Breaking Bharat: আপনি কি জানেন বেশি রিফ্রেশ করলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়? তাহলে রিফ্রেশ কেন করে? আজকালকার যুগে কম্পিউটার (Computer) ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারি না আমরা। কিন্তু এই কম্পিউটারের কতটা সঠিক ব্যবহার জানি আমরা?
কম্পিউটারে কাজ করতে গেলে সব থেকে বেশি যেটা লাগে সেটা হল স্পিড বা দ্রুততা। কম্পিউটার যত দ্রুত কাজ করবে ততই আমাদের সুবিধা। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই কম-বেশি কম্পিউটার সম্পর্কে জানেন।
কিন্তু এমন ছোটখাট অনেক বিষয় আছে যার সম্পর্কে বড়রাও খুব একটা অবগত নন। চোখের সামনেই সেই কাজটি হয়তো আপনি রোজ বারবার করেন কিন্তু আসল কারন জানেন না। আজ সেই নিয়েই আপনাকে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর দৌলতে কম্পিউটার আজ অনেক স্মার্ট (Computers are very smart today)। বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি নানাভাবে নিজেদের আপডেট করে তুলেছে। ফলে খুব স্বাভাবিক কারণেই আমাদের কাজের ক্ষেত্রে তা সুবিধাজনক হয়েছে। কিন্তু একটা বেসিক ব্যাপার নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা (Computer users) প্রায়ই অভিযোগ করেন। তাহলে কম্পিউটারের স্পিড বা গতি। যতক্ষণ কম্পিউটার বন্ধ ততক্ষণ ঠিক আছে।
যেই না অন করা হলো সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীর যত ব্যস্ততা, সব যেন একসাথে ভিড় করতে শুরু করে। একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হবে। উইন্ডোজ ইউজারদের দেখা যায় কম্পিউটার চালু হওয়া মাত্রই ডেস্কটপে মাউসের রাইট ক্লিক করে ১০-২০ বার শুধু রিফ্রেশই করতে থাকে। কেন? (Is Refresh good for computer?)
কম্পিউটার রিফ্রেশ কেন করে?
অনেকের ধারণা বিশ্বাস করলে বুঝি কম্পিউটারের গতি বাড়ে। মানে কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার চান্স কমে। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। হয়তো কম্পিউটার ব্যবহারকারী ৯৫% মানুষ এটাই বিশ্বাস করেন , কিন্তু তাদের বিশ্বাস সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। এই রিফ্রেশের কোনও ক্ষমতাই নেই আপনার কম্পিউটারের স্পিড বাড়ানোর (computer speed performance)। তাই চাইলে ১ হাজার বার রিফ্রেশ করুন কোন অসুবিধা নেই ।
কিন্তু জেনে রাখুন এতে বিন্দু মাত্র বাড়বে না স্পিড। উল্টে আপনার এমন কাণ্ডের জেরে বিপরীত ঘটনা ঘটতে পারে। মানে কমে যেতে পারে! এটা নিশ্চয়ই আপনি আশা করেননি? এখন প্রশ্ন তাহলে রিফ্রেশ করার মানে কী? এর কাজ কী? (What does refresh mean on a computer?) এর উত্তর দেব আপনাকে।
আসলে ডেস্কটপে বারবার রিফ্রেশ করলে কম্পিউটারের গতি বাড়ে না (Computer speed does not increase)। এর কাজ হল ডেস্কটপের আইকনগুলি ঠিকঠাক ভাবে প্রদর্শন করা। মানে ধরুন আপনি ডেস্কটপ এ কোনও আইকনের পরিবর্তন করেছেন , কিন্তু সেই আউটপুট পাচ্ছেন না মানে সেটা দেখতে পাচ্ছেন না স্ক্রিনে।
তখন রিফ্রেশ করতে হবে এবং পরিবর্তনটা দেখা যাবে। এখানেও একটা সর্তকতা জানানোর প্রয়োজন আছে। বেশি রিফ্রেশ করলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। মানে বলতে চাইছি কম্পিউটার স্লো (Computer is slow) হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন- NASA : মহাকাশের বিস্ময় জানতে NASA এর এত আগ্রহ কেন? এই রহস্য উদ্ঘাটন করে কি লাভ?
কীভাবে জানাব আপনাকে। দেখুন প্রত্যেকবার রিফ্রেস করার সময় আপনার উইন্ডোতে থাকা সব আইকন এবং ফাইলগুলো রিলোড হয়। এতে কম্পিউটিং পাওয়ার ক্ষয় হয়। মনে করুন, আপনার পিসির একটি ফোল্ডারে ৫০০টি ভিডিও ফাইল রয়েছে, এখন আপনি যখন ফোল্ডারটি ওপেন করবেন, তখন ভিডিও ফাইলগুলোর থ্যাম্বনেইল লোড শেষ হয়ে ফোল্ডারটি রেডি হতে একটু সময় লাগবে।
এখন আপনি যদি সেখানে রিফ্রেশ করে দেন, তো ফাইলগুলোর থ্যাম্বনেইল পুনরায় রিলোড হবে, ফলে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার স্লো হয়ে পড়বে।
আরো পড়ুন- Airplane round windows : এরোপ্লেনের গোল জানলা আপনাকে নিরাপত্তা দেয়, জানেন কি?
আরো পড়ুন- leech : শত্রুরা যদি জোঁক হয়, তাহলে কেন জোঁকের মুখে নুন দিতে বলা হয়?
আরো পড়ুন- Frogs : কথায় বলে ঘুম ছাড়া জীবন বাঁচে না, কিন্তু এই প্রাণী কে, যে কখনও ঘুমোয় না?
এখন বুঝতে পারলেন তো ওইভাবে স্পিড বাড়ে না, বরমী কম্পিউটারকে দ্রুতগামী করার জন্য হার্ডওয়্যারগুলো আপগ্রেড করুন। সবসময় খরচের দিকটা মাথায় রেখে পুরো সিস্টেম আপগ্রেড করা সম্ভব হয়না। এটা খুবই বাস্তবসম্মত।
অন্ততপক্ষে প্রসেসর ও র্যাম আপগ্রেড করুন আর সাথে একটা SSD লাগিয়ে নিন। আশা করা যায় এরপর কম্পিউটারের গতি নিয়ে আর কোন অভিযোগ করবেন না আপনি।