Punishment for cutting trees: বিনা প্রয়োজনে ‘গাছ কাটার শাস্তি’ যে কি ভয়াবহ হতে পারে জানেন কি? অকারনে গাছ কেটে কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন না তো? সারাক্ষণ গরম গরম করে হাপিত্যেশ করছি আপনি আমি।
আমরা জানি না এই গরম থেকে কবে মুক্তি পাব কিন্তু চাতক পাখির মত আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি নিজেদেরই কারণে। যত দিন যাচ্ছে ততই গরমের তীব্রতা বাড়ছে আর এটা আগামীতে যে কতটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে চলেছে সেই সম্পর্কে আজকে দাঁড়িয়ে আমি আপনি খানিকটা হয়তো আন্দাজ করতে পারছি।
বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটার শাস্তি:
প্রত্যেকে বলছেন আরও বেশি করে ‘গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা‘ আছে (The necessity of planting trees) কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন আজকে এই প্রয়োজনীয়তা বা এই গাছ শূন্যতা কেন তৈরি হল ? তার নেপথ্যে থেকেই আমাদের লোভ-লালসা, দায়ী নয়? বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটার শাস্তি যে কি ভয়াবহ হতে পারে সেটাই বোঝার সময় এসে গেছে।
পৃথিবী যত উন্নত হচ্ছে সভ্যতা যত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তার অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে সব রকমের পদক্ষেপ করছে। আজকে একটা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা চেষ্টা করছেন একটি ফ্ল্যাট কিনে রাখতে।
এটা দুটো ব্যাপার ঘটছে এক এই ফ্ল্যাট যে তৈরি হচ্ছে সেগুলো কিন্তু সব পুকুর বুজিয়ে কিংবা গাছপালা কেটে সেখানে এই আবাসন তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে ভাবুন প্রত্যেকে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে থাকতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে যে বাবা-মা সন্তান তিনজনে মিলেও যদি কোন একটা বাড়িতে থাকে ,
সেখানেও সন্তান বিয়ের পর তার পরিবার নিয়ে অন্য একটা ফ্ল্যাটে থেকে কতটা দূরত্ব তৈরি করে ফেলছে। তাহলে ভাবতে পারেন আমরা কীভাবে সমাজের ক্ষতি করছি? গাছ ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না ছোটবেলা থেকে জীবন বিজ্ঞান বইয়ে এই কথাগুলো বারবার করে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন – Summer clothing: গরমের উপযুক্ত পোশাক! প্রচন্ড গরমে কোন ধরনের পোশাক পড়লে আরাম পাবেন?
গাছপালা কেটে আমরা কীভাবে সমাজের ক্ষতি করছি?
আমরা জানি মানুষ এবং প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য দরকার অক্সিজেন আর সেটা আমরা পাই উদ্ভিদের কাছ থেকে। উদ্ভিদ তার পরিবর্তে আমাদের ছেড়ে দেওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং প্রকৃতিকে সভ্যতাকে সুন্দর ভাবে বাঁচিয়ে রাখার গুরু দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়ে নিয়েছে।
আরো পড়ুন – তীব্র গরমের জন্য বাড়ছে অতিরিক্ত খরচ! গরমের জন্য ক্ষতি হচ্ছে অর্থনীতিরও জানেন কি?
খুব সাধারণ হিসেব বলছে যদি গাছের সংখ্যা কমে তাহলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়বে কারণ সেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার মতো উদ্ভিদ নেই। আর অন্য দিকে গাছ কেটে আমরা যে বড় বড় ফ্ল্যাট রেস্তোরা বা শপিং কমপ্লেক্স তাই তৈরি করি না কেন, সেখানে মানুষের আনাগোনা বেশি মানে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বেশি।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ বেশ গুরুত্বপূর্ণ:
অথচ গাছ না থাকার জন্য অক্সিজেনের দোকানে ঘাটতি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ যে কতটা অপরিহার্য সেটা বোধহয় এই সামান্য কথাতেই বোঝা যায় যেটার অসামান্য গুরুত্ব মানুষ ভুলতে বসেছে। বিজ্ঞানের হিসেব বলছে একটা গাছ সারা বছরে প্রায় ১৩ কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে।
আরো পড়ুন – গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় বেশি করে জল খাচ্ছেন? ‘গরমে ঠান্ডা জল’ খেলে কতটা বিপদ হতে পারে?
আর এই তের কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড প্রকৃতিতে খালি থাকা মানে কত সংখ্যায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বেন তার কোনও আইডিয়া আছে কি?
আরো পড়ুন – গরমে শরীর অস্থির লাগছে! তাহলে এই ‘তীব্র গরমে আচমকা অসুস্থ’ হয়ে পড়লে কি করবেন?
এখনই যদি এই অবস্থা বদরের চিন্তা ভাবনা না করা হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে গিয়ে মানুষ নিজের ঘরবাড়িতে থাকতে পারবেন না। তাদেরকে থাকতে হবে হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের বেডে। নিজেদের পাপের শাস্তি অনিবার্য পরিণতি হয়ে চলে আসছে মানুষেরই কাছে।