Breaking Bharat: সকলেই বলাবলি করছেন পৃথিবী ধ্বংস হবে। কিন্তু কী ভাবে? এই বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ বাণীর কথা জানেন কি?
কোন জিনিস শুরু হলে সেটা শেষ হবে এটাই স্বাভাবিক তা সেটা খেলা হোক কিংবা জীবন। অর্থাৎ সাদা কালো যেমন চরম সত্য অন্ধকার আলো যেমন পৃথিবীর বাস্তব, জন্ম মৃত্যু ততটাই স্বাভাবিক। তাহলে কোন কিছু সৃষ্টি হলে সেটা তো ধ্বংস হতেই হবে হয় প্রাকৃতিক উপায় তা না হলে মানবিক কোনো পদ্ধতিতে।
পৃথিবী কবে ধ্বংস হবে, কীভাবে ধ্বংস হবে?
কিন্তু মানুষের হাতে সৃষ্টি কোন কিছুকে নয় মানুষ ধ্বংস করতে পারে কিন্তু যার কারণে মানুষের সৃষ্টি সেই স্রষ্টার পক্ষে কি নিজেকে ধ্বংস করা সম্ভব নাকি তার সৃষ্টাকে ধ্বংস করতে পারে? আসলে আমরা পৃথিবীর কথা বলছি। আগে পৃথিবীর অস্তিত্ব এসেছে তবেই সেখানে প্রাণের সন্ধান মিলেছে।
কিন্তু বিগত কিছু বছর ধরে পৃথিবীর আয়ু ফুরিয়ে এসেছে এবং যে কোন মুহূর্তে পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে একাধিক কথাবার্তা সমাজ মাধ্যম থেকে নেট পাড়া সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আজকাল কথায় কথায় সাধারণ মানুষও বলেন বিনাশের সময় ঘনিয়ে এসেছে, মানে যেমনটা আগেকার দিনের পুরানে বা রূপকথার গল্পে বলা হতো। তাহলে প্রশ্ন পৃথিবী কবে ধ্বংস হবে, কীভাবে ধ্বংস হবে?
এই নিয়ে নানা মুনির নানামত কিন্তু এখনো পর্যন্ত কারোর কড়া কোন ভবিষ্যৎবাণী মেলেনি। তাই বলে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে ক্রমাগত পৃথিবীর বুকে বিপর্যয় নেমে আসছে সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটাতে বেশ টের পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা আজকে আপনাকে গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার করা ভবিষ্যৎ বাণীর কথা বলব।
AI এর ভবিষ্যদ্বাণীতে যে চার কারণে পৃথিবী ধ্বংস হবে:
AI শব্দটার সঙ্গে এখন একটা ছোট্ট বাচ্চাও পরিচিত হয়ে গেছে। প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে ততই যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডানা মেলে নিজের পরিধির বিস্তার ঘটাচ্ছে। সাধারণ জীবন থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞান, মহাকাশ গবেষণা থেকে সমুদ্রবিজ্ঞান সবেতেই এই পদ্ধতির অবলম্বন করা কেমন যেন আবশ্যক হয়ে পড়ছে।
পৃথিবীতে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কামাল করছে সেই আবার পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভবিষ্যৎবাণী করেছে। সেখানে যুক্তি দিয়ে চারটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা আমরা আজকে এই প্রতিবেদনে আপনার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। সত্যি কথা বলতে কি গুগুল AI এর ভবিষ্যদ্বাণীতে যে চার কারণে পৃথিবীর ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে তা আপনাকেও চমকে দিতে পারে।
কীভাবে এবং কবে পৃথিবী ধ্বংস হবে?
আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কীভাবে এবং কবে পৃথিবী ধ্বংস হবে? এর উত্তরে গুগলের বার্ড সফ্টওয়্যার তা নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করে। যেখানে একদিকে যেমন পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে তেমনি পাশাপাশি পৃথিবী ধ্বংস হতে নাও পারে এমন আশার বাণীও জানানো হয়েছে। যে চারটে কারণের কথা বলা হচ্ছে সেটাই বার একে একে উল্লেখ করবো আমরা।
প্রথমত প্রাকৃতিক বিপর্যয়: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলছে বিশাল গ্রহাণুর প্রভাবে অগ্ন্যুৎপাত বা বিশ্বব্যাপী মহামারী মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। কয়েক বছর আগে করো না ভাইরাস আসার পর ও মানুষ এমন দুশ্চিন্তায় পড়েছিল। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিন্তু বলছে বড় গ্রহাণুর প্রভাবেও ব্যাপক ধ্বংস ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
আরো পড়ুন – পাখির ডাক কি শয়তানের হাসি? লাফিং কুকাবুরা পাখি, যার কণ্ঠস্বর ‘পৈশাচিক হাসি’-র মতো?
যদি তেমনটা হয় তাহলে মানুষের বিলুপ্তি ঘটা অস্বাভাবিক হবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতেই পারে যে আজ থেকে প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে চিকক্সুলুব গ্রহাণুর প্রভাবে ডাইনোসর যেভাবে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, এবারও তেমন কিছু হতে পারে। Google মনে করছে সুপার-আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বায়ুমণ্ডলে প্রচুর ছাই এবং ধূলিকণা ছেড়ে দিতে পারে।
আরো পড়ুন – কারোর কাছে ভিক্ষা চাওয়া কি অপরাধ? কিন্তু ভিক্ষার নামে এ কী কাণ্ড ঘটালেন মহিলা?
যদি এমনটা হয় তাহলে সূর্য অবরুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। আর সূর্যের আলো ছাড়া প্রাণের বিস্তার সম্ভব নয়। অন্যদিকে মহামারীর কারণেও মানুষের অস্তিত্ব সংকটে পরে বলে এই বিষয়টিকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন – ক্রিকেট জ্বরে কাবু ভারত, টিম ইন্ডিয়া জার্সির রং কেন নীল এই নিয়ে ভেবেছেন কি?
দ্বিতীয়তঃ পারমাণবিক যুদ্ধ- পারমাণবিক অস্ত্র যে কতটা ধ্বংসাত্মক তার প্রমাণ আমরা সেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে পেয়ে আসছি। যা বর্তমানেও আমাদের মনে ভয় ধরাচ্ছে। যেভাবে মানুষ ক্ষমতায়নের দিকে নজর দিচ্ছে তাতে প্রতিটা দেশের মধ্যেই সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায় বা বলা যেতে পারে সম্রাট হওয়ার প্রতিযোগিতায় পৃথিবীর সব দেশের মানুষের উপর পারমাণবিক আক্রমণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
তৃতীয়ত জলবায়ু পরিবর্তন: পৃথিবী ধ্বংসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক হয়ে উঠতে পারে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ না করা হলে জলবায়ু পরিবর্তন থেকেই বড় বিপর্যয় ঘনিয়ে আসবে।
আরো পড়ুন – পাখির ডাক কি শয়তানের হাসি? লাফিং কুকাবুরা পাখি, যার কণ্ঠস্বর ‘পৈশাচিক হাসি’-র মতো?
চতুর্থ কারণ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই: এটি হয়তো মানবতাকে নির্মূল করে দেওয়ার মতো বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারবে বলে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন।