Breaking Bharat: দেশে বিদ্যুতের সংকট! আগে থেকে সতর্ক হোন ,না হলে ভয়ংকর পরিণতি নেমে আসতে চলেছে জীবনে, কিন্তু সাবধান (Power shortage is becoming difficult)! প্রয়োজনের বেশি কোন কিছু খরচ করা কেই অপচয় বলে, সেটা জানেন তো? রিপোর্ট বলছে দেশে রেকর্ড বিদ্যুতের ঘাটতি। এবার?
সকালে চোখ খোলা থেকে রাতে চোখ বন্ধ করা। তার পরেও প্রয়োজনীয়তা মেটে না। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর থেকে যেন স্বাচ্ছন্দের সংজ্ঞাটাই বদলে গেছে। একটু যদি পাখা বন্ধ হয়ে যায় আলো না জ্বলে হাঁসফাঁস করতে থাকি আমরা। হ্যারিকেনের আলোয় কোনো কাজ করা ভুলেই গেছি। কথায় আছে মানুষ অভ্যাসের দাস। এটা সত্যি বটে। ওই যে বলে habit is our second nature, তাই কিছু করার নেই।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় তলানিতে ? (Power shortage)
কিন্তু দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন (Electricity production of the country) প্রায় তলানিতে এসে। ঠেকেছে, এ খবর অনেকেই জানেন না। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া শ্রীলঙ্কার ঘটনা বা বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের অবস্থা বড় আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য। বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন।
পরিস্থিতি এতটাই সংকটময় যে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্থান ছাড়া অকারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার অনুমতি আর কাউকেই দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে সরকার থেকেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বিভিন্ন বাড়িতে হয়তো বা বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হতে পারে, বিশেষ করে দিনের বেলায়।
মজুদ কয়লার ভান্ডার কি শেষ?
কিন্তু এটা কী করে সম্ভব ? মজুদ কয়লার ভান্ডার কি শেষ? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ যা আপাতদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি না আমরা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে হারে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের যোগান দেওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে (Electricity supply is becoming difficult)। প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হচ্ছে কিন্তু এত রসদ দেশের কাছে মজুদ নেই। তাহলে পরোক্ষভাবে আমরাই কি এই ঘটনার জন্য দায়ী নই?
পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর আসল কারণ কিন্তু মানুষের চাহিদা পূরণের কর্মকাণ্ড। ফ্লাট, বাড়ি ,মাল্টিপ্লেক্স, শপিংমল এইসব করতে গিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে ,পুকুর জলাশয় বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছি আমরা।
পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে দেখা যায়, সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথোরিটি বা সিইএ বলছে, ভারতের ১৬৫টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬ টি কেন্দ্রের অবস্থা মারাত্মক। সেখানে কয়লার মজুত পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। এখানেই শেষ নয়, অন্তত ২৬টিতে এই মজুতের পরিমাণ প্রায় ৫ শতাংশেরও কম।
যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে শিল্প বা কারখানা বেশি সেখানে বিদ্যুতের চাহিদা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে (Demand for electricity has reached peak levels)। এই তালিকায় দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত,অন্ধ্রপ্রদেশ রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ ঘাটতি চরমে। ভারতে যে পরিমাণ কয়লা উৎপাদন হয় তাতে এই প্রচুর ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়।
আরো পড়ুন- Princep Ghat : নৌকা চড়ে,গঙ্গায় প্রেম করতে গেলে প্রিন্সেপ ঘাট কে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না , তাই না?
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারের যা পরিস্থিতি তাতে বিশ্ব বাজারে আমদানি রপ্তানি এখন অনেকটাই সমস্যায় পড়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই, সেক্ষেত্রে টার্গেট ২০৩০। এর মধ্যে সবটা ঠিক করতে না পারলে চির অন্ধকারে ডুবে যাবে ভারতবর্ষ। এটা ২০২২, প্রায় শেষের দিকে আমরা।
আরো পড়ুন- Uterus : হিস্টেরেক্টোমি বাড়ছে কেন? কর্পোরেট অফিসের চাপেই কি জরায়ু বাদ দিচ্ছেন মহিলারা?
হাতে আর মাত্র আট বছরেরও কম সময় আছে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যদি এখন থেকে প্রায় ৫ গুণ বেশি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, ৪ গুণ বেশি বায়ুচালিত শক্তির উৎপাদন এবং গড়ে ৩ গুণ বেশি পরিমাণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারা যায় তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্ধিহান কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।