Breaking Bharat : কবি পরিচিতি (Bidyut Bhowmick) : বাংলা কাব্য সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক ৷ যিনি একমাত্র কবিতা লিখে এই মূহুর্তে পৃথিবীর প্রায় একশ উনিশটা দেশে সম্মানের সাথে তাঁর নাম এবং সৃষ্টিকে পৌঁছে দিয়েছেন কঠিন ও কঠোর শ্রোম ও নিষ্ঠার সাথে ৷ জন্ম ১৬ ই জুন ১৯৬৪ , ভারতের পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলার শহর শ্রীরামপুরে ৷ Breaking ভারত”– এর পক্ষ থেকে আমাদের প্রিয় কবি বিদ্যুৎ ভৌমিককে মহাশয়কে আন্তরিক শ্রদ্ধা,ও সতত ফুলেল ভালোবাসা রইল ৷
ক ) হিমগর্ভের পদ্য ও স্মৃতি নষ্ট মন একজন্ম প্রতীক্ষিত জাগরণ , এরপর অহর্নিশ তিথি নিয়ম অনিয়মে বিদ্যমানতায় কবিতায় মাতামাতি ৷ অতিরিক্ত দৃষ্টির ভেতর রূপের তুলনা দিতে স্মৃতি নষ্ট করে অলক্ষের প্রত্ন ভিক্ষুক ! এই জন্ম শব যাত্রায় কাঁধ দিতে এসে বিস্মৃতির বিধান এড়িয়ে গেছে গোলক গর্ভে , আধোঘুমন্ত অথচ ঘুমের আবেশ এক বুক নিঃশ্বাস স্তব্ধ নীবরতায় নিজের শরীরে কবিতায় কথা বলে ৷
সেই নশ্বর চেহারায় মহাপৃথিবীর অতল অন্ধকার অব্যক্ত থেকে থেকে দীর্ঘ সময়ের ঘৃণাকে কাছে ডাকে অশ্রুহীন চোখে ৷আমি যেন সঙ্গী ছায়ার কাছে প্রতিশোধ ভিক্ষা চেয়েছি ,রাতের জটিল একাকীত্বে রুগ্ন ভ্রুপল্লবে প্রতিহিংসার শব্দ শুনতে পেয়েছি ! তবু হয়তো সমস্ত সময়ের তীব্র অন্ধকার দ্বিধাহীন ভাবে চেয়ে আছে ভিখারির মত !
হিমগর্ভে আকণ্ঠ ডুবে আছে যৌবন ওম – অতল মনের নির্দেশ এলে নামহীন কুটিল পোকা-মাকড়েরা রক্তের গভীরে মিশে একে একে জেগে ওঠে অভিন্ন চেহারায় ৷ নিশীত অমা-রাতে নির্মম শিকার ধরে শীর্ণ গিরগিটি !শেষ প্রহরে অস্পষ্ট স্টেশন হৃদয় শূন্য হয়েছিল , বয়স কাঁচা রোদে ঈষৎ চশমায় লেগে মৃত চোখ দুটো অশ্রু মোচনের দিনগুলো ফিরে দেখে ৷ লাইট পোস্টে শীতের শিশিরের ঠান্ডা স্পর্শ লাগে ; শেষ রাস্তায় প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে থাকে এক ভিখারি কঙ্কাল ; ওর পাশে অদৃশ্য কিছু নিঃশব্দ নিঃশ্বাস ! কার হতে পারে , তিনি ঈশ্বর না প্রেত ?
আরো পড়ুন- Love the mountains : বেড়াতে যেতে চাইলে সমুদ্র নয়,পাহাড়কে পছন্দের শীর্ষে রাখতে পারেন,কেন ?
খ ) ছোবল ও যৌনভুক চাঁদ – এই অঘ্রানেও বেঁচে থাকবে অগণ্য সরীসৃপ ! শীত ও প্রেত চিরহরিৎ বৃক্ষের নীচে রাত্রির শিশিরের মত প্রতাঘ্ন বিষ গভীরতর দাঁতের দংশনে- পীড়ণে সর্বঘ্ন জ্বালায় এবং নির্জন ! এই অঘ্রাণে জানলা ভাঙে ওষধি রাতের যৌনভুক চাঁদ,চোখের তলানি ছেঁচে অবিরাম চুম্বনে অনন্ত অতীব সঙ্গম,এই মেয়েলী বয়স গর্ভের অনন্ত অতলান্ত কালহরণে তুষ্ট ৷ অন্য এক শীতল প্রহর , শেষে ও রাতের পরম আদরে মৃত নখের বিনম্ন আঁচোড় ,এটাও অতিরিক্ত তীব্র হলাহলে আদিম বিলাসিতা যেন ৷
আরো পড়ুন- Statue of Liberty: বিশ্বের বিস্ময় স্ট্যাচু অব লিবার্টির রহস্য উন্মোচন করব আজ
ব্যক্তিগত আলোতে রাত ডুবে গেছে,কঠিনতম শোকে ঘুমিয়ে অতি পুরাতন দেহের অসুখ ভেতরের নগ্ন আবেগ নিঃশব্দে ও ভয়ে চোখে রাখে শীতল চিবুক,এখন প্রথাগত অঘ্রায়ণ,ফুলের পরাগ মেখে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আমার বিপরীতে,কোথাকার চেনা রাতে মৃত্যু এসে লুকিয়ে ছিল উষ্ণ চাদরে !এভাবে গরল জমে শরীরী স্মৃতিতে ; স্বপ্নহীন অথচ নির্ঘুম আঁধার ডুবে মরে স্বপ্ন ও ধ্যানে !
আরো পড়ুন- ছেলে বা মেয়েদের গালে টোল পড়লে কি সেক্সি লাগে? এটা কিন্তু জিনগত ত্রুটি, জানেন কি?
সে কী নারী ? মূর্তিমতী অভাগী ঈশ্বরী ! সে কী ছায়া , অথবা অলীক বিস্মিত কল্পনা , যাবতীয় অনিয়ম ভীষণ সর্বনাশী ? নিঃসঙ্গ নীরব,ভয় হয় এই বিষ যদি আমাকে অহর্নিশ দংশায় ! বুকময় আগুন সাজিয়ে রাখি রাত ভোর ,মধ্যরাতে দরজায় আঘাত ক্রমাগত অনন্ত ছোবল !! প্রাণেতে আঁচোড় ! (লেখনীকাল ১৪১৭ ও ১৮ ,স্থান > বাসগৃহ ছায়ানীড়-শ্রীরামপুর , হুগলী)