Breaking Bharat: কোনো মন্দির নয়! উচু ঢিপির উপরই প্রতিষ্ঠিত দেবদেবীদের ছবি।গ্রামের এককোণে খোলা আকাশের নীচে রয়েছে দেবীর বেদি। কোনো রাজা প্রজার নয়,তৎকালীন সময়ে গ্রামের মোড়ল এই পূজোর প্রচলণ ঘটায়।সেই কথা প্রায় দেড় বছর আগের। আজও সেই বেদীতে দক্ষিনা কালীর মূর্তি তুলে পূজো করে আসছেন গ্রামের দশটি ঘর। পূজোতে জাকজমক পা থাকলেও রয়েছে ধর্মীয় রীতি।দ্বিপান্বিতা অমবস্যায় শক্তিদায়িনীর আরাধনায় মেতে উঠেন গ্রামের প্রমীলারা। (Worship of century old Dakshina Kali)
মালদহের চাঁচল থানার কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলেন পুকুর-হাড়িপাড়ার এই পূজোর প্রস্তুতি তেমন কিছু নেই।নেই আলোক সজ্জা,প্যান্ডেল,নেই কোনো থিম। শতাব্দি প্রাচীন পূজোর ভার নিয়েছেন গ্রামের মহিলারাই। সেই দশটি পরিবারের গ্রামে কেউ ই-রিক্সা চালায়,কেউবা পরিযায়ী শ্রমিক ও কেউ পরিচারিকার কাজ করে।সারাবছর একটু একটু করে জমানো অর্থ দিয়ে পূজোর জোগান করেন তারা।এইভাবেই দশকের পর দশক ধরে মা দক্ষিনা কালীর আরাধনায় সামিল এই দশটি পরিবারের গ্রাম।
তবে করোনার পরে তাদের রূজি রোজগারে টান পড়ায় বাজেট এবার যথসামান্য।স্বল্প আয়োজনে পূজো সারছেন তারা।পূজোয় তারা ব্রাত্য থাকতে নারাজ।বেদীর চারপাশ ফাকা,নেই ছাদ।সেখানেই তিরপাল খাটিয়ে দক্ষিনা মাকে বিসর্জন না হওয়ার পযর্ন্ত রাখেন।কালী মা থাকাকালীন প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেন না আসে সেই প্রার্থনা করে গ্রামবাসীরা।
তবে উত্তরবঙ্গে এবার কালিপুজোয় সেই রকম ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।তাই স্বস্তিতে রয়েছে উদ্যোক্তারা। এক সময় এখানে পশুবলির প্রচলন থাকলেও এখন তা বন্ধ।কারোও মনস্কামনা পূরণ হলেই সেই বলি প্রথা আনতে পারে।