Breaking Bharat: বিয়ে করার সঠিক কোনও বয়স হয় কি? বেশি বয়সে পুরুষদের বিবাহে সমস্যা? কিন্তু মনে রাখতে হবে বিয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক সুস্থতার বিষয়টিও তাই বয়স নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতেই হয়।
বিয়ে বিষয়টা নিয়ে নানা মানুষের নানা মত। তবু বিয়ের পক্ষেই বেশিরভাগ মানুষ মত দেবেন।। তবে বিয়ের সঠিক সময় কোনটা সেটা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে মতভেদ আছে। নারী পুরুষ দুইয়ের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বয়স সীমা আছে এই বিয়ের ক্ষেত্রে।
পুরুষের ক্ষেত্রে সমাজের কিছু চিরাচরিত ধারণা:
মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন ধরা হয় স্কুল বা কলেজ শেষ করার পরেই বিয়ের ভাবনা চিন্তা করার কথা। তবে গিয়ে নাকি তা ২৫ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। আগে অবশ্য নাবালিকা বিয়ের প্রথা ছিল। এখনো যে একেবারে নেই এমনটা নয় তবে সেটা বেআইনি। পুরুষের ক্ষেত্রে সমাজের কিছু চিরাচরিত ধারণা আছে।
এই যেমন ধরুন সোনার আংটি কখনো বাঁকা হয় না, এই জাতীয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে বিয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক সুস্থতার বিষয়টিও তাই বয়স নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতেই হয়।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে চিরাচরিত এক ধারণা বরের বয়স বউয়ের থেকে বেশি হতে হবে। সাম্প্রতিককালে এই ঘটনার বিপরীত বাস্তব ছবি দেখা গেছে। এবং সেটা সেলিব্রেটি মহল থেকে আসায় অনেক বেশি করে চোখে পড়েছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু মনে রাখতে হবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক মানে সেখানে তো যৌনতারও একটা জায়গা থাকে ।
আর হরমোন ক্ষরণের জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট বয়স। এছাড়াও দুটো মানুষের একে অন্যের সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর জন্য যে মানসিক পরিণতির প্রয়োজন তার জন্য একটা ন্যূনতম বয়স যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু অনেকের শারীরিক কামনা অনেকটা বেশি থাকে।
বয়স যদি বেড়ে যায় বিয়ের সিদ্ধান্তকে নেয়া উচিত?
বিশেষ করে পুরুষের যৌন চাহিদা প্রায় ৫৮ বছর বয়সে গিয়েও একজন যুবকের মতোই থাকে। যদিও নারী দেহ মেনোপজের পর আর সেভাবে রেসপন্স করতে পারে না। আগেকার দিনে বলা হতো মেয়েরা কুড়িতেই নাকি বুড়ি হয়ে যায় তাই তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল।
এখন সময় বদলে গেছে। কিন্তু এটাও সত্যি কথা অনেকেই আজকাল সেকেন্ড ইনিংসে বিশ্বাস করেন কারণ প্রথম বিয়ে সফলতা পায় না। সেক্ষেত্রে কি করণীয়? বয়স যদি বেড়ে যায় বিয়ের সিদ্ধান্তকে নেয়া উচিত? এ প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া প্রায় অসম্ভব কারণ সবটাই নির্ভর করছে পরিবেশ পরিস্থিতির উপর।
আরো পড়ুন – বিয়ের আগে টেনশন! বিয়ে করার সময় ভেবে করছেন তো? বিয়ে করার সুবিধা ও অসুবিধা কি?
যে পুরুষ পঞ্চাশ বছর বয়সে নতুন সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন সেখানে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটু স্পষ্ট থাকা দরকার। কার কাছে বিয়ে জীবন এই শব্দগুলোর অর্থ কি শারীরিক চাহিদা? নাকি মানসিক সঙ্গ? অনেকে আবার ঝুট ঝামেলায় না গিয়ে বয়স বাড়লে লিভ ইন দম্পতি বিশ্বাস করেন।
এই ধরনের পুরুষের মানসিকতা মোটেই ভালো নয় কারণ তারা যে নারীকে নিয়ে এক ছাদের তলায় থাকবেন ভাবেন স্বীকৃতি না দিয়ে, সেখানে উদ্দেশ্যই থাকে শরীর ভোগ করা, অন্তর বোঝার কোন প্রয়াস থাকে কী? যদি থাকতো তাহলে সম্মান বলে যে একটা শব্দ পৃথিবীতে বেঁচে আছে সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। আবার অনেকে চায় নিখাদ বন্ধুত্ব সেটার জন্য কোন বয়সের সীমা লাগে না।
আরো পড়ুন – পাপের শাস্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা! পাপ করলে রেহাই নেই কিছুতেই! শাস্তি তোলা আছে অন্য কোথাও?
আর বিশ্বাস করুন এই বন্ধুত্বের জন্য শরীরের প্রয়োজন হয় না। তাই নারী বা পুরুষের এই ভাবনা চিন্তা থেকেই সেই মানুষটার সম্পর্কে একটা আইডিয়া আপনি পেয়ে যাবেন। অনেকেই এই ভেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন যাতে সাময়িক আনন্দ লাভের পর পরবর্তীকালে দেখাশোনার কোন চিন্তা না করতে হয় অর্থাৎ যদি কম বয়সী স্ত্রী থাকে তাহলে ভবিষ্যতে সেবা সুশ্রূষার ব্যাপারটা নিশ্চিন্ত।
কিন্তু এখানেও তো টুইস্ট আছে কারণ কার সুতো কখন ছিড়ে যাবে? কে কখন বিদায় নেবে? এটা কি ঈশ্বর ছাড়া কেউ বলতে পারেন?
আরো পড়ুন – Married: বিয়ে মানে কি? ঠিক কী কারনে বিয়ে করে নারী পুরুষ?
আমরা বলব জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস একেবারে বাম্পস্থকালে গিয়ে শুরু করার আগে একটু ভাবুন তাতে কোন সমস্যা হতে পারে কিনা। আমরা সমাজবদ্ধ জীব নিজেদের ভালো থাকাটা যেমন দরকার পাশাপাশি পরিস্থিতির জন্য তৈরি হওয়া অভ্যাসগুলো কেউ দায়িত্ব নিয়ে ভালো রাখা দরকার।
যদি মনে হয় সবটা ঠিক রাখা সম্ভব অন্ততপক্ষে চেষ্টা করতে পারেনি তাহলে অবশ্যই ভাবুন কিন্তু মাথায় রাখবেন নারী পুরুষের সম্পর্ক যে বয়সই হোক না কেন সেখানে যদি শরীর প্রাধান্য পায়, তাহলে সেই সম্পর্ক কখনোই পূর্ণতা পেতে পারেনা।
আরো পড়ুন – বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর জীবনে ঝগড়া কি আবশ্যিক? বিবাহিত সম্পর্কে ঝগড়া ঠিক কতটা প্রয়োজনীয়?
তা সে ২৬ বছরের যুবক যুবতীর বিয়ে হোক বা ৫৬ বছরের মহিলা পুরুষের। যে মানুষের সঙ্গে ঘর বাধবেন ভাবছেন তার মানসিকতাকে আগে চিনুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন। বয়স কোন কাজের জন্যই কোন বড় ফ্যাক্টর নয়।