Breaking Bharat: গ্রামে সাবমার্শাল বসিয়ে পানীয় জল ও নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণে উদ্যোগ নিল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। বুধবার থেকে জোরকদমে শুরু হয়েছে ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ।বছর শেষে একসাথে দুটি প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় স্বভাবতই খুশি বাসিন্দারা।
মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের মতিহারপুর পঞ্চায়েত দাউদপুরের প্রবেশ পথে ওই ঢালাই রাস্তার নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে (Construction of road has started)। প্রায় পাঁচ লক্ষ্যে ব্যয়ে রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে দাউদ পুর মধ্যপাড়া থেকে সড়ক পর্যন্ত। পাশাপাশি এলাকাবাসীর পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই ওই গ্রামের মিয়া পাড়া এলাকায় নতুন একটি সাব মার্সাল বসানো হয়েছে।একই সঙ্গে পানীয় জলের সমস্যা মিটেছে এবং নতুন রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য,দাউদপুর গ্রামের প্রবেশ পথের রাস্তাটি কয়েক দশক ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল।বাম জমানায় ইট সোলিং করা হয়েছিল।তারপযে দীর্ঘদিন সংস্কারের ছিটেফোটা হয়নি।ফলে বর্ষায় জল জমে সমস্যার শিকার হত বাসিন্দারা।নাজেহাত হতো পড়ুয়াদেরও।রাত বেরাতে কেউ গ্রামে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও ওই রাস্তা দিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও দুর্ভোগ পোহাতে হত।
বাসিন্দারা পাকা রাস্তার কথা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। রাস্তা ও পানীয় জলের সমস্য(Problems with roads and drinking water) মিটানোর জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রাজেকা খাতুনের কাছে দরবার করেন গ্রামবাসীরা।রাজেকা খাতুন অবশ্য পানীয় জলের সমস্যা মেটানো ও পাকা রাস্তার করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। অবশেষে ব দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।
গ্রামবাসী মাজেদুর রহমান জানান,আমাদের দাউদপুরের প্রবেশ পথের রাস্তাটির প্রায় বড় অংশ দীর্ঘদিন বেহাল ছিল।রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হত।পানীয় জলের সমস্যা ছিল।পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে আমরা দরবার করছিলাম। আমাদের আবেদন সাড়া দিয়ে তিনি পাকা রাস্তা ও পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে।ইতিমধ্যে রাস্তার কাজও শুরু হয়ে গেছে।নতুন সাব মার্সালবসানো হয়েছে।ধন্যবাদ জানায় পঞ্চায়েত সদস্য রাজেকা খাতুনকে।
পঞ্চায়েত সদস্য রাজেক খাতুন জানান,স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সমস্য আমাকে জানিয়ে আসছিলেন।পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানিয়েছিলাম।এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লক্ষ ব্যয়ে দাউদপুর মধ্যপাড়ায় ১৬০ মিটার রাস্তা পাকা করা হচ্ছে। একইভাবে এখানে মিয়াপাড়ায় ফিফটিন ফিনান্সের দুই লক্ষ ব্যয়ে একটি সাব মার্সাল বসানো হয়েছে।
তবে বাসিন্দারা দাবি তুলেন প্রায় সব কাজ শেষ হলেও গ্রামের আলোর সমস্যা রয়েছে।ওই গ্রামের তিনমাথা মোড়ে একটি হাইমাস ল্যাম্প বসলে গোটা গ্রাম আলোকিত হবে।