Breaking Bharat: রাইনোপ্লাস্টি কী সেই বিষয়ে কোনও আইডিয়া আছে? কীভাবে ভোঁতা নাক ঠিক করবেন জানা আছে? রাইনোপ্লাস্টি কী এবং এর সুবিধা কী?
প্রতিবেদনের শিরোনামে যে দুটি প্রশ্ন করা আছে তার উত্তর একইভাবে দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা কারণ প্রশ্ন দুটোর অর্থ একটাই। কথায় বলে না মুখশ্রী সুন্দর হওয়া দরকার ,মেয়ে হলে তো বিশেষ ভাবে ।ছেলে হলেও একই বিষয় মাথায় রাখতে হয়। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে একেক জন মানুষ একেক রকম হয়। কাকে কী রকম দেখতে হবে এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয় (rhinoplasty before and after)।
তবে আজকের দিনে দেহে বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কোনো খুঁত থাকলে তা নিখুঁত করে নেওয়া সম্ভব। সৌজন্যে অবশ্যই চিকিৎসা বিজ্ঞানের একের পর এক আবিষ্কার। সেইরকমই চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক মিরাকল হচ্ছে রাইনোপ্লাস্টি। আসলে আপনার নাক টিকালো এবং লম্বা করতে এই পদ্ধতি নেন চিকিৎসকরা।
রাইনোপ্লাস্টি কী এবং এর সুবিধা কী?
যেকোনো আবিষ্কারই হঠাৎ করে একদিনে তৈরি হতে পারে না তার পেছনে একটা গভীর ইতিহাস থাকে এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। এর সঙ্গে রামায়ণের অধ্যায়ের একটা সম্পর্ক আছে। শূর্পনখার নাক কাটার কথা মনে আছে? মানে নাক নিয়ে কোন সমস্যা হলে সমাধান করার রাস্তা যেন সেই মহাকাব্য থেকে বর্ণিত আছে যাই হোক এবার বরং চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে একটু কথা বলা যাক।
ভারতীয় চিকিত্সক সুশ্রুত কপাল থেকে চামড়া নিয়ে নাক তৈরির বিধান দিয়েছিলেন সেটা কি জানেন? আজও ইন্ডিয়ান রাইনোপ্লাস্টি বলে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে সেটাই। এবার জানা দরকার কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার কথা ভাবা হয়? মূলত জন্মগত ত্রুটি সংশোধন করতে, আঘাতজনিত কারণে যদি নাকি কোন সমস্যা হয় তার সমাধান করতে রাইনোপ্লাস্টি করা হয়।
অনেকেই ভাবেন যে কোন অপারেশনের পর ক্ষতস্থানে একটা দাগ থেকে যায় কিন্তু এই অপারেশনের পর কোনও রকমের দাগ থাকে না এই বিষয়টি আপনাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়াই ভালো। এক কথায় বলতে গেলে এটি সম্পূর্ণ ভাবেই ক্ষতহীন অস্ত্রোপচার।
আরো পড়ুন – স্বজন হারানোর দুঃখ সহজে ভোলা যায় কি? এই কষ্ট ভোলার নয় কিন্তু তবু বাঁচতে হয়!
এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে গেলে যা যা করতে হয় তাতে নাকের ভেতর দিয়ে দিয়ে কিংবা ঠোঁটের নিচ দিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায় এই অপারেশন করা হয়। নাকের বিভিন্ন অংশের সংশোধনে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল ইমপ্ল্যান্ট। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা নাকের তলা দিয়ে ০.৫ সেমি মতো সামান্য একটু কেটে নাকের ওপরে ইমপ্ল্যান্ট বসিয়ে দেন।
আরো পড়ুন – আপনার স্ত্রী কি আপনার থেকে বয়সে বড়? একাধিক সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে বুঝি?
কৃত্রিম ইমপ্ল্যান্ট হিসেবে ভারতে দু ধরনের ইমপ্ল্যান্টই ব্যবহার করা হয়। যেসব মানুষ কৃত্রিম ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করতে চান না তাদের জন্য তরুণাস্থি ব্যবহার করা হয়। ইমপ্ল্যান্ট লাগিয়ে যদি বোঁচা নাক উঁচু করা হলে তাহলে দিনের দিন রোগী ডিসচার্জ হয়ে যেতে পারেন ।
আরো পড়ুন – এক কমপ্লেক্সে থেকেও পাশের ফ্ল্যাটের মানুষকে চেনেন কি? গ্রাম আর শহরের মধ্যে এই তফাৎটা কেন?
শুধু তাই নয় আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে এক-দুই দিনের মধ্যে রোগী স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতেই পারেন তাতে কোন বাধা নেই। নাকের চামড়ার নিচে সিলিকন ইমপ্ল্যান্ট কিন্তু নিরাপদ এক পদ্ধতি। যারা এটা চান না তাদের ক্ষেত্রে বুকের থেকে কার্টিলেজ নিয়ে অপারেশন করা হয়।
আরো পড়ুন – জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে ইচ্ছুক? কী করলে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন আপনি?
এছাড়া এই সার্জারির একাধিক পদ্ধতি আছে সেগুলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে একেক রকম। তবে প্রত্যেকেই জানতে চান খরচ কত। এর উত্তরটা একমাত্র চিকিৎসকে দিতে পারবেন। কারণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়।