Breaking Bharat: বাড়ির বয়স্কদের প্রশ্নে আপনি কি জর্জরিত? যখন তখন স্যালারি স্ট্রাকচার নিয়ে প্রশ্ন উঠে বুঝি? তাহলে উপায়?
মানুষকে চেনা বড় দায়। কোন মানুষ কখন কী ভাবে কোন পরিস্থিতির মধ্যে আপনাকে ফেলবে সেটা আপনি আগে থেকে জানতে পারেন না। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সব সময় সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা যায় না। অর্থাৎ সময়ের উপর কিছু জিনিস ছাড়তে হয় এবং সেই মতো রিয়াক্ট করতে জানতে হয়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা একাধিক ঘটনার সম্মুখীন হই। কিন্তু সবচেয়ে আমাদের মনে ধরে এমনটা নয়। হঠাৎ হঠাৎ এমন কিছু প্রশ্ন চেনা লোকেরা করে ফেলেন যেটা ভীষণ বিব্রত করে আমাদের। সেই রকমই একটা কমন প্রশ্ন হল আপনি কত মাইনে পান? (Question about salary structure)
আপনি কত মাইনে পান?
জীবনে চলার পথে প্রতিটা মানুষ একাধিক ঘটনাকে অ্যালবামে ভরে নিয়ে এক পা, দু পা করে জন্ম থেকে মৃত্যুর সফরে এগিয়ে যায়। ছোট থেকে বড় হতে হতে ভালো হওয়ার নীতি শিক্ষা আমাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করাবার চেষ্টা করতে থাকেন মা-বাবা। ভালো রেজাল্ট করলে খুব একটা চিন্তার কারণ থাকে না।
কিন্তু সমস্যায় পড়ে মাঝারি মেধার পড়ুয়ারা। স্কুল জীবনে তাদের ভীষণ বিব্রত করে যে প্রশ্ন সেটা হল “কত নম্বর পেয়েছিস?” আসলে বয়স্করা বুঝতেই চান না যে প্রেস্টিজ বলে একটা ব্যাপার আছে। তাই যখন তখন, যেখানে সেখানে, যার তার সামনে এরকম প্রশ্ন করলে একটু তো সমস্যা হয় সেটা আমরা বুঝি। বয়স বাড়লে চাকরি করলে সেরকম ভাবেই ধেয়ে আসে ‘মাইনের অ্যামাউন্ট‘ জানার ব্যাপারটা।
এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচার কোন রাস্তা থাকে না। এই সমস্যায় কমবেশি প্রত্যেককেইপড়তে হয়। সেক্ষেত্রে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেই প্রশ্নটা এড়িয়ে যেতে হবে আপনাকে। দেখুন আপনি চাইলে বলতেই পারেন উত্তর, কিন্তু ব্যক্তিগত বলে অনেক জিনিস থাকে যেটা সব সময় সবার সামনে আনা যায় না।
আরো পড়ুন – স্লিপ প্যারালাইসিস রোগটার সম্পর্কে জানা আছে? নিজের অজান্তে আপনিও এই রোগের শিকার নন তো?
আমরা সার্বিকভাবে সমীক্ষার ভিত্তিতে যে মতবাদের উপর বেশি আগ্রহ দেখেছি এই প্রজন্মের, এটাই আপনার সামনে তুলে ধরছি। কারণ এই ভাবনা-চিন্তার ব্যতিক্রমী অনেকেই আছেন। অর্থাৎ এমন মানুষ আছেন যারা সহজ সরল ভাবে কেউ প্রশ্ন করলে সেটা মাইনে সংক্রান্ত হোক বা পরীক্ষার নম্বর সংক্রান্ত, অনায়াসে বলে দিতে সচ্ছন্দ বোধ করেন।
আপনি কি সেই তালিকায় আছেন?
যদি না থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনে সব কটা কথা আপনাকেই বলছি আমরা। যে মানুষটি প্রশ্ন করছেন তার সঙ্গে আপনার কী সম্পর্ক সেটা মাথায় রাখুন। শান্ত এবং নম্রভাবে তার সঙ্গে ব্যবহার করুন এবং কথায় কথায় প্রসঙ্গটাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। অনেক সময় এক্সাক্ট এমাউন্ট না বলে একটা বিশেষ স্যালারি রেঞ্জ বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন আপনি।
আরো পড়ুন – চাহিদা বাড়ছে বিটকয়েনের, বিষয়টা আসলে কী?
আসলে যিনি এরকম প্রশ্ন করছেন তার চরিত্রে অযাচিত কৌতুহল বলে একটি বিশেষ বস্তু রয়েছে। আমরা কাউকে আঘাত করছি না কিন্তু আপনি যদি বয়স্ক মানুষও হন তাহলেও মাথায় রাখতে হবে সব জায়গায় সব কথা বলা বা প্রশ্ন করা সমীচীন নয়। আপনি যাকে প্রশ্ন করছেন তিনি কি উত্তর দিতে চান সে ব্যাপারটা তো আপনার বোঝা দরকার।
আরো পড়ুন – মুখ দিয়ে লালা ঝরা কি অসুখের ইঙ্গিত? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
ভদ্র স্বভাবকে কখনোই অসহায়তা বা দুর্বলতা বলে ভেবে নেবার ভুল করবেন না। মুখের উপর কেউ কথা বলতে পারছে না বলে এমনটা নয় যে তার ওপর যা খুশি জোর করা যায়।
সবশেষে বলি প্রতিটা মানুষের একটা নিজস্ব জগত আর গণ্ডি থাকে। সেটাকে সযত্নে রক্ষা করা এবং সেই ব্যক্তিত্বকে সবার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব কিন্তু আপনার। আশা করি অল্প কথায় পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিতে পেরেছি আপনাকে।