Breaking Bharat: সাবধান! খুলে গিয়েছে ‘নরকের দ্বার’? কিন্তু কী এই ‘নরকের দ্বার’? নরকের দ্বারের নেপথ্যে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? (The Door To Hell)
নরকের দ্বার ? শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটেছে
ফের খুলে গিয়েছে নরকের দ্বার। তবে কি এবার ধেয়ে আসছে বড় কোনও বিপদ? ক্যালিফোর্নিয়ার পূর্বে অবস্থিত নাপা ভ্যালি-তেই দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য (‘portal to hell’ opens up in Californian lake)। কিন্তু কী এই ‘নরকের দ্বার’? কতটা বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে?
সম্প্রতিই লেক বেরিয়েসা জলাধারের মাঝে এক অদ্ভুত গর্ত তৈরি হয়েছে। যেটি ‘নরকের দ্বার’ বা ‘পোর্টাল টু হেল’ (‘portal to hell’) নামে পরিচিত। কিন্তু প্রকৃতই কি এটি নরকের দ্বার? এর উত্তরে সবাই একবাক্যে ‘না’ বলেন। তবুও কেন ‘নরকের দ্বার’ নাম বলা হয়? সংবাদসূত্রে জানা গেছে, ‘নরকের দ্বার’ শব্দবন্ধটি মূলত রূপকার্থে বলা হয়।
লেক বেরিয়েসার জলধারণ ক্ষমতা মোটামুটি ৫২০ কোটি গ্যালন। যখন এর তুলনায় বেশি জল হয়, তখন জলভাগের ওপরে তৈরি হয় ভয়ানক ঘূর্ণি। বিশেষজ্ঞের মতে, যখন এই বাঁধ ও জলাধার তৈরি করা হয় তখনই অতিরিক্ত জলস্রোত নিয়ন্ত্রণ করতে কতগুলি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন- Parambrata-Ritabhari : এই প্রথম এই জুটি প্রকাশ্যে ডেটে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন
পরে সেই সুড়ঙ্গই এই গর্তে পরিণত হয়। যা প্রকারান্তরে নরকের দ্বার হিসেবে ‘খ্যাত’। ৭২ ফিট চওড়া ও ২৪৫ ফিট লম্বা ওই সুড়ঙ্গটি মূলত ড্রেন হোল হিসাবেই কাজ করে। প্রতি সেকেন্ডে ওই গর্ত আনুমানিক ৪৮ হাজার কিউবিক ফিট জলকে ‘গিলে’ নিতে পারে। (Bizarre 72-feet-wide hell-mouth opens up in California’s Napa Valley)
আরো পড়ুন- Black spots under the eyes: চোখের তলায় কালো দাগ, তাহলে কি চোখে চোখে কথা হবে না?
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বহু বছর ধরেই অদ্ভুত এই প্রাকৃতিক নিদর্শন তাঁদের গোচরে এসেছে। ১৯৫০ সাল প্রথম এই রহস্যময় গর্ত প্রথম নজরে আসে। স্থানীয়রা সেই সময় থেকেই এটিকে ‘পোর্টাল টু হেল’ বা নরকের দ্বার নাম দেন (‘Portal to Hell’ Opens Up Again in)। তবে এই এলাকায় আসা পর্যটকদের মধ্যে এটি ‘গ্লোরি হোল’ নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন- Srabanti Chatterjee : তৃণমূলের কর্মীসভায় মমতার প্রশংসায় অভিনেত্রী,তবে কি ফুল-বদল শ্রাবন্তীর?
ক্যালিফোর্নিয়ার এই নরকের দ্বারের মতো কাজ়াকিস্তানেও একই নামের একটি গর্ত রয়েছে। তবে সংবাদসূত্রে জানা গেছে, সেখান থেকে আগুন বের হয়। ১৯৭০ সালে সোভিয়েতের গ্যাস ড্রিলিং অভিযানের সময় ওই গর্ত তৈরি হয়েছিল এবং সেখান থেকে আগুন বের হতে থাকে। কারাকুম মরুভূমির কাছে ওই গর্তটি রয়েছে।