Breaking Bharat: মহাশূন্যে ঠিক কত গ্রহ আবিষ্কৃত সেই সম্পর্ক সঠিক ধারণা আছে কি? এই মহাকাশ আর মহাশূন্য নিয়ে নানা মানুষের নানা ধারণা। বিজ্ঞান ক্রমশ এগিয়ে চলেছে একাধিক মহাজাগতিক আবিষ্কারের দিকে। এই বিশ্বের কত কিছু সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। প্রতিমুহূর্তে তা জানার চেষ্টা করছি আমরা। এই বিশ্বের বিষয়ে কতটা জানি আমরা এই প্রশ্ন একসঙ্গে অনেক তর্কের জন্ম দেবে।
এই মহাকাশের শেষ কোথায় আছে? আর এখানে কোন কোন তারা বা নক্ষত্র আছে সেটা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা খুব একটা নিশ্চিত হতে পারেন না। আসলে কোটি কোটি নক্ষত্র রয়েছে মহাশূন্যের আলো-আঁধারি জগতে। হিসেব করে দেখলে ছায়াপথের সংখ্যা তার চেয়েও বেশি বলে মত বিজ্ঞানীদের। আজ আপনাদের এই তারা আর নক্ষত্রদের কথাই জানাবো আপনাকে।
মহাশূন্যে ঠিক কত গ্রহ আবিষ্কৃত?
পৃথিবীতে থেকে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই কি আজ মানুষ ইন্টার ন্যাশানাল স্পেস সেন্টার তৈরি করে সেখান থেকে পর্যালোচনা আর অনুসন্ধান করছে? দেখুন আমাদের সৌরজগতে আটটি গ্রহের সন্ধান মিললেও, বিজ্ঞানীরা বলছেন তার বাইরেও অজস্র গ্রহ রয়েছে। এরা আবার অন্য নক্ষত্রদের প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৫১০টি গ্রহের সন্ধান মিলেছে।
যার মধ্যে ৮টি আমাদের সৌরমণ্ডলের অন্তর্গত এবং বাকি সবক’টিও আমাদেরই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের অংশ। তবে এটাই শেষ নয় এর বাইরেও আরও অজস্র গ্রহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্কের আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচরাল হিস্ট্রি-র জ্যোতির্বিজ্ঞানী মার্ক পপিনচক বলছেন যে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজারের কাছাকাছি গ্রহের সন্ধান মিলেছে।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
এবার হিসেব বলছে নক্ষত্র পিছু যদি একটি গ্রহও ধরা হয়, সেক্ষেত্রেও আমাদের ছায়াপথেই প্রায় ১০ হাজার কোটি নক্ষত্র রয়েছে। তাহলে এবার কল্পনা করতেও অসম্ভব মনে হয় যে গ্রহের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে ট্রানজিট পদ্ধতি অনুসরণ করা থেকে ব়্যাডিয়াল ভেলোসিটি পদ্ধতিও অনুসরণ করেন বিজ্ঞানীরা। তারা চেষ্টা করছেন যাতে এই সম্পর্কিত গণনা দ্রুত করা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুন – শাহরুখ না গৌরী, কার আয় বেশি? কর্তাকে রোজগারে টেক্কা দেন বাদশা পত্নী?
তবে সেটা নির্ভর করছে আবিষ্কারের উপরে। ডিমিডিয়াম এক্সোপ্ল্যানেটটির সন্ধান মেলে, যা কিন্তু আমাদের সৌরজগতের বাইরে রয়েছে। এবার সূর্যেরই মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে সেটি। এই আবিষ্কারের জন্য ২০১৯ সালে ওই গ্রহের দুই আবিষ্কারক, মিচেল মেয়র এবং ডিডিয়ের কোয়েলজ নোবেল পুরস্কারও জেতেন।
আরো পড়ুন – গাড়ির নাম ‘দ্য বিস্ট’ – এটাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরাপদ গাড়ি
এক্ষেত্রে একটু বলা দরকার যে ট্রানজিট এবং ব়্যাডিয়াল ভেলোসিটি পদ্ধতি, দু’টির ক্ষেত্রেই গ্রহের পরিবর্তে কোনও একটি নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর দেখা হয় যে তার আশেপাশে কোনও গ্রহের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে অনেক গ্রহ রয়েছে যেগুলোর সম্পর্কে আমরা জানিনা। কিন্তু তার জন্য শক্তিশালী টেলিস্কোপ প্রয়োজন যা এখনও আবিষ্কার হয়নি।