Breaking Bharat: রান্না করার সময় সচেতন হোন। রান্নার তেলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে মহাবিপদ! জানেন কি (cooking oil harmful effects)? তেলে ঝোলে বাঙালি , খাওয়া ছাড়া জীবনটা একেবারে ব্যর্থ। শুধু খাওয়ার জন্যই তো এত পরিশ্রম করা। একটু ভালো-মন্দ খেতে না পারলে বেঁচে থেকে কী লাভ, তাই না?
রান্নার তেলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে মহাবিপদ!
অবশ্য রান্নাবান্না যদি হয় তাহলে সেটা মুখরোচক হওয়া ভালো এমনটা যারা মনে করেন তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
আচ্ছা তেল ছাড়া রান্না করার কথা বা সেই রান্না খাবার কথা কি ভাবতে পারেন? নিশ্চয়ই বলবেন এ তো প্রায় অসম্ভব! আসলেই এই ভাবনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মহা বিপদ। এই যেমন ধরুন রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া ছাঁকা তেলে ভাজা চপ খাওয়া। কি দারুণ তার স্বাদ , এমনটাই মনে করেন আপামোর বাঙালি।
পোড়া তেলে রান্না করা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?
আবার বাড়িতে তেল দিয়ে রান্না কাজ হয়ে গেলে যদি কিছুটা তেল থেকে যায় সেটি তুলে রেখে দেন পরের দিনের জন্য। আসলে মূল্য বৃদ্ধির বাজারে যতটা সাশ্রয় করা যায় আর কি! কিন্তু এই কাজটা করতে গিয়ে আপনি যে অচিরেই শরীরে রোগের আগমনকে নিশ্চিত করে দিচ্ছেন আর তার ফলে যেভাবে ডাক্তার ঘর করতে হচ্ছে আপনাকে তাতে বোধহয় পকেটের টাকা কিছু কম খসছে না।
আসলে পোড়া তেলে রান্না করা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে কথাই জানেন না বেশিরভাগ মানুষ (reused cooking oil harmful effects)। আর তাই অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন। মেডিকেল সাইন্স এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক নানা গবেষণার রিপোর্ট বলছে ছাঁকা তেলের ব্যবহার যদি অত্যাধিক মাত্রায় হতে থাকে তাহলে শরীরের বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসার, হৃদরোগ (reusing cooking oil causes cancer)।
ছাঁকা তেল ব্যবহার করে রান্না করা হয়?
এমনকি শরীরের কোনও অঙ্গ বাদ দেওয়ার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কোন শহর কত বেশি এই পোড়া তেল ব্যবহার করছে এই সম্পর্কে হয়তো আপনার কোনও আইডিয়া নেই। সম্পতি কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এবং চেন্নাই দেশের এই চারটি মেট্রো সিটিতে সমীক্ষা চালানো হয়।
গবেষণার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে অত্যাধিক হাড়ি হারে ছাঁকা তেল ব্যবহার করে রান্না করা হয়। এমনকি কড়াইয়ের মধ্যে থাকা তেলের শেষ বিন্দুটিও নিংড়ে নেওয়া হয়। সবটাই ব্যবসায়িক স্বার্থে কিন্তু এতে মানুষের শরীরে বিশাল বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস অম্বলের সমস্যা :
এই ধরনের তেল ব্যবহার করলে তার থেকে উৎপাদিত খাবার গুলি খেলে সব থেকে আগে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস অম্বলের সমস্যা তৈরি হবে। সঙ্গে বুক জ্বালা ও পেটে ব্যথা তো আছেই। এছাড়া শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। যায় ফলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
শুধু তাই নয় বিজ্ঞানীরা বলছেন, রান্না করা তেল ফের গরম করলে তাতে পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন এবং অ্যালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক পদার্থের মাত্রা বেড়ে যায় (effects of reheating cooking oil)। এর ফলে আপনার দেহে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
ছাঁকা তেল ব্যবহারের আগে পরীক্ষা করা উচিত:
লাখপুতির হিসেব তো জীবনে লেগেই থাকে কিন্তু শরীরের বিনিময় কোন কিছুই করা ঠিক নয়। শরীর ঠিক থাকলে তবেই না ভালো থাকতে পারবেন কাজকর্ম করতে পারবেন আপনি না হলে সমস্যায় পড়বে আপনার পরিবারও। মনে রাখা দরকার ছাঁকা তেল ব্যবহারের আগে তা ভালোভাবে পরীক্ষা করা উচিত।
আরো পড়ুন – video games : ভিডিও গেম! আপনার জীবন বাঁচাবে এবং কমিয়ে দেবে মানসিক চাপ! কিভাবে?
যদি দেখা যায় তেলের রং গাঢ় হয়ে যাচ্ছে বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘন হয়ে মনে হচ্ছে তাহলে অবিলম্বে সেই তেল ফেলে দিন। যদি দেখেন রান্নার পর কিছুটা তেল অবশিষ্ট রয়ে গেল তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে ঢেলে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। একটু অপেক্ষা করুন এবং তেল সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে তবেই এয়ারটাইট পাত্রে রাখুন।
আরো পড়ুন – Mandakini : ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ মানেই মন্দাকিনীর সাহসী দৃশ্য! এবার মুখ খুললেন মন্দাকিনী!
মনে রাখবেন তেলের রং, গন্ধ, ধরন এবং কতক্ষণ ধরে রান্না করা হয়েছে, এসবের ওপর ভিত্তি করে তবেই পুনরায় সেই তেল ব্যবহার করার কথা ভাবা যেতে পারে। যাইহোক না কেন স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোন কম্প্রোমাইজ করবেন না।