Breaking Bharat: সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন? সিনেমায় অভিনয় করার স্বপ্ন আছে? ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম বলতে কি বোঝায় (Nepotism in Film Industry)? বাইরে থেকে যা চকচক করে, তার নেপথ্য কাহিনী জানেন কি?
বিনোদন জগৎটা আপনার আমার সবারই প্রিয় । কিন্তু পর্দার আড়ালে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা জানলে অপ্রিয় অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে । সবার সামনে এত ভালো লাগাটা একটু হলেও খারাপ লাগায় বদলে যেতে পারে। বিগত কিছু বছরে টলিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood or Bollywood industry) সঙ্গে নেপোটিজম কথাটা জড়িয়ে গেছে।
এই একটা শব্দ বদলে দিয়েছে অনেক তরুণ তরুণীর স্বপ্ন আর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতি ভালোবাসাকে (Love for film industry)। এই একটা শব্দের জেরে আজ কেউ শিখরে কাউকে আবার সিনেমায় অভিনয় করার স্বপ্ন ছেড়ে চিরাচরিত বাস্তবে ফিরতে হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে বলবো সেই কথা।
আজ থেকে কয়েক দশক পিছিয়ে গেলে সাদাকালো সিনেমার যুগে এই শব্দটার অস্তিত্ব খুব একটা দেখা যায় না। তবে একেবারেই উচিত ছিল না? তা নয় কিন্তু এভাবে প্রচারের আলো পাইনি নেপোটিজম।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম বলতে বোঝায়?
ক্ষমতার জোরে নিজের স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে কাজের সুযোগ করে দেওয়া। এক্ষেত্রে, প্রতিভা বা যোগ্যতার খামতি বিশেষ অন্তরায় হয়ে উঠে না। অবশ্য এর মূল্য সহজ হয় না।
কখনো অর্থ দিয়ে কখনো বা অন্যভাবে মূল্য তুলে দিতে হয় যিনি সুযোগ পাইয়ে দিচ্ছেন তার উদ্দেশ্যে। তবে শুধু সিনেমা নয়, নিজের ক্ষমতার জোরে অন্যকে কোন একটি সুযোগ পাইয়ে দেওয়া এ কিন্তু সামাজিক রাজনৈতিক সবক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য।
তবে বারবার সিনেমার বিষয়টা সামনে আসে কারণ গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডকে সকলেই ভালোবাসে। টেলিভিশনের পর্দায় কিংবা সিনেমা স্ক্রিনে নায়ক নায়িকা বা অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেখতে তাদের গল্প শুনতে বিনোদন জগতের সঙ্গে পরিচিত হতে মানুষের আগ্রহ সবথেকে বেশি।
তাইতো এদের নিয়ে সমালোচনাও হয় অনেকটাই অমূলক তবুও এদেরকেই প্রাধান্য দেন দর্শক। মানে বিষয়টা অনেকটা এরকম যে, যার কাছ থেকে সুযোগ নেব তারই সমালোচনা করব । অর্থাৎ বিনোদন জগত আমাদের সমৃদ্ধ করবে আর বিনোদন জগতকে নিয়েই নানা কুকথা মন্তব্য উঠে আসবে ।
প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের মৃত্যুর পর এই শব্দ মাথা ছাড়া দিয়েছিল টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। বলিউডে খানদের দাপটের কথা মনে করে অনেকেই এই শব্দকে তুলে আনেন। সাম্প্রতিক কালে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এই নেপোটিজম নিয়ে সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিরোনামে চলে এসেছিলেন।
যারা আজ সাফল্যের চূড়ায় তারা অনেকেই হয়তো, নিজেদের যোগ্যতায় নয় বরং স্বজন পোষণের দৌলতে এই জায়গায় -এমন কথা শোনা যায় দুনিয়ার আনাচে-কানাচে। এ কথার সত্যি মিথ্যে বিচার করতে আমরা আসিনি তবে সুযোগ নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
আরো পড়ুন- Eyes of Love : চোখ মারা হচ্ছে?এই চোখ মারা আসলে কোনো বার্তার ইঙ্গিত? ব্যাপারটা কী?
যদি কারোর মধ্যে কোনও যোগ্যতা থাকে তাহলে সে নিজেকে প্রমাণ করবেই কিন্তু সুযোগটা তাকে পেতে হবে। তবে এ কথাও সত্যি শুধু সুযোগ পেয়ে গেলেই হয় না তার সঠিক ব্যবহার করতে জানতে হয়। তা না হলে বিখ্যাত গায়ক বা নায়কদের সন্তানেরা বা পরিজনরাও ততটাই বিখ্যাত হতে পারতেন কিন্তু বাস্তবে এমনটা খুব কম দেখা যায়।
আসলে কাজ শেষ কথা বলে। পাশাপাশি এটাও ঠিক যে নেপোটিজম বিভিন্ন জায়গায়, রাজনীতিতে, পেশাগতক্ষেত্রে, ব্যক্তিজীবনে বিভিন্নরূপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বর্তমান।এই নেপোটিজমের শুরু বহুকাল আগে থেকেই।
আরো পড়ুন- Baby: সন্তান বাবা-মা দুজনেরই ,কিন্তু বাবাকে ছাড়াই সন্তান জন্ম দিতে পারবে মা? এও কি সম্ভব?
প্রতিভা তথা যোগ্যতার বিচারের নিরপেক্ষতা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এই নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ অথবা স্বজনতোষণের কাছে (Nepotism)। আজকের আলোচনায় শুধুমাত্র ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে অথচ শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতেও দারুন ভাবে থাবা বসিয়েছে এই নেপোটিজম।
আরো পড়ুন-Nurse : হাসপাতালের নার্স বা সেবিকাদের কী চোখে দেখি আমরা? নার্সদের কখনো নিচু চোখে দেখবেন না!
ফলে, বহু প্রতিভাবান শিল্পীর প্রতিভা স্ফুরনের সুযোগ, হেরে যায় এই নেপোটিজম নামক শক্তির কাছে। তবে এ কথা ভূললে চলবে না যে জীবনে হার মানতে নেই, লড়াইটা করতে হয় শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত। একবার দুবার তিনবার সুযোগ চলে যাবে, কিন্তু সত্যিই যদি কেউ প্রতিভাবান হন তাহলে তিনি অন্তত একটা সঠিক সুযোগ জীবনে পাবেন ।
আরো পড়ুন- Tristan da Cunha : নিরুদ্দেশে যেতে চান? ত্রিস্তান ডি কুনহাতে যাবেন? গেলে কিন্তু আর ফিরবেন না!
আর তখনই তাকে কেল্লাফতে করতে হবে। এই চারপাশে কী হচ্ছে সেটা নিয়ে ভাববেন না । নিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস নিষ্ঠা রাখুন আপনার জয় হবেই।