Breaking Bharat: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে সমস্যায়? আবেদন করা সত্ত্বেও এখনও মেলেনি টাকা? চিন্তা নেই, আশ্বাস রাজ্যের। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নথি সংক্রান্ত নিয়মে বদল’ আনল সরকার। ফলে এই প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া জট কাটবে বলেই আশাবাদী রাজ্যবাসীর একাংশ। কী বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে হাসি ফুটেছে বাংলার গৃহবধূদের মুখে (housewives are smiling at Lakshmi’s Bhandar project)। প্রায় এককোটিরও বেশি গৃহবধূর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা‘। তবে অনেকে তাড়াহুড়োয় ভুল করেছেন আবেদনের ক্ষেত্রে।
যার ফলে এই প্রকল্প ঘিরে জটিলতাও দেখা গেছে। বহু আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টের ঢোকেনি টাকা। সূত্রের খবর, প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদনকারী এখনও পর্যন্ত পাননি এই প্রকল্পের টাকা। যাদের মধ্যে প্রায় ৮ লক্ষ আবেদনকারী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সংক্রান্ত সমস্যার (Problems with the bank account) জেরে এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এছাড়াও ৩৫ লক্ষ আবেদনকারীর সবচেয়ে বড় অংশ সঠিকভাবে আবেদনই করতে পারেননি। এই সংখ্যায় নয় নয় করে প্রায় ২৬ লক্ষ। নথি সংক্রান্ত এই সমস্যার জেরে বাংলার গৃহবধূরা পাচ্ছেন না প্রকল্পের টাকা! সেই সমস্যার সুরাহা করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সরলীকরণ আনল নিয়মে।
আরো পড়ুন – নিজের স্কিন সুস্থ রাখতে জানেন? আপনার ‘স্কিন ড্রাই নাকি ডিহাইড্রেটেড’ সেটা জানেন তো?
ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলাগুলিতে পাঠানো হয়েছে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা। এছাড়াও সংবাদসূত্রে জানা গেছে, অসম্পূর্ণ আবেদন বা অন্যান্য কারণে যে মহিলারা এই প্রকল্প থেকে এখনও পর্যত বঞ্চিত রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগের পরিকল্পনা রয়েছে নবান্নের।
নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের তরফে সম্প্রতি জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথি কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য আবেদনকারীদের বিষয়টি নজরে রাখতে হবে জেলা প্রশাসনকে।
আরো পড়ুন – ‘রসুন চাষে’ দু লাখ আয়? সামান্য বিনিয়োগেই লাখপতি? রসুন চাষে বিরাট সাফল্য!
এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারী যোগ্য বলে বিবেচিত হয়, তাহলে আবেদন করতে পারবেন গৃহবধূরা। তবে এক্ষেত্রে সমস্তকিছু খতিয়ে দেখার পর সিলমোহর দেবে জেলা প্রশাসন। তবে নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, যদি স্বাস্থ্যসাথি কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র প্রভৃতি নাও থাকে তাহলেও আবেদন করা যাবে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল বৈঠক বসে। আর সেখানেই জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা। প্রতিটি জেলায় পাঠানো সেই নির্দেশিকা মানার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। বাংলার কোনও আবেদনকারী যেন এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন,
সেই ভাবনা থেকেই এহেন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। এক্ষেত্রে সময়সীমার বেঁধে দিয়েছে দফতর। চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই মেটাতে হবে সব সমস্যা।
আরো পড়ুন – Vinod Khanna: নিজের ক্যান্সার লুকিয়ে ‘অমিতাভ বচ্চনকে টেক্কা দিয়েছিলেন বিনোদ খান্না’! জানেন?
ইতিমধ্যে বাংলার এককোটিরও বেশি মহিলার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। যার জেরে ১০৮২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্য সরকারের। জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন নির্দেশ দিয়েছেন যে, যাঁরা এখনও টাকা পাননি, তাঁদের অ্যাকাউন্টেও যাতে অতি দ্রুত লক্ষীর ভান্ডারের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এই নির্দেশিকায় প্রশাসনও তৎপর হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
যদিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে নানা অভিযোগ শোনা গেছে। কর্মসংস্থানের পরিবর্তে ‘দয়াদাক্ষিণ্যে’ রাজ্য চালাতে চাইছে, এমনটাও শোনা গেছে তাদের অভিযোগে। যদিও এই প্রকল্প নিয়ে বাংলার মানুষের উৎসাহও টের পাওয়া যাচ্ছে গ্রামেগঞ্জে।
আরো পড়ুন – রাতে ঘুমের মধ্যে কাশি আসে? আসলে ‘রাতের কাশি ঘুমের দফারফা’ করে দেয়। কিন্তু এর কারণ কী?
বাংলার গৃহবধূরা যে আপাতত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই মজে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সাময়িক তৈরি হওয়া জটিলতায় সরকারের নয়া নির্দেশিকা যে আবেদনকারী মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাবে, তা বলা বাহুল্য।