Refined Oil Side Effects: রান্নার তেল নিয়ে কতটা সচেতন আপনি? রিফাইন্ড তেল খাওয়া আজই বন্ধ করুন, না হলে বিপদ !
শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সবথেকে বেশি দরকারি। তাই নিজের ফুড হ্যাবিট বদলানর আগে অবশ্যই দেখুন আপনি যে তেলে রান্না করছেন সেই তেল খাওয়া আদৌ কতটা নিরাপদ? আজকের এই প্রতিবেদনে বিশেষ করে আমরা বলছি রিফাইন্ড তেলের কথা ।
রিফাইন্ড তেল কতটা খারাপ?
আজকালকার মানুষ প্রতিমুহূর্তে যেভাবে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে চলেছে তাতে কোনও কিছুরই স্থায়িত্ব খুব একটা বেশি নয়। তাই নিজের দিকে বেশি করে নজর দিন।
অনেকেই আছেন যারা খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকেন। তাদের কাছে খাওয়াটাই আসল আনন্দ। কিন্তু শারীরিক নানা সমস্যার কারণে সব সময় আমুদে খাবার খাওয়া যায় না। অগত্যা মন খারাপ করে পেটভরাতে হয় আর কি! তাই বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়িতেই যদি মন পসন্দ খাবার মেলে তাহলে তো আর শরীর খারাপের ভয় থাকবে না? আপনিও এমনটাই মনে করেন নিশ্চয়ই?
আসলে বাড়ির খাবার খেলে শরীর ভাল থাকবে কিন্তু বাইরের খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন বলে যাদের ভাবনা, আজকের এই প্রতিবেদন বিশেষ করে তাদের জন্য। আসলে বাড়িতে রান্না করা মানেই যে সেটা স্বাস্থ্য সম্মত এমন ভাবনা ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন যেকোনো রান্নার স্বাদ অনেকটাই তার তেলের উপর নির্ভর করে।
তেল যদি খাঁটি না হয় তাহলে রান্না যেনো কিছুতেই খোলে না। সে আপনি যতই মশলা দিন না কে। কিন্তু সাবধান, রান্নার তেল যদি ঠিক না থাকে তাহলে বাড়ির রান্না করা তেল থেকেই ক্যান্সার হতে পারে আপনার, সেটা কি আপনি জানেন? আর সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হল এই ঘটনার কারন হতে পারে আপনার সংসারে নিত্য ব্যবহৃত রিফাইন্ড তেল।
এই প্রতিবেদনে যা যা তথ্য তুলে ধরা হল তা বিভিন্ন সূত্র ঘেঁটে পাওয়া। আমরা জানতে পেরেছি যে এই ধরনের তেল খাওয়া কখনোই সমর্থন করে না ডাক্তার। চিকিৎসকেরা বলছেন রিফাইন্ড তেল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এর পেছনে রয়েছে যথেষ্ট যুক্তিও। আসলে পরিশোধিত তেল যখন তৈরি হয় তখন কেবল গন্ধই নয়, এর প্রাকৃতিক লুব্রিসিটিও থাকে না।
আরো পড়ুন – ‘ফাঁসি’ শব্দটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন তাই না? সিনেমায় যেভাবে দেখানো হয় আদৌ কি তাই বলে জেল ম্যানুয়াল ?
এবার আপনি যদি এই নন-লুব্রিকেটিং তেল ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকে বলিরেখা, শুষ্কতা, ব্রণসহ নানা সমস্যা দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। আর পরবর্তীতে এই সবের জেরে ভোগান্তির শেষ থাকে না।অথচ দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হল রিফাইন্ড অয়েল যত দিন যাচ্ছে মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চিকিৎসকেরা বলছেন এই তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
আরো পড়ুন – শিকাগো স্মৃতির ঐতিহ্য! কিন্তু সেই শহরের হঠাৎ ‘কসাইখানা’ নাম হল কেন?
এই তেলে যে গন্ধ হয় তার জন্য দায়ি হচ্ছে প্রোটিন, যা অপসারণের ফলে পরিশোধিত তেলে প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। এটা যদি নিয়মিত খেতে হয় তবে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আবার এই তেলের নিজস্ব ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় না।
আরো পড়ুন – ব্ল্যাক মাম্বা! এক ছোবলেই ছবি? কোন সাপের মাত্র দু’ফোঁটা বিষে এক মুহূর্তে সব শেষ?
ফলে রান্নাতেও এই অ্যাসিড অনুপস্থিত থাকায় চোখ, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগের নানা ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়ে । বিশেষ করে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন খাবারে না থাকায় মানুষের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন – ‘স্টেগনোগ্রাফি’ বলতে আপনি কী বোঝেন? প্রযুক্তিবিদ্যার সঙ্গে জড়িত এই বিদ্যা কোন কাজে লাগবে আপনার?
তাহলে একবার ভেবে দেখুন! যে খাবার খেয়ে আপনি সুস্থ থাকবেন বলে মনে করছেন , আপনার অজান্তেই সেই খাবার বড় বিপদ ডেকে আনছে। যদি কোনও রকমের সংশয় মনে হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন আপনি তবে সুস্থ থাকবেন আপনার চারপাশ।