Breaking Bharat: বাড়ির খাবার খেয়ে শরীর সুস্থ থাকবে বলে মনে করছেন? কোন খাবার সত্যিই ভালো আর কোনটা খারাপ! জেনে নিন
খাবার খাওয়া মানে সেটা স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে কোন খাবারটা খেলে আপনি ভালো থাকবেন আর কোনটা খেলে খারাপ। অনেকেই মনে করেন ‘বাড়ির খাবার‘ খেলে আপনি বুঝি ভালো থাকবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোন তেলে রান্না করে খাচ্ছেন সেটা মাথায় রাখা দরকার।
এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন আমরা ব্রেকিং ভারতে আগেই আপনার কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আজ বরং কোন খাবার খাওয়া উচিত কোনটা অনুচিত সেই নিয়ে কথা বলা যাক।
যে কোন খাবার খাবার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হচ্ছে সেটা হজম হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টা নিশ্চিত হওয়া। সব থেকে বেশি করে যে সমস্যাটা হয় সেটা হচ্ছে পেটের গন্ডগোল। বাড়ির খাবার খেলে পেটের গন্ডগোল কম হয়। সাধারণত বাইরের খাবারের যে ধরনের মসলা দেয়া হয় বা হাইজিন এর ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করা হয় সেটা বাড়ির খাবারে হয় না।
নতুন করে বলার কিছু নেই যে বাড়ির খাবার খাওয়া সব সময় শরীরের জন্য ভালো। আসলে বাইরের খাবারের স্বাদ আকর্ষণীয় গড়ে তুলতে নানা রকমের মশলা ব্যবহার করা হয় যেটা একজন মানুষের জন্য সঠিক নাও হতে পারে।
কিন্তু বাইরের খাবার মানে সেখানে তারা ব্যবসা করতে এসেছেন আর ব্যবসায় সাফল্য লাভ করতে গেলে কোথাও গিয়ে কোয়ালিটির সঙ্গে কম্প্রোমাইজ অনেক ব্যবসায়ী করে থাকেন। কিন্তু বাড়ির ক্ষেত্রে অনেক বেশি করে মাথায় থাকে প্রিয়জনের শরীরের কথা। জাতি বাড়ির লোকেদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে সেদিকেই গৃহকর্ত্রীরা লক্ষ্য রাখেন।
বাড়ির খাবারে বাইরের খাবারের তুলনায় ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তো বাইরের খাবার খাওয়াই উচিত নয়। মনে রাখতে হবে গুণগত বিচারে বাড়ির খাবারই পুষ্টিকর। এবার বিশেষ করে বলতে হয় বাচ্চাদের কথা। তাদের জন্য বাইরের খাবার কখনোই কাঙ্খিত নয়।
বাচ্চাদের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। তাই পারো তো পক্ষে যাতে বাইরের খাবার তাদেরকে না খেতে হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাড়ির খাবার হালকা হয় ফলে শরীরে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
যাদের শারীরিক সমস্যা আছে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস, প্রেসার, অ্যালার্জি এই জাতীয় সমস্যায় যারা নিত্যদিন ভুগছেন তাদের জন্য বাড়ির খাবার তাদের প্রয়োজন মতো এডজাস্ট করাটা অনেক সহজ। কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখুন যদি কী ভাবে রান্না করবেন বা কতটা পরিমাণ স্বাস্থ্যকর রান্না করবেন এই খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর নাও দেন, তাহলেও এক ঝলকে বলে দেওয়া যায় বাইরের খাবারের তুলনায় বাড়ির খাবার কতটা নিরাপদ।
আরো পড়ুন – সন্দেহবাতিক হওয়া কি দোষের? এটা কি একটা রোগ কী করে পরিত্রাণ পাওয়া যায় জানা আছে?
রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে হয়তো দেখেছেন ফুটপাতের ধারে তৈরি হওয়া দোকানগুলোতে সেভাবে রান্না করা খাবার বা যে খাবার রান্না হবে সেগুলো ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না। রাস্তার ধুলোবালি, সাধারণ মানুষের হাঁচি কাশি, এমনকি কীটপতঙ্গ সেই খাবারের উপর পড়ে। খুব স্বাভাবিকভাবে দ্রুত এর থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন চিকিৎসকেরা।
আরো পড়ুন – স্বজন হারানোর দুঃখ সহজে ভোলা যায় কি? এই কষ্ট ভোলার নয় কিন্তু তবু বাঁচতে হয়!
পাশাপাশি এক পেলে যদি বারবার রান্না করা হয় তাহলে সেটা হয়তো ব্যবসার দিক থেকে সাশ্রয়ী হয় কিন্তু শরীরের বিশেষ করে পেটের সমস্যার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনিতেই বাইরের খাবারে যে ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয় সেগুলো সস্তার মসলা আর খুব স্বাভাবিকভাবেই তাতে গুণগত মান কতটা থাকে সেটা প্রশ্নচিহ্নের মধ্যেই পড়ে আছে।
আরো পড়ুন – মেয়েদের বয়স জিজ্ঞাসা করেন কি? একবারও ভেবে দেখেছেন এটা করলে মেয়েরা কেন রেগে যায়?
তাই বয়স্ক লোকেদের বাচ্চাদের তো বটেই একজন তরুণ বয়সের মানুষেরও কোনোভাবেই বাইরের খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। মাঝেমধ্যে কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে অবশ্যই সেটা করতে পারেন কিন্তু প্রতিদিনের খাবারের একটা রুটিন তৈরি করে নিন তবে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে । আর শরীর ভালো থাকলে যে চারপাশটাও ভালো থাকে সেটা নিশ্চয়ই নতুন করে বলার নেই।