Breaking Bharat: ইংল্যান্ড মানেই রাজতন্ত্র। এখনও দেশটি গণতান্ত্রিক নয় বরং রাজতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়েই চলে দেশের শাসনভার। আর ব্রিটিশ রাজপরিবারের কথা বললে রানী এলিজাবেথের কথা সবার আগে উঠে আসে। ইংল্যান্ডের রাণী প্রথম এলিজাবেথ কুমারী রাণী হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। ও শাসনভার দিব্যি সামলেছেন কিন্তু (Queen Elizabeth of England) ।
ব্যক্তিগত জীবনে কোথাও কি অপূর্ণতা ছিল ? (Queen Elizabeth)
সাল ১৫৩৩! রাজা অস্টম হেনরি এবং এনে বোলিন এর কোল আলো করে রাজ পরিবারে জন্ম এলিজাবেথের (Queen Elizabeth)। রাজা পুত্র সন্তান চেয়ে ছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন পুত্র সন্তান বিচক্ষণ আর বুদ্ধিমান হবে। কন্যা সন্তান রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না বলেই তাঁর বিশ্বাস ছিল।রাজা অস্টম হেনরি তাঁর ভাবনা চিন্তা এবং কার্যকলাপের কারণে ইতিহাসের পাতায় নিষ্ঠুর রাজা হিসেবেই পরিচিত।
আরো পড়ুন- Wedding Gift: বিয়েতে নবদম্পতিকে বোতল-ভর্তি পেট্রল-ডিজেল উপহার দিলেন বন্ধুরা,কেন জানেন ?
রানী প্রথম এলিজাবেথ এর শৈশব কেটেছে একাকিত্বে আর দুঃখ কষ্টে। তিনি অল্পবয়সে মাতৃহারা হয়েছিলেন। তার খেলার সাথী ছিলেন তার ছোটভাই এডওয়ার্ড আর বাড়িতে রাখা অসংখ্য বই।১৫৪৭ সালে রাজা অস্টম হেনরির মৃতু্র পর রাজার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী এডওয়ার্ড কে ক্ষমতায় বসানো হলো যদিও এডওয়ার্ড শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। সর্বশেষে ছিলেন রাণী এলিজাবেথ।
আরো পড়ুন- Iceland : পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তির দেশ, নেই কোন অশান্তি ! কিন্তু এমন জায়গা আদৌ আছে কি?
রানী এলিজাবেথ তাঁর গোটা জীবন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উন্নয়নে ব্যয় করেছেন (Queen Elizabeth has spent her entire life developing the British Empire)। তাঁর রাজত্বকালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বৃদ্ধি বেশ প্রসার হয়েছিল। তিনি সফল কূটনীতিবিদ। যদিও একাধিক প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি বিবাহের জন্য । কিন্তু মনে করা হয় তাঁর বাবার আচরণ তাঁর মনে পুরুষ বিদ্বেষী ধারণাকে ইন্ধন জুগিয়েছে।
তিনি সারাটা জীবন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যেকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রোটেস্টান্ট এবং ধার্মিক। হয়তো জীবনের কিছু কঠিন মুহুর্ত তাকে বিয়ের প্রতি অনাগ্রহী করে তুলেছিল। তবে তাঁর রূপের প্রশংসা এখনও সর্বত্র আলোচিত হয়।