Breaking Bharat: ডিভোর্সের (Divorce) দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সম্পর্ক? শেষ সুযোগ সম্পর্ক বাঁচানোর? কী করবেন বলছি আমরা শুধু সাতপাকে ঘোরা নয় সাত জন্মের বন্ধন দিয়ে তৈরি হয় সম্পর্ক। দুটো মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা নিয়ে যান দুই পরিবার। দুটো সংস্কৃতি আর আলাদা আলাদা ভাবে বেড়ে ওঠা পরিস্থিতি গুলো বিয়ের মাধ্যমে একে অন্যকে চিনতে জানতে শেখে। এভাবেই সমৃদ্ধ হয় সমাজ এটাই নিয়ম।
তবে আজকাল বিয়ে ভাঙছে বড্ড বেশি। হয়তো জেনে বা অজান্তেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েই চলেছে (number of divorces is increasing)। আদালতে কেসের পর কেস ফাইল হচ্ছে আর সমাজে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। কোনও ভাবেই কি আটকানো যায়?
দুটো মানুষ একে অন্যকে নিয়ে জীবন গড়তে চায়, এক সঙ্গে একপথে হাঁটতে চায়। সম্পর্ক গড়ার সময় আমরা বেশি কথা ভাবি না। একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করি কিংবা একে অপরকে ভালো লাগলে সম্পর্ক শুরু করি।
সম্পর্ক ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার খুব প্রয়োজন পড়ে ? (Divorce):
কিন্তু সেই সম্পর্ক কীভাবে ভালো রাখতে হয় বা টিকিয়ে রাখা যায়, তা ভাবার সময় পাই না। ব্যাস এতেই বাড়তে থাকে সমস্যা। একটু ভাবুন না যদি সমস্যার সমাধান করা যায়। বিষয়টা কঠিন নয়। আসলে দুটো মানুষ ছুটতে চায় পৃথিবীর নানা প্রান্তে। কিন্তু সব সময় এক সুরে ছন্দে ছলা সম্ভব হয় না।
তাই মাঝে মাঝেই সুর কাটে। তাই বলে সম্পর্ক ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার খুব প্রয়োজন পড়ে (Break off relationship) ? আসলে আলোচনা করলে দেখা যাবে যে অনেক সম্পর্কের ভাঙনের মূল কারণ আমাদের আশেপাশেই ছড়িয়ে থাকে। শুধু মাথা উঁচু করে দেখার দরকার।
অসুখী দাম্পত্যকে বয়ে না বেড়িয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ?
অসুখী দাম্পত্যকে বয়ে না বেড়িয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের পথেই হাঁটেন সবাই। মন খারাপ তো হয়ই। কিন্তু কিছু করার নেই। তাই সময় থাকতেই নিজেদের শুধরে নিন। একটু কথা বলুন একে অন্যের সঙ্গে। আসলে এই অভ্যাস টা নিজের মধ্যে এবং সঙ্গীর মধ্যেও গড়ে তোলা দরকার।
অনেক কথা না বলতে পারার কারণে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে পাহাড় হয়ে যায়, তখন আর সেই বরফ গলান সম্ভব হয় না। একে অন্যের ভালো দিক নিয়ে আলোচনা করুন, সমালোচনা নয়। দুজনকেই চেষ্টা করতে হবে যাকে সম্পর্ক সরল ও মজবুত থাকে। কোনওভাবেই আপনি আপনার পার্টনারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন না।
এটা বুঝুন। যদি একে অপরের মধ্য়ে কোনও সমস্য়া দানা বাঁধে, তাহলে একসঙ্গে বসে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। বিয়ের প্রথম দিকে সম্পর্ক একরকম থাকে। তখন সঙ্গীর অনেক খারাপ দিকই আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু সময় এগনোর সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়গুলোও প্রকট হতে থাকে।
আরো পড়ুন- online Shopping : কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনলাইনেই শপিং? কিন্তু রিভিউ ছাড়া জিনিস কিনলে ঘোর বিপদ!
কোনও মানুষই পছন্দ করেন না, তাঁকে অন্য় কেউ নিয়ন্ত্রণ করুন। তাই নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন কিন্তু একে অন্যের বন্ধু হয়ে উঠুন সবার আগে। আরেকটা কথা বলা দরকার। সন্দেহ বিষয়টাকে কখনই নিজেদের ,মধ্যে আসতে দেবেন না। এতে সম্পর্ক খারাপ হবে।
আরো পড়ুন- Everyone rich man : সবার হাতে প্রচুর টাকা, কেউ আর গরিব নয়! হঠাৎ করে সবাই বড়লোক হলে কী হবে?
আমাদের জীবন একটাই, কখন কীভাবে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় কেউ জানে না। তবে যেচে বিপদ বাড়াবেন না। বিয়ে ভাঙার আগেই যদি একটু সতর্ক থাকা যায় (Be careful before breaking the marriage), তাহলে আর ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায় না বিষয়টা। সম্পর্ক খুব সহজ একটা জিনিস। বিবাহিত জীবনের একাধিক চ্যাপ্টার একেক রকম অভিজ্ঞতা দেবে আপনাকে।
আরো পড়ুন- My childhood : ফিরিয়ে দাও আমার সেই ছোটবেলা! ফেলে আসা দিন আর মুহূর্তরা কখনো কি ফের দেবে ধরা?
সেই সব থেকে শিখতে হবে তার প্রয়োজন মতো তার ব্যবহার। দূরে ছলে যাওয়া সোজা, কিন্তু কাছে টেনে দেখুন না দূরের মানুষটাকে। তাকে আঁকড়ে ধরেই তো সারা জীবন কাটানর স্বপ্ন দেখেছিলেন একটা সময়। সেই সব কিছু এভাবে হারিয়ে ফেলবেন? সমস্যা যাই হোক এমন কিছু নয় যার সমাধান হয় না।
ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন, সম্পর্ককে সময় দিন। ধৈর্য হারাবেন না। কোনোভাবেই বর্তমান সম্পর্ককে প্রাক্তন হতে দেবেন না। পরবর্তী প্রজন্মকে একা থাকতে নয় বরং সম্পরকে বাঁচতে সেখান।