেলিং একটা আউটডোর এক্সারসাইজ। নিয়মিত যারা সাইকেল চালান, তাদের কাছে সাইকেল চালানো মেডিটেশনের মতো কাজ করে। মনসংযোগও বাড়ে। দৌড়ানোর মতোই সাইকেল চালানোর জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। তার জন্য আপনার শরীরে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুন- Sundarbans forest : সুন্দরবনের জঙ্গল! সুন্দরবনের বন সুন্দরী কেন বিখ্যাত জানেন?
শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া দ্রুত চলে। সেই জন্য নিয়মিত সাইকেল চালালে আপনার ফুসফুস ভালো থাকে ও কার্যক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও পায়ের সমস্যার সমাধান মেলে। আপনি যদি প্রতিদিন সাইকেল চালান তবে আপনার পায়ের পেশিতে সবথেকে বেশি চাপ পড়ে। কারণ, সাইকেল চালালে মূল ব্যায়াম হয় পায়ের।
আরো পড়ুন-Urine infection : ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ! প্রস্রাবে জ্বালা ভাব? ইউরিন ইনফেকশন নয় তো?
তাই আপনি যদি নিয়মিত সাইকেল চালাতে পারেন (Can cycle regularly) পায়ের পেশি সচল থাকবে। পায়ের জোর বাড়বে। তাড়াতাড়ি সাইকেল না চালিয়ে মধ্যম গতিতে একটানা অনেকক্ষণ চালানোর অভ্যেস করুন।
শরীরকে ভালো রাখতে মাঝে মাঝে একটু শৈশবের অভ্যাসে ফিরে যেতে হয়। ধরুন এটা সেরকমই। ওই দেখেন না বাচ্চারা সঙ্গে থাকলে বড়রাও কেমন শিশুদের মত দুষ্টুমি করতে পারে। সেই ছেলেবেলায় ফিরে এবার সাইকেল চালানোর পরিকল্পনাকে বাস্তবে করে দেখান। মন দেহ দুই ভালো থাকবে।