Breaking Bharat : গর্ভধারণের লক্ষণ কি? অনিয়মিত পিরিয়ডস মানেই আপনি গর্ভবতী (Pregnancy symptoms)? শুধু পিরিয়ডসের গোলমালই নয় সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাবও , মুড সুইং হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ ! জেনে নিন বিশদে
নতুন মানুষকে পৃথিবীতে আনতে চান সবাই কিন্তু তার আসার সময় কোনটা? আর বুঝবেন কি করে তিনি আসছেন কিনা? অনিয়মিত পিরিয়ডস মানেই আপনি গর্ভবতী?
কি করে আপনি মা হতে চলেছেন?
দুটি মানুষের ভালোবাসার ফল সন্তান। সে পৃথিবীতে আসে আর এ পৃথিবীতে হেসে খেলে বড় হয়। পুরুষ এবং নারীর জীবনে বিয়ের সার্থকতা যেন সন্তান লাভে এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। সব নারী তার নারীত্বের পূর্ণতা পান মা হওয়ার পর। মাতৃত্ব যে কোনও নারীর জন্যেই নিঃসন্দেহে একটি আনন্দদায়ক বিষয়।
কিন্তু গর্ভধারণ করা এবং তা বুঝতে পারা এটা একটা জটিল বিষয়। তবে সহজ করে বোঝাবো আপনাদের। সব সময় তো ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না । প্রাথমিকভাবে বুঝবেন কি করে আপনি মা হতে চলেছেন? (You are going to be a mother?)
পুরুষ এবং নারীর যৌন মিলনে নতুন মানুষের আগমন। কিন্তু ধরুন শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্যই নারী-পুরুষ একে অন্যের সঙ্গে কোনটা তৃপ্তি, সুখ আর কোনটা সন্তান ধারণ, এটা কি সহজে বোঝা যায়? প্রাথমিকভাবে অনেক কিশোরী বা তরুণী সন্তান ধারণ করে ফেলেন, কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না। যখন বোঝেন ততক্ষণে হয়তো সন্তানের অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেছে বা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে গেছে।
আপনি গর্ভবতী? এই কয়েকটি লক্ষণ মিলিয়ে নিন:
মেয়েরা অতুলনীয় পরিপূর্ণতা লাভের অনুভূতি পান গর্ভধারণের পরই। কিন্তু অনেক সময় কোনও কোনও মহিলা গর্ভধারণের বেশ কয়েক মাস বুঝেই উঠতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী কিনা! আর গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস গর্ভস্থ শিশুর নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাই কোনও মহিলা গর্ভবতী (woman is pregnant) কিনা একটু সতর্ক হয়ে কয়েকটি লক্ষণ মিলিয়ে নিলেই ঘরে বসেই নিশ্চিত হতে পারেন।
নারী দেহের একটা সুচারু গঠন আছে। শারীরিক বিভিন্ন চক্রের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হল ঋতুস্রাব (Menstruation)। আর এখানে যদি গন্ডগোল হয় তাহলে মনের সন্দেহ উকি দিতে পারে। সাধারণভাবে এটাকেই গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ বলে ধরা হয়। প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে মহিলাদের পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮ দিন পর পর)।
সে ক্ষেত্রে, খেয়াল রাখুতে হবে আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হচ্ছে কিনা! যদি ২৮ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছেন (You are pregnant)। অন্যান্য লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন। অনেক সময় খুব স্বাভাবিক কিছু জিনিস ইঙ্গিতবাহী হয় কিন্তু আমরা তা ধরতে পারি না। খেয়াল করুন, আপনি কি স্বাভাবিকের চেয়ে অধিকবার বা ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব করছেন?
অবাক লাগলেও গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ এটি। যদি হঠাৎ করে সারাক্ষণ নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় এবং সময়ে অসময়ে কেবল ঘুমোতে ইচ্ছে করে, যা আপনার স্বাভাবিক দৈনিক রুটিনের বাইরে, তাহলে এই লক্ষণটিকে অবহেলা করবেন না।সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রচন্ড দূর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষন্ন লাগে এবং সেই সঙ্গে প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য্য দেখা দেয়।
আরো পড়ুন- Srabanti Chatterjee : অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় কেন বারবার বিয়ে করেন ?
হতে পারে আপনার শরীরে কোন সমস্যা হয়েছে এবং তার সঙ্গে গর্ভধারণের একেবারেই সম্পর্ক নেই সেটা কিন্তু নয় তাই ডাক্তারের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করুন। মাথায় রাখবেন সন্তান ধারণের সঙ্গে মূত্র নির্গমনের সমস্যার একটা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে। প্রেগন্যান্সির সময় শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ তরল উৎপাদন করে। আর তার জেরে কিডনি দ্বিগুন পরিমাণে কাজ করে।
প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহে যে লক্ষণগুলি দেখা যায়:
আর সেই কারণেই অতি ঘন ঘন শৌচাগারে যাওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। এর পাশাপাশি যখন তখন মুড খারাপ থাকে কি? বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবেন না। হরমোনের আধিক্যের জেরে এই রাগ, এই দুঃখ, কখনও অবসাদ পরমুহূর্তেই আনন্দে ভরে ওঠা। এই ধরনের মুড সুইং হতেই থাকে। প্রেগন্যান্সির প্রথম সপ্তাহে (In the first week of pregnancy) যে লক্ষণগুলি দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম এটি।
আরো পড়ুন- Farmer : কৃষকের যন্ত্রনা বোঝেন? ফসল উৎপাদন করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন কৃষকরা !
শরীরের তাপমাত্রা থেকেও গর্ভধারণের লক্ষণ (Pregnancy symptoms) বোঝা সম্ভব। শরীরের তাপমাত্রার দিকে নজর দিতে হবে যাতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন শনাক্ত করা যায়। ডিম্বস্ফোটনের আগে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং আপনার পিরিয়ড চক্রের পরে স্বাভাবিকে ফিরে আসে। কিন্তু গর্ভাবস্থার পুরো সময় জুড়ে, শরীরের মৌলিক তাপমাত্রা বেশি থাকার প্রবণতা থাকে।
আরো পড়ুন- Daughter: মেয়েরাই বাবাদের নয়ন মনি, কেন কন্যা সন্তান বাবাদের বড়ই প্রিয়?
সাধারণত ওষুধের দোকানগুলোতে উপলব্ধ প্রেগন্যন্সি পরীক্ষার (Pregnancy test) স্ট্রিপ এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। প্রথম পিরিয়ডের ডেট মিস করার পরদিনই এটি দিয়ে টেস্ট করুন। সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রস্রাবে স্ট্রিপটি ডুবিয়ে রেখে পরীক্ষাটি করা সম্ভব।
তবে ছোট্ট একটা অনুরোধ যা করবেন সাবধানে করবেন কারণ একজন নতুন মানুষকে পৃথিবীতে আনা সহজ কথা নয়। আর আপনার সন্তানকে সুস্থ ভালো ভবিষ্যৎ এবং জীবন দেওয়া আপনার কর্তব্য।