Breaking Bharat : স্ট্রিট ফুড (Street food) ছাড়া কলকাতাকে ভাবা যায়? শুধু কলকাতা কেন, রাজ্যের সর্বত্রই যেন স্ট্রিট ফুডের রমরমা। আসলেই ভোজনরসিক বাঙালি বলে কথা। কিন্তু এবার এই স্ট্রিট ফুডের ক্ষেত্রে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ফুচকা থেকে ঝালমুড়ি বেচতেও লাগবে ফুড লাইসেন্স। জনস্বার্থেই এই পদক্ষেপ করল রাজ্য। তবে এই সিদ্ধান্তে কপালে চিন্তার ভাঁজ সাধারণ বিক্রেতাদের।
গোটা রাজ্য জুড়ে স্ট্রিট ফুডের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে (popularity of street food)। সেই কারণে রমরমিয়ে বাড়ছে স্ট্রিট ফুডের ব্যবসাও। এমনকী, গত বছর লকডাউনের সময় থেকেই ছোটখাটো ব্যবসার ক্ষেত্রেও আমূল বদল এসেছে। রুটিরুজির তাগিদে অনেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেমন ফেরি করছেন, পাশাপাশি কম পুঁজিতে স্ট্রিট ফুডের ব্যবসার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।
এবার সেই ব্যবসার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কিছু বাধ্যতামূলক নিয়ম চালু করল। বিশেষত এই স্ট্রিটফুড-এর ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে থাকতেই হবে স্বাস্থ্য দফতরের রেজিস্ট্রেশন নম্বর। অর্থাৎ ফুড লাইসেন্স (Food license) ছাড়া এবার থেকে ব্যবসা করতে পারবেন না বিক্রেতারা।
আরো পড়ুন- Amoled Display -এমোলেড ডিসপ্লে কী ? তা এমোলেড ডিসপ্লে সম্পর্কে জানা আছে তো?
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁরাই এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন। এই তালিকায় ফুচকা ঝালমুড়ির পাশাপাশি মাছ অথবা সবজি বিক্রেতারাও রয়েছেন।
সুতরাং, জনস্বার্থে নেওয়া এই সিদ্ধান্তটি যে কড়াকড়িভাবে লাগু হতে চলেছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ২০১১ সালের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আওতায় গোটা দেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন বলবৎ হয়েছিল।
আরো পড়ুন- A person ignores: সময়ের দোষ না নিজেদের অক্ষমতা? কেন বাড়ে দূরত্ব আর এড়িয়ে যাওয়া?
প্রত্যেক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কেন্দ্রের এই নির্দেশ অনুসারে আইন বলবৎ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, যেকোনও খাদ্য দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। অর্থাৎ যেকোনও খাবার বিক্রির জন্যই রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই বাধ্যতামূলক।
তবে এখন বলে নয়, এর আগে রাজ্যে ফুড রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে বিশেষ পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য। ২০১৮ সালে সেই সংক্রান্ত নির্দেশও জারি হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু করোনার ভয়াবহতার জেরে এই বিষয়টির দিকে সেভাবে নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
আরো পড়ুন- Tongue infection: গরম চা-কফি খেয়ে জিভ পুড়ে গেলে কী হবে? জেনে নিন কি করতে হবে ?
তবে বর্তমানে করোনার বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতেই ফের স্ট্রিট ফুডের রমরমা। আর সেই কারণেই আশঙ্কা করছে রাজ্য। বিশেষত সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই চিন্তায় পড়েছে সরকার। তাই এবার এই খাদ্য সুরক্ষা আইন লাগু হতে চলেছে কড়াভাবে।
আরো পড়ুন- Why feel shamed? ইস কী লজ্জা! আহা শুনতে কতই না সোহাগ জাগে, কিন্তু লজ্জা কেন লাগে?
এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, শুধু রেজিস্ট্রেশন করালেই হবে না। বছর বছর পুনর্নবীকরণও করতে হবে। সেক্ষেত্রে ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে সরকারের তরফে।