Breaking Bharat: মেয়েদের আসল সঙ্গী স্যানিটারি ন্যাপকিন (Sanitary Napkin)! কিন্তু স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের সতর্কতা জানা আছে? লাল রংটা অহংকারের না লুকিয়ে রাখার? নারী কত নিরাপদে লুকিয়ে রাখবে সে রং? তাহলে স্যানিটারিই কি যথেষ্ট? মেয়ে মানেই পুতুল কি তার সেরা সঙ্গী? পুরুষ নয় মেয়েদের আসল সঙ্গী স্যানিটারি ন্যাপকিন!
যেদিন পৃথিবীর আলো দেখে কন্যা সন্তান সেদিন থেকেই সে যেন পরের ধন। বাবার যতই নয়নের মনি হয়ে উঠুক না কেন, সমাজ পরিবার বাবাকে বুঝিয়ে দেয় মেয়ে মানেই তাকে অন্যের ঘরে পাঠাতে হবে। মেয়ের মা হওয়ার বড় জ্বালা! এই বুঝি মেয়ের মুখ পুড়লো, এই বুঝি চরিত্রের দাগ লাগল।
ছোটবেলায় তো ঠিক আছে বড় হয়ে মেয়েটাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তার জীবনে আর কোন রং থাকতে পারে না কারণ তার বেঁচে থাকার একটাই রং তা হলো লাল। যে মেয়েটা জানত লাল মানে কেটে গেলে শরীর থেকে ঝরে পড়া রক্ত, কিছুটা সময় পরে সেই মেয়েটাই জানতে পারে লাল মানে তার বড় হয়ে ওঠার চিহ্ন। লাল রংটা অহংকারের নাকি লুকিয়ে থাকার বুঝতে পারে না সে।
এই প্রধান রংটা নারী জীবনে অভিশাপ হয়ে আসে বড় সন্ধিকালে। নিয়ম করে মাসের পাঁচটা দিন অসম্ভব যন্ত্রণাকে নিয়ে যাওয়ার যে শক্তি সেটা বোধহয় নারী দেহ ছাড়া কারোর নেই। মেয়ে বড় হলে কপাল রাঙিয়ে দেবে লাল রং আর তার জন্য মেয়েকে নারী হয়ে উঠতে হবে। সেই কারণের জন্যই বোধহয় লাল রঙের গুরুত্বটা বেড়ে যায়। আসলে লাল রংটা যন্ত্রণার।
পিরিয়ড বা মেনস্ট্রুয়েশন নিয়ে প্রতি মুহূর্তে সমস্যা বেড়েই চলেছে। জন্ম থেকেই যেন এর জন্য আলাদা করে লাইসেন্স নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখে মেয়েরা। এই যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য মাসের পাঁচটা দিন পিছিয়ে পড়তে হয় মেয়েদের। তবু এগিয়ে চলেছে তারা। চরিত্রে নয় দেহের রক্তের দাগ পোশাকে যাতে না লাগে তার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে শুরু করা হয়েছে (Started using sanitary napkins)।
স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে সতর্কতা (Sanitary Napkin):
বাজারে নানা ধরনের স্যানেটারি ন্যাপকিন পাওয়া গেলেও শরীরের জন্য কতটা ভালো সেগুলো জানা দরকার। আসলে এরকম অনেক ন্যাপকিন পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অনেকেই একাধিকবার স্যানিটারি ন্যাপকিন (Sanitary Napkin) বদলাবার সুযোগ পান না। কাজের ব্যস্ততায় সেটা সম্ভব হয় না।
কিন্তু সব সময় ঠিক তিন বা চার ঘণ্টা অন্তর প্যাড বদলানোর সুযোগ না মেলায় আখেরে শরীরের ক্ষতি হয়। প্রথমত এতে নানা রকমের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় সুগন্ধের জন্য। ডাইঅক্সিন নামের একটি রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় কিন্তু সেটা শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। প্যাড ব্লিচ করতে এটি কার্যকরী।
চেষ্টা করুন যাতে ব্যক্তিগত অঙ্গ একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন। কারণ হাইজিন বজায় রাখা খুব দরকারি। আমরা সকলেই জানি এতে তুলো ব্যবহার করা হয় আর তুলো যেখানে তৈরি হয় অর্থাৎ উৎপন্ন হয় সেখানে নানা রকমের রাসায়নিক ব্যবহার করেন চাষিরা কীটনাশকের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
আরো পড়ুন- jalbhara sandesh : বাঙালি মানেই মিষ্টি প্রিয় জাতি, কিন্তু মানুষ ঠকাতে মিষ্টি তৈরি? তাও আবার জলভরা?
এর থেকে রক্তের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। নিউট্রালাইজার নামের এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সুগন্ধের জন্য। এর থেকে যোনি দ্বারে প্রদাহ বা সংক্রমনের সম্ভাবনা তৈরি হয় এমনকি বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির কারণও হতে পারে এটি। সবথেকে বেশি যেটা প্রয়োজনীয়, তাহলেও প্রচুর পরিমাণে জল খান ।
আরো পড়ুন- Chocolate : চকলেট খেলে রোগ সেরে যায়? কিন্তু এই চকলেটের আবিস্কার কি ভাবে হল?
কোনও সমস্যা হলে একমাত্র জল খেলেই সেই সমস্যা নিরাময় কিছুটা হলেও তাড়াতাড়ি হতে পারে। পিরিয়ডস চলাকালীন মূত্রনালীতে জ্বালা, যন্ত্রনা, বা খিচুড়ি সংক্রমণ এই সব কিছু এড়াতে হলে অন্তত ৩ বা ৪ ঘন্টা অন্তর প্যাড বদলান তা সেটা দূষিত হোক বা না হোক।
আরো পড়ুন- Sneeze and Cough : যখন তখন হাঁচি কাশি? মুখে মাস্ক পরতে হচ্ছে? ডাস্ট এলার্জির সমস্যা না তো?
মাথায় রাখুন কোনোভাবেই যেন যোনি দ্বারে ধর্ষণ বা সিক্ত ভাব না থাকে, স্যাঁতস্যাঁতে থাকলে এখান থেকেই নানা রকমের রোগ সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ থাকে। অনেক সময় দেখা যায় পায়ের দুপাশে লালচে দাগ দেখা যায় সেরকম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নিজেকে ভালো রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ভালো থাকার চেষ্টা করুন আর অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিন।