Breaking Bharat: নেপালের মেয়েরাই (Nepali girls) আরাধ্যা দেবী, দেশের ঘড়ি চলে ৪৫ মিনিট পিছিয়ে! শের্পাদের নেপালে লুকিয়ে আছে মজার সব ঘটনা, জানেন? । ছিমছাম, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর এই দেশ থেকেই নাকি স্বর্গের পথ প্রশস্ত হয়। মানে মানস সরোবরে যেতে গেলে এই দেশেই তো পৌঁছাতে হবে আপনাকে। ঠিক ধরেছেন আজ বলবো নেপালের কথা।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিমুহূর্তে কত ঘটনা ঘটছে যার সম্পর্কে আমরা খুব একটা জানিনা। তবে হ্যাঁ, অজানা তথ্যের মধ্যেও অনেক মজার ঘটনা লুকিয়ে থাকে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই যেমন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রকমের লোকাচার।
মানে বলতে পারেন বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। ঠিক তেমনি কিছু বিশ্বাস কিছু আচার আর কিছু মজার ঘটনা নিয়ে আরও একটি দেশ ভারতের একেবারে পাশেই রয়েছে ।
পর্বতারোহনের উদ্দেশ্যে পর্যটকরা নেপালে যান?
হিমালয়ের একটা বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে নেপালের আধিপত্য। স্বভাবতই দেশটি বেশ ঠান্ডার। এখানকার খাবার দাবারও সমভূমির মত সাধারণ নয়। পার্বত্য পরিবেশে বেঁচে থাকার দরুন এখানকার মানুষ খুব পরিশ্রমী। প্রতিবছর দলে দলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্বতারোহনের উদ্দেশ্যে পর্যটকরা নেপালে যান।। শের্পারা মূলত গাইড এর কাজ করেন এখানে (Sherpas mainly work as guides here)।
আরো একটা মজার ব্যাপার হল আপনি যদি ভারতবাসী হন আর নেপালে ঘুরতে যেতে চান তাহলে এই ফরেন ট্যুর করতে আপনার ভিসা বা পাসপোর্ট কিছুই লাগবেনা। আসলে ভারত আর নেপালের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। নেপালের সংস্কৃতি জলবায়ু পারিপার্শ্বিকতা ভারতীয়দের মনকে এক অদ্ভুত প্রশস্তি দেয়।
সাতটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কালচারাল সাইট :
তাই প্রতিবছর সয়ে সয়ে মানুষ নেপালে যাবার জন্য মুখিয়ে থাকেন। আপনি জানলে অবাক হবেন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রায় ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সাতটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কালচারাল সাইট রয়েছে। নিঃসন্দেহে নেপালের কাছে এটা গৌরবের বিষয়।
শুধুমাত্র লিভিং কালচারাল মিউজিয়ামই নয়, এই দেশে আরও চারটি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে যার সবকটা কি স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। অর্থাৎ পরিসংখানের ভিত্তিতে বলাই যায় যে নেপাকেউ সব থেকে বেশি ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে। বিশ্বের কাছে এই দেশের এটা একটা অন্যতম পরিচিতি বটে।
ঘড়ির কাঁটা মিনিট ৪৫ পিছিয়ে?
এবার কিছু মজার বিষয় নিয়ে কথা বলা যাক। আচ্ছা আপনি কি জানেন বিশ্বের কাছে যেটা সঠিক সময় নেপালের কাছে সেই সময়টা অনেকটা পিছিয়ে। তার মানে দেশটা পিছিয়ে আছে এটা ভাববেন না। আসলে আমরা যখন কোথাও যাই সেখানকার সময়মতো নিজেদের ঘড়ি ঠিক করে নিয়ে থাকি, তাই তো?
নেপাল মানে সবার আগে কি মনে পড়ে? এক কথায় ছোট বড় সবাই বলবেন মাউন্ট এভারেস্ট। এই এভারেস্টের ওপর ভিত্তি করেই নেপালের সময় ঘড়ি নির্ধারিত হয়। ঠিক সেই কারণেই আপনি নেপালে গেলে আপনার ঘড়ির কাঁটা মিনিট ৪৫ পিছিয়ে (The clock is 45 minutes behind) নিতে ভুলবেন না যেন।
নেপালি মেয়েদের পুজো করা হয় কেন?
তা না হলে নেপালে আপনি পিছিয়ে পড়তে পারেন। আরো একটা বিষয় এখানে বলে রাখা দরকার। নেপালি মানুষ ঈশ্বরবিশ্বাসী। তবে তারা জীবন্ত দেবতার পূজা করেন। নারী যে শক্তির আধার এ কথা তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। সে কারণেই নেপালি মেয়েদের পুজো করা হয় (Nepali girls are worshiped)। এখানকার মানুষের ভাবনাটা আপনাদের একটু জানানো দরকার।
আরো পড়ুন- Tirupati Balaji Temple : তিরুপতি বালাজি মন্দিরে দিনের পর দিন মাথার চুল দান করা হয়! কেন জানেন ?
এই দেশে দেবীকে ‘কুমারী’ নামে ডাকা হয়। আসলে বয়ঃসন্ধির আগে মেয়েদের দেবী তালেজু বলে মনে করা হয়। কুমারী দেবী মন্দিরে বাস করেন। আর সেই কারণে উৎসবের সময় রথে প্রদক্ষিণ করিয়ে মেয়েদের পূজা করা হয়। তবে আজীবন কোনও মেয়ে পুজো পান না।
আরো পড়ুন- Selfies is banned : সাবধান! যেখানে সেখানে সেলফি তুলবেন না! হতে পারে কড়া শাস্তি?
বয়ঃসন্ধি শেষ হওয়ার পরে বা ধরুন অসুস্থতাজনিত কারণে কিংবা অন্য কোন কারণে তারা পুজো পাওয়া থেকে বিরত থাকেন একটা সময় পরে। এই দেশের ভাবধারা একটু অন্যরকম। নেপালের দুটি প্রধান ধর্ম হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্ম। দেশের পতাকায় এই দুই ধর্মকেই প্রতিনিধি হিসেবে দেখা যায়।
আরো পড়ুন- Kongthong : যেন জীবন পাখির মতো! কথা হয় সুরের ভাষায়, একে অন্যকে ডাকা হয় শিসের সুরে
তাই বুঝি নেপালের পতাকায় চাঁদ এবং সূর্য উভয়ই থাকে। শুধু ধর্ম নয় চাঁদ সূর্যকে ধারণকারী হিমালয়ের প্রতীকও যেন বহন করে নেপালের পতাকা। তাহলে এবার হলিডে ডেস্টিনেশন নেপাল হলে এই প্রতিবেদনের কথা মনে করতে ভুলবেন না যেন।