Breaking Bharat: ঠান্ডা গরমে সর্দি জ্বর? অনবরত নাক দিয়ে জল ঝরছে? ঘরোয়া উপায় মেনে সমস্যার সমাধান করুন আজই !
শীতকালে ঠান্ডা পড়ে গ্রীষ্মকালে গরম কিন্তু গন্ডগোলটা হয় যখন ঠান্ডা বা গরম আবহাওয়ায় মধ্যে আমরা প্রথম প্রবেশ করি। আবহাওয়ার পরিবর্তনেই ভাইরাসের সংক্রমণ সবথেকে বেশি করে ধরা দেয়। আর তখনই নানা ধরনের উপসর্গ আমাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে। জ্বর, মাথাব্যথা, হাঁচি কাশি এইসব তো লেগেই থাকে।
তবে যেমনটা শুরুতে বলা হয়েছে সব থেকে বিরক্তিকর হল নাক দিয়ে অনবরত জল ঝরে পড়া। এই সময় না শুয়ে শান্তি না বসে। এ পাশ থেকে ওপাশ ঘুরলে নাক দিয়ে ক্রমাগত জল ঝরতে শুরু করে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ খেয়ে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কিছুতেই যেন আর রক্ষা মেলেনা। কিন্তু আমরা বলব কিছু ঘরোয়া টোটকার কথা যাতে সহজেই অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার হ্যাপা এড়াতে পারবেন আপনি (Recover from Fever With These Foods)।
প্রথমেই আপনাদেরকে বলি ঠান্ডার সময় গরম জিনিস খেতে সকলেরই ভালো লাগে। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তাররাও গরম পানীয় খাবার কথা বলেন। শরীরের অবস্থা যাই হোক না কেন যারা চা খেতে ভালোবাসেন তারা কিন্তু এই নেশা থেকে কিছুতেই নিজেকে বঞ্চিত করে রাখতে পারেন না।
এবার আমরা বলছি আপনাকে গ্রিন টি খাবার কথা। কোন রকমের বিজ্ঞাপন প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরা আমাদের উদ্দেশ্য নয় আমরা শুধু যে টোটকার কথা বলছি তা বিভিন্ন সমীক্ষা মারফত আমাদের সামনে উঠে এসেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র ঘেঁটে ইন্টারনেট থেকে এই তথ্যগুলি আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করছি।
সবুজ চা খেতে বলা হচ্ছে তার কারণ এতে শরীরের ভিতরে একটা উষ্ণতা অনুভব করতে পারেন আপনি। গ্রীন টি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্লাভোনয়েডস থাকে, যার ফলে প্রদাহ কমবে। মনে রাখতে হবে আমাদের শরীরে ভিটামিনের যথাযথ উপস্থিতি শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখে।
আরো পড়ুন – আপনার স্ত্রী কি পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত? বুঝতে পারছেন না এই সময় আপনার কী করা উচিত?
আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি যথেষ্ট পরিমাণে থাকে তাহলে কিন্তু যেকোনো ধরনের সংক্রমণই হোক না কেন সহজেই আপনার দেহ তার সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারবে। করোনা সংক্রমণের সময় খুব বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো। এক্ষেত্রেও সেই একই কথা বলবো আমরা।
পেঁপে, কমলা, স্ট্রবেরি, লেবু প্রচুর পরিমাণে খেয়ে দেখুন, নাক চোখ দিয়ে জল ঝরা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনিতেই মধুর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান আছে। তাই গরম দুধ বা হালকা গরম জলে মধু মেশালে সেটা এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে।
আরো পড়ুন – ফুটবল না ক্রিকেট? জনপ্রিয়তার নিরিখে ফুটবলকে এগিয়ে গেল?
রান্নায় দিলে পুরোপুরি স্বাদ বদলে দিতে পারে রসুন ও পেঁয়াজ। কিন্তু জানেন কি এই দুটো আনাজের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী এমন উপাদান আছে, যা অনেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।
আসলে আগেকার দিনে এত ডাক্তার ভর্তি করার মত সুযোগ বা সামর্থক সাধারণ মানুষের ছিল না। সেক্ষেত্রে ভরসা রাখতে হতো আয়ুর্বেদিক গুণাবলী সম্পন্ন ভেষজ টোটকার উপরে। বর্তমানে সেই সব কিছু থেকেই তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানসম্মত ওষুধপত্র যা কিন্তু মানুষ ভিড় জমান ওষুধের দোকানে। তবে বুঝতে হবে এগুলোর ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আরো পড়ুন – আপনি কি যখন তখন ভয় পান? গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় কি?
কারণ বেশি ওষুধ খাওয়া মানেই আপনার হৃদপিণ্ড এবং স্নায়ুতন্ত্র তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।। তাই চেষ্টা করুন সহজ সরল স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে। তবে হ্যাঁ গুরুতর সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।